বাংলাদেশের বীরগাথা
মেজর মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ডেল এইচ খান)
বাংলাদেশের ইতিহাসে বীরশ্রেষ্ঠগণ হলেন সেই মহামানব যারা তাদের জীবন, রক্ত ও ত্যাগ দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এবং আত্মমর্যাদার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাদের সাহসিকতা, দৃঢ়চেতা মনোভাব, এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা শুধু আমাদের জাতির জন্য নয়, পুরো পৃথিবীও তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এরা আমাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তাদের বীরত্বগাথা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়, আমাদের পথ দেখায়।
মেজর মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ডেল এইচ খান)—এমনই একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা, যার সাহসিকতা এবং বীরত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। তাঁর জীবনকাহিনি শুধুমাত্র একটি যোদ্ধার গল্প নয়, বরং একটি দেশের আত্মত্যাগের ও সংগ্রামের অমর চিত্র। তার বীরত্বগাথা পড়তে গিয়ে একজন পাঠক যে অনুভূতিটা গ্রহণ করে, তা হলো এক অবিশ্বাস্য আবেগ—রোমাঞ্চিত হওয়া, শিউরে ওঠা এবং সেইসব মুহূর্তের প্রতিফলন যা মানব মনের অগ্রগতির প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখে। যখন মেজর ডেল এইচ খান তাঁর সহযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে পদক্ষেপ রেখেছিলেন, তখনই তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে সাহসিকতা এবং দেশপ্রেমের কোনও মুল্য থাকলেও, সেটা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম।
এমন বীরগাথা, যেমনটি “বাংলাদেশের বীরগাথা” বইয়ে বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের জাতীয় চেতনাকে আরও গভীরে প্রবাহিত করে। এই বইটি এক একটি অধ্যায় হিসেবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে বীরত্বের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়। এটি আমাদের পাঠকের কাছে শুধু ইতিহাসের রোজনামচা নয়, বরং একটি প্রাণবন্ত, উত্তেজনাপূর্ণ এবং আবেগময় গল্প। পাঠক যখন এইসব বীরগাথা পড়বেন, তখন তারা নিজেদের চোখের সামনে দেখতে পাবেন সেই সাহসী যোদ্ধাদের, যারা কেবল যুদ্ধই করেননি, বরং তাদের সাহস এবং আত্মত্যাগ দিয়ে একটি নতুন জাতির জন্ম দিয়েছেন।
এমন একটি গল্প, যা শুধুমাত্র যুদ্ধের কাহিনি নয়, বরং তা একটি জাতির আস্থা, বিশ্বাস, এবং আত্মশক্তির প্রদর্শন। “বাংলাদেশের বীরগাথা” বইটি পড়ার পর, একজন পাঠক নিজেকে গর্বিত এবং শক্তিশালী অনুভব করবে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঐতিহাসিক ঘটনা, বীরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, আর দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা একসাথে মিলে তৈরি করেছে আমাদের ইতিহাসের এক অমূল্য রত্ন—যে রত্ন বাঙালির ইতিহাসকে অমলিন এবং অতুলনীয় করে তোলে।
এ বইটি শুধু আমাদের পূর্বপুরুষদের কৃতিত্বকেই তুলে ধরে না, বরং সেই কৃতিত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার ও শ্রদ্ধাকেও পুনর্নির্মাণ করে। এই বীরগাথা পড়তে গিয়ে পাঠকরা শুধু ইতিহাসের পাতায় হারানো নয়, বরং হারানো সাহস এবং শক্তি ফিরে পাবে। এটা আমাদের জাতিগত অহংকার, আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতিফলন, যা সমগ্র জাতিকে এক নতুন শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
এ বইটির মাধ্যমে আমরা ফিরে পাই আমাদের সাহসী বীরদের গল্প, তাদের আত্মত্যাগ, এবং তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। “বাংলাদেশের বীরগাথা” কেবল একটি বই নয়, এটি একটি মহামূল্যবান শিক্ষার উৎস, যা আমাদের মনে নাড়া দিয়ে যায় এবং শিখিয়ে যায়—দেশপ্রেম, সাহসিকতা, এবং অটল আত্মবিশ্বাসের শক্তির মাধ্যমে কীভাবে কোনো জাতি তার স্বাধীনতা এবং মর্যাদা অর্জন করতে পারে।
“ফ্রেশারস টু জব রেডি” has been added to your cart. View cart
-20%

বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য
৳ 600.00 Original price was: ৳ 600.00.৳ 480.00Current price is: ৳ 480.00.

বিক্রয়কর্মীর দিনরাত
৳ 200.00 Original price was: ৳ 200.00.৳ 160.00Current price is: ৳ 160.00.
