অ্যাম্বিশন মার্কেট
অ্যাম্বিশন মার্কেট
By (author) হিমালয় পাই
হিমালয় পাই এযাবৎ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছেন। কিন্তু একক ইন্টারভিউ নিয়ে বই প্রকাশের তাগিদ বোধ করেছেন মাত্র গুটিকয়েক মানুষের ক্ষেত্রেই। সেই গুটিকয়েকের একজন ঝংকার মাহবুব, যিনি একজন প্রকৌশলী, সফল উদ্যোক্তা ও বেস্টসেলার লেখক।
‘অ্যাম্বিশন মার্কেট’ বইয়ে সামাজিক জীবনের ৫৫টি পৃথক অনুষঙ্গে, ঝংকার মাহবুবের চিন্তা নিয়ে নিজের বিশ্লেষণ হাজির করেছেন হিমালয় পাই। তরুণ উদ্যোক্তাসহ যেকোনো অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্যই অনুষঙ্গগুলো চিত্তাকর্ষক।
অ্যালগরিদম ডিজাইন
অ্যালগরিদম ডিজাইন
By (author) অরিন্দম পাল
অ্যালগরিদমের মতো একটি বিষয়কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত কঠিন। এ বইতে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার সব কয়টার ওপরেই একেকটা পৃথক বই লেখা সম্ভব এবং লেখাও আছে এমনসব বই। এই বই থেকে যে কেউ শুধু সমস্যার সমাধান করা ও অ্যালগরিদম ডিজাইনের সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।
যেকোনো বিষয়কে গাণিতিকভাবে চিন্তা করার সামর্থ্য অর্জন করার জন্য এবং গণিতের মৌলিক ধারণাগুলো— যেগুলো ছাড়া পুরো মহাবিশ্বই অচল— এই বইতে সে বিষয়গুলো খুবই সুন্দরভাবে প্রয়োগসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আখ্যানমঞ্জরী
আখ্যানমঞ্জরী
By (author) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০-১৮৯১) অন্যান্য শিশু-কিশোর রচনার মতো তিন খণ্ডে রচিত আখ্যানমঞ্জরী আমাদের এই সময়ের ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বই। বিদ্যাসাগর বইয়ের ভূমিকায় বলেছেন, ‘যদি আখ্যানগুলো বালকদিগের ভাষাজ্ঞান ও আনুষঙ্গিক নীতিজ্ঞান বিষয়ে কিঞ্চিৎ অংশেও ফলোপদায়ক হয়, তাহা হইলে শ্রম সফল বোধ করিব।’
শুধু আনন্দ দান করা যেন আজকালকার শিশু-কিশোর পাঠ্যবইগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাহিত্য পাঠ করে আনন্দ লাভ করা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু একই সঙ্গে শিশু-কিশোরদের নৈতিক চরিত্র গঠনও খুবই জরুরি। এটাও পড়তে পড়তেই হয়। শিশু-কিশোরদের তুলনা করা হয় নরম কাদামাটির সঙ্গে। কুমোর যেমন নরম কাদামাটি দিয়ে বাঁকিয়ে-ঘুরিয়ে বিচিত্র প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র বানিয়ে তোলেন, তেমনি নৈতিক চরিত্র গঠনের উপযোগী গল্পকাহিনি পড়ে শিশু-কিশোররা সেইমতো তৈরি হয়। আখ্যানমঞ্জরীর মতো বইয়ের গুরুত্ব এখানেই।
আখ্যানমঞ্জরী বিদ্যাসাগরের কোনো মৌলিক গ্রন্থ নয়। এটি ইংরেজি বই অবলম্বনে রচিত। বইটি যেন একের ভেতরে দুই। প্রথম দুই ভাগ বা খণ্ড বয়সে কিছুটা ছোটদের জন্য। এখানে গল্পচ্ছলে সরস ভাষায় নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য নীতি উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি আখ্যান বা কাহিনির শিরোনাম দেখলেই বোঝা যায়, ‘মাতৃভক্তি’, ‘পিতৃভক্তি’, ভ্রাতৃস্নেহ’, ‘লোভসংবরণ’, ‘গুরুভক্তি’, ‘ধর্মভীরুতা’, ‘নিঃস্বার্থ পরোপকার’ ইত্যাদি। সব মিলিয়ে আখ্যানমঞ্জরী একটি পরিকল্পিত কিশোরপাঠ্য।
আচরণগত স্নায়ুবিজ্ঞান
আচরণগত স্নায়ুবিজ্ঞান
By (author) আশরাফ মাহমুদ
