একটি জানালাবিহীন বদ্ধ কুঠরি। যেখানে কখনো সূর্যের আলো পৌঁছায় না। দূরদেশে বেড়াতে যাওয়া পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘেরা এখানে থামে না, কারণ এই কুঠরিতে তাদেরও জায়গা নেই। সোডিয়াম লাইটের নিচে ঝলমলে যে শহরটা দেখা যায়, সেটি আসলে এক মৃত শহর। এখানে উঁচু বিল্ডিং, ব্যস্ত সড়ক, আর মানুষের ভিড় থাকলেও, ভালোবাসার স্পর্শ নেই।
এ শহরের মিতুরা ভালোবাসতে জানে না। তারা জানে শুধু অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। প্রতিদিন একঘেয়ে জীবনের চক্রে ঘুরতে থাকা মানুষগুলো যেন একেকটি মৃত ঘাসফড়িঙের মতো। তাদের স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে, যেন শুকনো পাতা।
“একটি মৃত ঘাসফড়িঙের ব্যবচ্ছেদ” এই শহরের অন্তর্গত শূন্যতার গল্প। এটি মানুষের সেই অস্তিত্বহীন জীবনের প্রতিচ্ছবি, যেখানে আত্মা বেঁচে নেই, শুধু শরীরের চলাচল দেখা যায়। প্রতিটি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রতিকূলতা আর শূন্যতার মধ্যে মানুষ নিজেকে হারিয়ে ফেলে।
এই বই শুধু পাঠকের সামনে এক শহরের গল্প তুলে ধরে না, এটি আমাদের নিজেদের মনের সেই অন্ধকার কোণগুলোও চেনায়, যেখানে আলো পৌঁছায় না। এটি পড়ার পর মনে হবে, আমরা কি আসলেই বেঁচে আছি, নাকি কেবল চলছি এক মৃত শহরের মিতুর মতো?
Reviews
There are no reviews yet.