বাংলাদেশের কবিতা: তিরিশ বছর
চঞ্চল আশরাফ
সাহিত্যের সব শাখাতেই যে-কোনো সংকলনের প্রধান একটি উদ্দেশ্য হলো গৃহীত কালপর্বের চিন্তন ও সৃষ্টিশীলতা সম্পর্কে পাঠকদের মধ্যে যথার্থ ধারণার সঞ্চার ঘটানো। কিন্তু দু’একটি বাদে সব সংকলনে প্রমাণিত হয়েছে, এমন কাজে সামাজিক জীবনের প্রভাব খুব বিপজ্জনক রকমের গভীরবিস্তৃত। বোঝা গেছে, সাহিত্যিক সততা ও সামাজিক সুসম্পর্কের মধ্যে বিরোধ যত বিব্রতকর হোক, এর ঊর্ধ্বে উঠতে না-পারলে, বা এই উদ্বেগের বাইরে থাকা অসম্ভব হলে এ-ধরনের প্রকল্প হয়ে পড়ে প্রশ্নসঙ্কল, হাস্যকর ও নিরর্থক। ফলে, সাহিত্যের লিখিত ইতিহাসের মতোই সম্পাদককে হতে হয় ব্যক্তি, সংঘ, সমাজ ও ক্ষমতাকাঠামোর প্রতি উদাসীন, নির্মোহ এবং সামাজিক অর্থে কিঞ্চিৎ নিষ্ঠুর। এতে ঝুঁকি আছে, সাহিত্যিক পরিমণ্ডল থেকে বিচ্ছিন্ন, এমনকি বিপদগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এটা মূলত অবিকশিত সমাজের বাস্তবতা। উল্লেখ বাহুল্য নয়, গণতন্ত্র কিংবা সাম্যের মূল্যবোধ সাহিত্যে চলে না; এর অন্যথা হলে সংখ্যায় গরিষ্ঠ গৌণ লেখকেরাই নিয়ন্ত্রণ করতেন এর ইতিহাস; বা, দুর্বল ও শক্তিমানদের মধ্যে পার্থক্য থাকত না। তবে বাঙলাভাষায় প্রকাশিত সাহিত্যপত্রিকা, ‘ছোটকাগজ’ আর দৈনিকের সাময়িকীগুলোতে গোষ্ঠী, গণতন্ত্র ও সাম্যের চর্চা এত বিপজ্জনক যে, সাহিত্য এখানে খুব নিরীহসহজ হয়ে গেছে। সংকলনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই নির্বিচার গোষ্ঠী-গণতন্ত্র-সাম্য-ভারসাম্যের গড্ডলিকা থেকে সাহিত্যের মুক্তিঃ সংকুচিত অর্থে, নির্বিশেষ থেকে বিশেষে উপনীত হওয়া


বাংলাদেশের কবিতা: তিরিশ বছর
৳ 800.00 Original price was: ৳ 800.00.৳ 640.00Current price is: ৳ 640.00.
বাংলাদেশের কবিতা: তিরিশ বছর
By (author) চঞ্চল আশরাফ
সাহিত্যের সব শাখাতেই যে-কোনো সংকলনের প্রধান একটি উদ্দেশ্য হলো গৃহীত কালপর্বের চিন্তন ও সৃষ্টিশীলতা সম্পর্কে পাঠকদের মধ্যে যথার্থ ধারণার সঞ্চার ঘটানো। কিন্তু দু’একটি বাদে সব সংকলনে প্রমাণিত হয়েছে, এমন কাজে সামাজিক জীবনের প্রভাব খুব বিপজ্জনক রকমের গভীরবিস্তৃত। বোঝা গেছে, সাহিত্যিক সততা ও সামাজিক সুসম্পর্কের মধ্যে বিরোধ যত বিব্রতকর হোক, এর ঊর্ধ্বে উঠতে না-পারলে, বা এই উদ্বেগের বাইরে থাকা অসম্ভব হলে এ-ধরনের প্রকল্প হয়ে পড়ে প্রশ্নসঙ্কল, হাস্যকর ও নিরর্থক। ফলে, সাহিত্যের লিখিত ইতিহাসের মতোই সম্পাদককে হতে হয় ব্যক্তি, সংঘ, সমাজ ও ক্ষমতাকাঠামোর প্রতি উদাসীন, নির্মোহ এবং সামাজিক অর্থে কিঞ্চিৎ নিষ্ঠুর। এতে ঝুঁকি আছে, সাহিত্যিক পরিমণ্ডল থেকে বিচ্ছিন্ন, এমনকি বিপদগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এটা মূলত অবিকশিত সমাজের বাস্তবতা। উল্লেখ বাহুল্য নয়, গণতন্ত্র কিংবা সাম্যের মূল্যবোধ সাহিত্যে চলে না; এর অন্যথা হলে সংখ্যায় গরিষ্ঠ গৌণ লেখকেরাই নিয়ন্ত্রণ করতেন এর ইতিহাস; বা, দুর্বল ও শক্তিমানদের মধ্যে পার্থক্য থাকত না। তবে বাঙলাভাষায় প্রকাশিত সাহিত্যপত্রিকা, ‘ছোটকাগজ’ আর দৈনিকের সাময়িকীগুলোতে গোষ্ঠী, গণতন্ত্র ও সাম্যের চর্চা এত বিপজ্জনক যে, সাহিত্য এখানে খুব নিরীহসহজ হয়ে গেছে। সংকলনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই নির্বিচার গোষ্ঠী-গণতন্ত্র-সাম্য-ভারসাম্যের গড্ডলিকা থেকে সাহিত্যের মুক্তিঃ সংকুচিত অর্থে, নির্বিশেষ থেকে বিশেষে উপনীত হওয়া
Related products
Around The World With Rituraj- Part 2
SEO এবং অনলাইনে জীবন বদলের গল্প
আগামেমনন (অনুবাদ অনিন্দ্য কৌশিক )
এমপ্লয়াবিলিটি
ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশনে পাইথনের ব্যবহার
প্রোডাক্টিভ প্রোগ্রামার
মেন্টর@ব্যাকপ্যাক
হু মুভড মাই চিজ?
© 2024 Thebookcenterbd All rights reserved | Developed By Deshi IT
Reviews
There are no reviews yet.