বলা হয়ে থাকে আগামী একশ বছর হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের উৎকর্ষের। একদিকে মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অনেক অসম্ভবপ্রায় সমস্যার সমাধান করবে এবং স্নায়ুবিজ্ঞান ও জেনেটিকসের জ্ঞান প্রসারণের ফলে নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু আদায় করে নেবে। স্নায়ুবিজ্ঞান হচ্ছে মস্তিষ্কের বিজ্ঞান, কীভাবে মানব মস্তিষ্ক মানুষের বিভিন্ন আচরণের জন্ম দেয়, কীভাবে সেইসব আচরণকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রণ করে; কীভাবে মানব মস্তিষ্ক গঠিত হয়, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ কী, কোন অংশের কী ক্ষতিসাধনে কী রূপ ব্যাধি কিংবা সমস্যার জন্ম হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ের বিজ্ঞান।
অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে লেখক টের পেয়েছেন যে, স্নায়ুবিজ্ঞান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না। তাই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে লেখক সহজবোধ্য ভাষায় এই বইটি লিখেছেন।
এটি জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই নয়, বরং কিছুটা একাডেমিক ধরনের। বইটি পাঠে স্নায়ুবিজ্ঞানের প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়বে।
আত্মপক্ষ ও অন্যান্য গল্প
আত্মপক্ষ ও অন্যান্য গল্প
By (author) মোরশেদ শফিউল হাসান
প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও, কথাসাহিত্যে তাঁর সীমিত পদচারণাও লেখকের শক্তিমত্তার নিঃসংশয় পরিচয় দেয়। উপন্যাস একাত্তর-এর পর মোরশেদ শফিউল হাসানের প্রথম গল্পগ্রন্থ আত্মপক্ষ ও অন্যান্য গল্প-এ পাঠক যার পরিচয় পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও যুদ্ধোত্তর সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা, সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ, সাহিত্য-শিল্প অঙ্গনের বর্তমান প্রচারসর্বস্বতা এবং সাম্প্রতিক সময়ের বহু আলোচিত গুমের মতো বিষয়গুলোকে নিপুণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক এই বইয়ের গল্পগুলোতে।
শৈল্পিক নিরাসক্তি ও পরিমিতিবোধের সঙ্গে লেখকের সমাজ-রাজনীতি সচেতনতা গল্পগুলোকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। পাঠককে যা উপলব্ধির অন্য এক স্তরে পৌঁছে দেবে।
আফগানিস্তানের কবিতা
আফগানিস্তানের কবিতা
By (author) কায়েস সৈয়দ
আজকের যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহুলোক আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন এবং তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। আফগান সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। দেশটির বর্তমান জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্যও এই ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।
আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হলো পশতু জাতি। এরা আগে আফগান নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতু নয়, বরং জাতি-নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সব নাগরিককেই বোঝায়। এখানকার মানুষজন সচরাচর কথোপকথনের সময়ও কবিতা থেকে উদ্ধৃতি বা বাক্যাংশ ব্যবহার করে থাকেন। কাবুলে গভীর রাতের টিভি টক-শোতে রাজনীতিবিদদের মধ্যে কিংবা কোনো সুদূর প্রদেশের গ্রামবাসীর মধ্যে সামাজিক মিলনের ক্ষেত্রে কবিতা প্রাণের একটি অংশ। এখানে শিল্প-সংস্কৃতির চিরায়ত এক সম্পদ লোকগাথার চর্চা। এখানকার কবিতার রয়েছে একটি দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাস।