বাংলাদেশের বীরগাথা
৳ 200.00 Original price was: ৳ 200.00.৳ 160.00Current price is: ৳ 160.00.
বাংলাদেশের বীরগাথা
By (author) মেজর মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ডেল এইচ খান)
বীরশ্রেষ্ঠগণ প্রত্যেকেই আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠতম সন্তান; আমাদের পৌরষ আর অহমের প্রতীক!
সেই বীরশ্রেষ্ঠদের বীরত্বগাথা পড়তে গিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত হব, শিউরে উঠব; তাদের সুমহান ত্যাগের কথা পড়তে গিয়ে আবেগে উদ্বেল হব— এটাই স্বাভাবিক।
লেখক ‘বাংলাদেশের বীরগাথা’ বইটিতে সেই কাজটিই করেছেন। প্রতিটি গল্প পড়তে গিয়ে পাঠক রোমাঞ্চিত হবেন, আবেগাপ্লুত হবেন, আর পড়া শেষে একজন বাংলাদেশি হিসেবে অতুলনীয় এক গৌরববোধে আচ্ছন্ন হবেন।
Description
Reviews (0)
Be the first to review “বাংলাদেশের বীরগাথা” Cancel reply
Related products
Question Bank
SEO এবং অনলাইনে জীবন বদলের গল্প
লেখক : নাসির উদ্দিন শামীম
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং
পৃষ্ঠা : 192, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 97898498356010
হাজারো কোর্স,ফেইসবুকে শত শত বিজ্ঞাপন আর বাহারি ভিডিওর মন গলানো কথাবার্তার ডোপামিনে গদ গদ হয়ে কিছু বুঝার আগেই যখন স্ক্যামড হয়ে যাই আর যখন আমাদের বাবা মার কাছ থেকে আনা টাকার অপচয় দেখি চোখের সামনে,তখন অনেকেই আমরা এখন অনলাইনে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলা মানুষদের বিশ্বাস করতে চাই না। মনে হয় এই বুঝি আবার ধরা খেতে যাচ্ছি! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে – বর্তমান যুগে এমন হাজার হাজার সমস্যার ভিড়েও আমরা ভালো কিছু করতে চাই। শত বাধা আর চোর-বাটপারদের পাশ কাটিয়ে হলেও আমাদের কিছু করা দরকার আমাদের জীবনের জন্যে,ভবিষ্যতের জন্যে বা এখন যেমন আছি,তার চেয়ে ভালো থাকার জন্যে। এই ভালো থাকতে গিয়ে আমরা যা যা দেখি বা পড়ি আসেপাশে,সবখানেই দেখি শুধু স্বপ্ন আর স্বপ্ন,হাজার হাজার ডলারের গল্প আর সারাদিন গাধার খাটুনি খেটে ঘণ্টা প্রতি ৫ ডলার আয়ের একই ধরনের কলাকৌশল। কিন্তু আসল এবং মূল যেই জিনিস – দক্ষতা,সেটা একটু কঠিন বিষয় বিধায় সবাই আমাদের কন্টেন্টে নির্লজ্জভাবে এড়িয়ে যাই। এই বইয়ে আমি আমার সত্যিকারের সব গল্প বলেছি। এই গল্পগুলোর মধ্যেই আপনি সবচেয়ে কঠিন এবং কাঠখোট্টা দক্ষতাগুলো বৃদ্ধির সহজ টোটকা পাবেন,নিজের অবস্থার উন্নতিতে কি করা উচিত,কিভাবে করা উচিত এবং কোন কোন মাধ্যমে করা উচিত – সব কিছুর বাস্তব এবং স্পষ্ট ধারনা পাবেন। আমি এমনভাবে সবকিছু বলার চেষ্টা করেছি যে – যাতে করে আপনি বইটা পড়ার পর নিজেকে অন্য একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করেন। এমন মানুষ – যে চিন্তাভাবনায় আগের চেয়ে অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী,স্বপ্ন আর পরিকল্পনায় অনেক বেশী বাস্তববাদী আর ফোকাসড,অনলাইনে নিজের জীবন পরিবর্তনে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া অন্যরকম একজন যে এসইও এর ব্যাসিকটা জানে – যেটা দিয়ে সে নিজের এবং আসেপাশের হাজারো মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে!
