“স্বর্ণযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা” মধ্যযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। পদার্থবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণিত, ভূগোল, ভূতত্ত্ব, স্থাপত্য, মনস্তত্ত্ব, জ্যোতির্বিদ্যা, জীববিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শিল্পকলা ও দর্শন—প্রতিটি শাখায় তাঁদের অসামান্য অবদান রয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত: ইবনে আল-হাইথামের গবেষণা আলোকবিজ্ঞানের ভিত্তি গড়ে দেয়। আল-খাওয়ারিজমি বিখ্যাত “বীজগণিত” (Algebra) গ্রন্থ রচনা করেন, যা আধুনিক গণিতের ভিত্তি। চিকিৎসাবিজ্ঞান: ইবনে সিনার “কানুন ফিত্তিব” চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। আল-রাযি (রাজেস) বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে বিশেষ অবদান রাখেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্যোতির্বিদ্যা: আল-জাযারির আবিষ্কৃত স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি করে। মুসলিম জ্যোতির্বিদরা আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক ছিলেন। আজকের উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা, কম্পিউটার ভিত্তিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা মুসলিম বিজ্ঞানীদের গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। স্বর্ণযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা তাঁদের অবদান ছাড়া আধুনিক সভ্যতার বিকাশ সম্ভব হতো না। মুসলিম মনীষীদের এই অবদান আমাদের গর্বের অংশ এবং তা সঠিকভাবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।
Reviews
There are no reviews yet.