যদিও অনূদিত তবে অনুবাদকের মুন্সিয়ানায় আফগানিস্তানের কবিতা বইয়ে বাংলাভাষার মাধুর্যসহই হাজির কবিতাগুলো। আফগানিস্তানের কবিতার সাথে পরিচয়ের পাশাপাশি এ বই বাংলাভাষী পাঠকদের কাব্যপিপাসা মেটাবে।
আমাদের সঙ্গীত
আমাদের সঙ্গীত
‘আমাদের সঙ্গীত: একটি ঐতিহাসিক পাঠ’, ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসবিষয়ক বেশ উপভোগ্য একটি বই।… জনাব এম এন মুস্তাফা এই উপমহাদেশে সঙ্গীতের উদ্ভব ও বিকাশের বেশ সচিত্র বিবরণ দিয়েছেন। অদ্ভুত, আদিম কল্পনার জগৎ থেকে পুরোপুরি বাস্তব তথ্য-উপাত্ত— সর্বত্রই এই লেখকের অবাধ বিচরণ।…
জনাব মুস্তাফা তার বইয়ে গ্রিস ও পারস্যের মতো দূরবর্তী অঞ্চলগুলোয় গড়ে ওঠা সঙ্গীতের সঙ্গে উপমহাদেশীয় সঙ্গীতের যোগাযোগ দেখাতে চেয়েছেন।… জনাব মুস্তাফা এই অঞ্চলে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রগুলোর উদ্ভব ও বিকাশেরও বেশ প্রাণবন্ত বর্ণনা দিয়েছেন। এই বাদ্যযন্ত্রগুলোর সজীব বিবরণ পড়তে পড়তে পাঠক রীতিমতো ইতিহাসের পথে পথে, গলি-ঘুপচিতে হাঁটা শুরু করবেন৷ বিবরণগুলো চিত্তাকর্ষকই শুধু নয়, বেশ কাব্যিকও বটে। আমার ধারণা, জনাব মুস্তাফার এই কাজ সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। বইটি অবশ্যপাঠ্য; এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই অঞ্চলের সঙ্গীতের সত্যিকার ইতিহাসটা তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই বই হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।—
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের গানের পাশাপাশি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে লোকসঙ্গীতের ইতিহাসও তুলে এনেছেন লেখক৷ সঙ্গীতপ্রেমীদের আমি নিজেই এ বইটি পড়ার পরামর্শ দিতে চাই—’
ড. আব্দুল করিম (১৯২৮-২০০৭)
সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আমার এক নদীর জীবন
আমার এক নদীর জীবন
By (author) রওশন সালেহা
প্রতিপক্ষ ওয়েবজিনে রওশন সালেহার আমার এক নদীর জীবন ধারাবাহিক প্রকাশ হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা আত্মজৈবনিক সাহিত্যে মৌলিক অবদান হিশাবে সাগ্রহ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অধীন অবিভক্ত বাংলা এবং সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের নানা খণ্ডচিত্র উঠে এসেছে রওশন সালেহার গদ্যসাহিত্যে। ভারত ভাগের আগে পরে বাংলার একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মুসলিম নারীর পারিবারিক ও সামাজিক সংগ্রামের যে ছবি তিনি তাঁর গদ্যে তুলে এনেছেন তা শুধু সাহিত্যের নয়, সমাজতত্ত্ব ও ইতিহাসে বিদ্যার ক্ষেত্রেও অনবদ্য অবদান। অবিভক্ত বাংলায় নোয়াখালী, ঢাকা ও কলকাতার সমাজ জীবন, রাজনীতি, শিক্ষাপ্রসার ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ, ইতিহাসের নানা বাঁক ইত্যাদি বাঙালি মুসলিম পরিবারের অন্দরমহল থেকে আত্মজৈবনিক কথনের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার শৈলী অসাধারণ। বাংলা সাহিত্যে রওশন সালেহা নীরবে শক্ত স্থান দখল করে নিয়েছেন।
এই বইটির আরেকটি বিশেষ গুরুত্ব একজন শিক্ষিকার কঠিন জীবনের লড়াই। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর জীবনকে নতুন করে দেখা, শিক্ষাক্ষেত্রে জীবনসংগ্রাম, কর্মজীবনে অবসর এবং পরিণত বয়সের উপলব্ধি তাঁর গদ্যভঙ্গির মধ্যে জীবন্ত। এক বসাতেই পড়ে ফেলার মতো। পড়ার পর মনে হয় একজন সংগ্রামী নারীর জীবন ঘনিষ্ঠভাবে আমাদের জীবনের পাশে এসে বসে পড়ল বুঝি! আমরা স্তম্ভিত হয়ে এক নদীর বয়ে চলার আওয়াজ শুনতে থাকি।