“বিল্ডিং আ স্টোরিব্র্যান্ড” সব মহৎ গল্পই হলো মূলত শারীরিক, আবেগিক কিংবা আধ্যাত্মিকভাবে বেঁচে থাকার গল্প। অন্যকিছু নিয়ে তৈরি কোনো গল্পই শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে কাজে দেবে না। কেউই আগ্রহী না। অর্থাৎ যদি আমরা পণ্য এমনভাবে না সাজাই যেটা মানুষকে বেঁচে থাকতে, উন্নতি করতে, গ্রহণযোগ্য হতে, ভালোবাসা খুঁজে পেতে, কাঙ্ক্ষিত পরিচয় অর্জন করতে, কিংবা এমন এক দলের সাথে সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করে; যেটা তাদের শারীরিকভাবে এবং সামাজিকভাবে রক্ষা করতে পারে, তাহলে সেটা কারো কাছেই বিকোবে না। মানুষ শুধু এই বিষয়গুলোর ব্যাপারেই পরোয়া করে। আপনি এই বাস্তবতা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাহাড়তুল্য করে ফেলতে পারেন। কিংবা এই অনস্বীকার্য তত্ত্বকে এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেউলিয়া হয়ে আদালতে যেতে পারেন।
“বিল্ডিং আ স্টোরিব্র্যান্ড” মাইক বলেছিল আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিনিয়ত তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস করতে থাকে। আর তাই আমরা প্রতিদিন লাখ লাখ অপ্রয়োজনীয় বিষয় অগ্রাহ্য করি। আমাদের যদি একটি বিশাল বলরুমে এক ঘণ্টা কাটাতে বলা হয় আমরা কখনই ভাবব না যে রুমটিতে কয়টি চেয়ার আছে। আমরা জানার চেষ্টা করব বের হবার রাস্তাটা কোথায়। কেন? কারণ বেঁচে থাকার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের জানার প্রয়োজন নেই যে, সেই রুমে কয়টি চেয়ার আছে। বরং বের হওয়ার রাস্তাটা কোথায় তা জানা থাকলে সেখানে যদি আগুনও লাগে; তবে সেটা আমাদের বের হতে সহায়তা করবে।
Reviews
There are no reviews yet.