TBC An Exclusive Suggestion Question Bank – For the student’s of Master’s Final in English (Paperback)
প্রকাশনী : দি বুক সেন্টার
কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : Edition, 2020
এক পলকে গিট ও গিটহাব
লেখক : জুনায়েদ আহমেদ
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
পৃষ্ঠা : 120, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 9789849856559
“আমরা যারা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর সাথে যুক্ত আছি তাদের জন্য গিট খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা টুল নিজের কাজকে আরো সহজ করার জন্য। কিন্তু আমরা অনেকে গিট সম্পর্কে যথেষ্ট না জানার কারণে,অথবা না শেখার কারণে সেটা আমাদের প্রোজেক্টে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারি না। অনেকে ব্যবহার করলেও খুবই লিমিটেড কিছু কমান্ড,টেকনিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু গিট আসলে খুবই পাওয়ারফুল একটা টুল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। জাস্ট আমাদের একটু সময় নিয়ে,ধৈর্য্য সহকারে কিছু এফোর্ট দিয়ে সেটা ঠিকঠাক শিখে নিতে হবে। আর ঠিক সেজন্যেই আমি আপনাদের জন্য “এক পলকে গিট ও গিটহাব” নামে বইটি লিখেছি। এই বইয়ের শুরুর দিকে গল্পে গল্পে গিট সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়েছে,তারপর গিটহাব নিয়েও কিছু ধারনা দেওয়া হয়েছে। গিট ও গিটহাব সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার পর ছোটো একটা প্রোজেক্ট দেখানো হয়েছে। তারপর আমাদের একটা ওপেন সোর্স চিটশিট প্রোজেক্ট ডেভসংকেতে কিভাবে কন্ট্রিবিউট করতে হবে সেটাও স্টেপ বাই স্টেপ একটা কন্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। সর্বশেষে গিট এর আরো কিছু পাওয়ারফুল কমান্ড আর টেকনিক নিয়ে ধারনা দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি এই বইটি আপনাদের অনেকেরই কাজে আসবে। যারা একদম স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করতে চাচ্ছেন তাদেরও কাজে আসবে। আবার যারা টুকটাক পারেন,কিন্তু পার্সোনাল হউক বা ওপেন সোর্স কোনো প্রোজেক্টে কোলাবরেট করা বা কন্ট্রিবিউট করতে পারেন না,তারাও এখান থেকে উপকৃত হবেন। আশা করি বইটি আপনাদের অনেকেরই উপকারে আসবে। উপকৃত হলে অথবা আরো অনেকের কাজে আসতে পারে মনে করলে প্লীজ বইটির কথা সবার সাথে শেয়ার করবেন। সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ!”
কন্টেন্ট রাইটিং এর মহারাজা
লেখক : মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
পৃষ্ঠা : 96, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849615965
Content is King! কেন এই কন্টেন্টকে কিং বলা হয়, তাঁর কারন রয়েছে এই বইয়ে। বইটিতে যেমনভাবে আলোচনা করা হয়েছে অনলাইন বনাম অফলাইন মাধ্যমে লেখার পার্থক্য, আপনার পাঠক টোটকা, সাব এডিটিং, প্রুফরিডিং, ওয়েবসাইট-বিজ্ঞাপন-ইমেইল-কপিরাইটিং ইত্যাদি মাধ্যমের জন্য কন্টেন্ট লেখার ট্রিকস; ঠিক তেমনভাবেই আলোচনা করা হয়েছে এসইও, সাংবাদিকতা, নিজের ব্লগে লেখালেখি, সাংবাদিকতা, লেখকের পার্সোনাল ব্রান্ডিং সহ নানাবিধ সহজপাঠ্য। এছাড়াও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ঘাড়ে চড়ে কিভাবে দূর্দান্ত কন্টেন্ট লিখতে বা তৈরি করতে হয় তার হ্যাকস ও উল্লেখিত আছে বইটিতে। সর্বোপরি কন্টেন্ট নামক এই কিং বা রাজাকে জব্দ করে নিজেই মহারাজা বনে যাওয়ার টোটকা রয়েছে বইটিতে। তবে আসুন.. কন্টেন্ট এর দুনিয়ায় আপনাকে জানাই স্বাগতম।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (বিসিএস প্রিলি সহায়ক)
মেন্টর@ব্যাকপ্যাক
লেখক : জিয়া উদ্দিন মাহমুদ
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
পৃষ্ঠা : 96, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 9789849835608
মেন্টরিং একটি অমূল্য প্রক্রিয়া যা প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং আত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। এটি জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা হস্তান্তরের একটি পদ্ধতি যা মেন্টির বিকাশে সাহায্য করে। মেন্টরিং মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি নিজের সম্ভাবনা চিনে এবং তার উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। মেন্টরশীপ ব্যক্তিকে নির্দেশনা, পরামর্শ এবং সমর্থন প্রদান করে যা তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এটি নতুন দক্ষতা অর্জন, কর্মজীবনে অগ্রগতি এবং ব্যক্তিগত উন্নতির পথ প্রশস্ত করে। মেন্টররা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান ও পরামর্শ দিয়ে মেন্টিদের সাহায্য করে, যার ফলে মেন্টিরা তাদের সম্ভাব্য ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল হতে পারে। মেন্টরিং শুধু ক্যারিয়ার গঠনেই নয়, ব্যক্তিত্ব বিকাশ, নেতৃত্ব দক্ষতা উন্নয়ন এবং জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক। এটি ব্যক্তিদের তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে উৎসাহিত করে এবং পেশাগত জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে। সব মিলিয়ে, মেন্টরিং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনে একটি অপরিহার্য উপাদান।
হু মুভড মাই চিজ?
