ঈমান শিক্ষা:
আমাদের মুসলিম ঘরগুলোতে ‘নামাজ শিক্ষা’র একাধিক বই থাকলেও ‘ঈমান শিক্ষা’র বা ঈমান ভঙ্গের কারণ জানার জন্য তেমন কোনো বই খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের পরিবার ও সমাজের লোকজন নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দিলেও, তারা ঈমানের স্তম্ভগুলো সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণাই রাখে না। অথচ, আমাদের সকল আমল কবুল হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটি ঈমানের ওপর নির্ভরশীল।
ওজু ভঙ্গের, নামাজ ভঙ্গের বা রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে কিছু ধারণা থাকলেও, ঈমান ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে অধিকাংশ লোকেরই কোনো ধারণা নেই। এমনকি ঈমানও যে ভঙ্গ হতে পারে অনেক মুসলিম তো এটাই জানে না।
স্রষ্টা ধর্ম জীবন:
অধুনা চিন্তাবিদদের অনেকেই মনে করেন বর্তমান পৃথিবীতে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু বা মুসলিম নয় বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মহীনেরা। ধর্মহীনতার সংজ্ঞা সংশয়াতীত নয়। সাংস্কৃতিকভাবে নাস্তিকেরাও নিজেদের সাথে একটি ধর্মের সংলগ্নতা রক্ষা করেন। এই যোগসূত্রটা ভাষা কিংবা আত্মীয়তার মতো তা নেহায়েত জন্মসূত্রে পাওয়া। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কোন নির্দিষ্ট ধর্মের অনুশাসনের প্রতি বিদ্রোহ হয়তো করে না তবে সুলুকসন্ধানও করে না। চিন্তাশীল উদ্যোগের মাধ্যমে যৌক্তিকতার সিঁড়ি বেয়ে ধর্ম প্রাপ্তির সৌভাগ্য খুব কম মানুষেরই হয়; বস্তুবাদে মত্ত মানুষ ধর্মহীনই থেকে যায়।
কে উনি?
এই বইতে সুদৃঢ়, সুপ্রতিষ্ঠিত ইতিহাস থেকেই একের পর এক প্রমাণ করা হবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন নবি ছিলেন। সত্য নবি। সত্যের দিকে আহ্বানকারী আল্লাহর সত্যিকারের একজন বার্তাবাহক, মেসেঞ্জার। একজন ট্রু প্রফেট। ঈমান শিক্ষা এই বইটি পড়ে পাঠক-পাঠিকা গালে হাত দিয়ে ভাবনার অতলে তলিয়ে যাবে, ঘুমাতে পারবে না আর চিন্তায় চিন্তায়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনীর পাতায় পাতায়, কুরআনের পরতে পরতে তার নবুওয়াতের সত্যতা দেখে নিতে, ভেবে বের করে শেখার চেষ্টা করবে নিজে নিজে। উনাকে অস্বীকার করার আর কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাবে না নিজের ভেতরে। মুখে অস্বীকার করলেও, ভেতর থেকে ঠিকই জেনে যাবে, উনি নবি, সত্য নবি। আর উনাকে নবি হিসেবে সত্য জানলেই ইসলামের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় অন্তরের ভেতর।
চিন্তাপরাধ‘
যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিচ্ছ, ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় ততক্ষণ তোমাকে সহ্য করা হবে। যা করার সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে করো, কিন্তু কোনোভাবেই সিস্টেমের বিরোধিতা করা যাবে না। প্রশ্ন করা যাবে না কাঠামো নিয়ে, বিশ্বব্যবস্থা আর সাম্রাজ্য নিয়ে। প্রশ্ন করা যাবে না হুবালের কর্তৃত্ব নিয়ে। অ্যামেরিকান সাম্রাজ্যের যুগে এটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ। অপরাধী বলে বিবেচিত হবার জন্য কিছু করার, এমনকি বলারও প্রয়োজন নেই, সিস্টেমের বিরুদ্ধে কোনো চিন্তা থাকাই যথেষ্ট। এসব চিন্তা অবৈধ, এসব চিন্তা অপরাধ। যে শরীয়াহর অনুসরণ কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ মানবজাতির ওপর ফরয করেছেন, যুগের হুবালের বিরুদ্ধে গিয়ে অ্যামেরিকান বিশ্বব্যবস্থার মোকাবেলায় সেই শরীয়াহ বাস্তবায়ন হোক এটা চাওয়া–কিছু করাও না, কিছু বলাও না–শুধু এটা চাওয়া অপরাধ। কিছু করার দরকার নেই, বলার দরকার নেই, চিন্তাটাই অপরাধ। থটক্রাইম। চিন্তাপরাধ।
Reviews
There are no reviews yet.