“খাদ্যপথ্যে সুস্থ থাকার সহজ উপায়” শরীরে ক্ষয় হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এই ক্ষয় পূরণের জন্য গ্রহণযোগ্য খাবারকেই খাদ্য বলা হয়। আর অসুস্থ হলে রুগ্ণ অবস্থায় বিশেষ চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যকে পরিবর্তন করে যা দেওয়া হয় তাকে পথ্য বলে। উপযুক্ত পথ্যই হলো রোগীর অন্যতম চিকিৎসা।অসুস্থ হলে প্রথম প্রয়োজন হয় ওষুধের, সেটা যদি আপনি খাবারের মাধ্যমে পূরণ করতে পারেন সেটাই পথ্য। অসুস্থ অবস্থায় হজমশক্তি কমে যায় বলে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য দিয়ে পথ্য প্রস্তুত করা হয়।
অন্যভাবে বললে পথ্যকে আরোগ্যকারী খাদ্যও বলা হয়। পথ্য নির্বাচনের সময় রোগের ধরন, রোগীর খাদ্যাভ্যাস, রোগীর পথ্য গ্রহণের ক্ষমতা যেমন দেখতে হবে, তেমন রোগীর আর্থিক সংগতিও বিচার করতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী অসুখে এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সব অবস্থাতেই পথ্য হবে সহজপাচ্য, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আকর্ষণীয়।কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে রোগমুক্তির সময় উচ্চ ক্যালরি মূল্যের খাবার প্রয়োজন হয় সেটা পথ্য দিয়ে পূরণ করা সম্ভব। যেমনঃ জ্বর।
এ সময় এমন পথ্য দিতে হবে যাতে ৩৫০০-৪০০০ ক্যালরি থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ খাবার খেয়ে সুস্থ হওয়া জটিল তাই পথ্য খুঁজতে হবে। পথ্য বিষয়গুলো আমরা জানি, আমাদের মা, দাদি, নানিরা জানেন কিন্তু আধুনিক ড্রাগের কারণে ভুলে গেছি।
খাদ্যপথ্যে সুস্থ থাকার সহজ উপায় এই বইটি আপনাদের আবার মনে করে দেবে সেসব খাদ্যপথ্য।গলবøাডারজনিত সমস্যা, জন্ডিস, লিভারের অসুখ, আমাশয়, ক্রনিক কোলাইটিস, পেটের নানা অসুখ, ধমনী ও হৃৎপিন্ডের অসুখে মাংস বা প্রাণিজ খাবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ডায়াবেটিস ও মেদ বৃদ্ধিতে শর্করা খাবার কম খেতে হয়।
কিডনি ও হার্টের যাবতীয় অসুখ, সিরোসিস অব লিভার, উচ্চ রক্তচাপ এবং গর্ভাবস্থায় লবণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন, তা কীভাবে করবেন, লবণাক্ত খাবার আমাদের বেশ পছন্দের। এসব বিষয়কে বিবেচনায় রেখে আলাদা আলাদা রোগের জন্য আলাদা পথ্য বা খাবার তৈরি করা হয়।এই বইটি পড়ে আপনি খাদ্যপথ্য বুঝতে পারবেন, আগামী দিনে নিজের স্বাস্থ্য কীভাবে ভালো রাখবেন, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাবেন নাকি হাসপাতালে যাতে না যাওয়া লাগে সেটা করবেন সেই বিষয়গুলো নিজে বিবেচনা করবেন।পথ্য প্রকৃত ওষুধের কাজ করে। সঠিক সময় সঠিক পথ্য, জানতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.