লেখক : স্পেনসার জনসন
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
অনুবাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন
পৃষ্ঠা : 56, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849492658
আসুন একটা গল্প শুনি, মন দিয়ে পড়ুন
গল্পটি ২ টি ইঁদুর এবং মানুষের মত দেখতে ২ জন খর্বাকৃতির গল্প। ২ জন ইঁদুরের নাম স্নিফ এবং স্কারি এবং বাকি ২ জনের নাম হ এবং হেম । এরা চারজনই কোন একটা গোলকধাঁধার মধ্যে জীবন কাটায়। প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই গোলকধাঁধার মধ্যে দৌঁড়ে চিজ/ পনির খুঁজতে থাকে এবং পেলে তা দিয়ে জীবন ধারণ করে। তারা পনির খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে হ এবং হেম জগিং স্যুট এবং জুতা পরে নিত যাতে তাদের দৌঁড়ে পনির খুজঁতে কোন অসুবিধা না হয়। কিন্তু একদিন!! একদিন তারা ৪ জনই চিজ স্টেশন সি তে বিশাল পনিরের মজুদ পেলো। এমন চিজ দেখে তারা পাগল প্রায়। তাঁরা তাদের জুতা ছুড়ে ফেলে সেখানেই জীবন যাপন শুরু করলো। কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই তাঁরা ধরে নিল তাদের বাকি জীবন এভাবেই চলে যাবে। হঠাৎ একদিন!! তাঁরা চিজ স্টেশন সি তে গিয়ে দেখলো সেখানে কোন পনির নেই। এটা দেখে হ এবং হেম পাগল এর মত অবস্থা। তাঁরা চিৎকার করে উঠলো, “না এমন হতে পারে না। এটা অন্যায়। আমাদের সাথে এটা হতে পারে না। ” অন্যদিকে স্নিফ এবং স্কারি এটা দেখে তাঁরা অন্য দিকে পনির খুজতে শুরু করলো। একদিন তাঁরা পেয়েও গেল চিজ স্টেশন এন এর দেখা যা চিজ স্টেশন সি এর চেয়ে বেশি। হ এবং হেম তাদের দুঃখ ভুলতে পারলো না। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে থাকলো। এদিকে ক্ষুদার্থ থাকায় এবং ডিপ্রেশনে তাদের শরীর খারাপ হতে থাকলো। তাঁরা ভয় পেতে থাকলো অন্য কোথাও গেলে যদি তাঁরা হারিয়ে যায়, তাঁরা যদি ভালো কিছু করতে না পারে? অনাগত ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় তাঁরা তা গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। একদিন হ চাইলো নতুন পনিরের খোঁজ করতে কিন্তু হেম কোনভাবেই তা হতে দিল না। বরং হ এর উপর রাগ দেখানো শুরু করলো। একদিন হ এর রাগ উপেক্ষা করে হেম আবার পনির খোঁজ করতে বের হল। অনেক কষ্টের পর সেও চিজ স্টেশন এন এর খোঁজ পেলো। এরমধ্যে অনেকবার হ কে রাজি করানোর ট্রাই করেও পারলো না।
এবার আপনাদের কাছে প্রশ্ন-
১) আপনি পরিবর্তন ভয় পান?
২) সবসময় কমফোর্ট জোনে থাকতে চান?
৩) অন্য পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেন না বা চান না?
৩) আপনার কি খারাপ সময় নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না?
সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বইটি আপনার পড়া উচিৎ। হ্যাঁ, আমি “হু মুভড মাই চিজ” বইয়ের কথা বলছি। আপনি সামনে খুব বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন কিংবা সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন। এই বইটি/ গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন, আমাদের কেমন মানসিকতা নিয়ে চলা উচিৎ বা কী করা উচিৎ? এই বইটি পড়লে অযুহাত / ভেঙ্গে না পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক গুলো কারণ চোখে পড়তে শুরু করবে।
© 2024 Thebookcenterbd All rights reserved | Developed By Deshi IT
Reviews
There are no reviews yet.