Showing 469–480 of 488 results

স্পোর্টিংলি নাও

Original price was: ৳ 200.00.Current price is: ৳ 160.00.
স্পোর্টিংলি নাও By (author) প্রভাষ আমিন জীবন শুধু যাপনের নয়, উদযাপনেরও এই বইটি হওয়ার কথা ছিল না, অন্তত আমার পরিকল্পনায় ছিল না। প্রকাশক যখন আমাকে ফোন করে পাণ্ডুলিপি চাইলেন, স্বভাববিরুদ্ধভাবে আমি মুখের ওপর না করে দিয়েছি। না করার কারণ, আমার কাছে কোনো পাণ্ডুলিপি নেই। আর আগে থেকেই পরিকল্পনা করা বই গোছাতে এত ব্যস্ত ছিলাম যে নতুন করে ভাবার সুযোগই ছিল না। অপরিচিত প্রকাশককে না করলেও আমি একটু বিস্মিত হয়েছি, আমার মতো অচল লেখকের কাছে পাণ্ডুলিপি চায়, এমন বোকা প্রকাশকও বাংলাদেশে আছেন! মুখে না বললেও মনের ভেতরে নিশ্চয়ই ‘হ্যাঁ’ ছিল। তাই অন্য পাণ্ডুলিপি গোছাতে গোছাতে মনে মনে ভাবছিলাম। পাণ্ডুলিপি গোছাতে গিয়ে দেখি হিমশিম অবস্থা। সারা বছর এত আজেবাজে লেখা লিখেছি, এখন কোনটা রেখে কোনটা ফেলি অবস্থা। বাছতে বাছতেই দেখি খেলাধুলা নিয়ে বেশ কিছু লেখা হয়ে গেছে। এগুলো আলাদা করলে কেমন হয়, এমন ভাবতেই ভাবতেই বাংলাট্রিবিউনের শেরিফের ফোন। এবার আর না করা গেল না। এই হলো এই বইয়ের ইতিহাস। পাণ্ডুলিপি গোছাতে পড়তে গিয়ে দেখি ছেলেবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি যে গভীর মমতা, তার একটা প্রকাশ হয়ে যাবে এ বইয়ে। খেলাধুলাটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? মানুষের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য খেলা দরকার, এটা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু মানি না। আমাদের অভিভাবকরা খেলাধুলাকে মনে করেন সময় নষ্ট। বাংলাদেশের অনেক তারকা ক্রিকেটার ছেলেবেলায় খেলার জন্য বাবা-মায়ের অনেক মার খেয়েছেন। অনেকের ব্যাট কেটে ফেলা হয়েছে। আবার সাকিব আল হাসান এক লাখ ডলারে পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছেন, এটা শুনে আমার এক সহকর্মী বললেন, তার ছেলেকে লেখাপড়া না করিয়ে শুধু ক্রিকেট খেলাবেন। শুনে আমার ভালো লাগেনি। কারণ তার আগ্রহে ক্রিকেটের প্রতি বা খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা ছিল না, ছিল ডলারের প্রতি লোভ। আমি বিশ্বাস করি না, সারা দিন ব্যাট-বল নিয়ে পড়ে থাকলেই কাউকে ডলার কামানো সাকিব আল হাসান বানানো সম্ভব। সাকিব আল হাসানরা জন্মায় প্রতিভা নিয়ে তাদের বানানো যায় না। পরে প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশে, অভিভাবক বা কোচ ভূমিকা রাখেন। কিন্তু প্রতিভা নেই, ভালোবাসা নেই; খালি প্র্যাকটিস করেই ভালো ক্রিকেটার বনে গেছেন, এমন ইতিহাস নেই। প্রতিভার কথাই যখন এল, তখন শচীন টেন্ডুলকার আর বিনোদ কাম্বলির গল্পটা বলে নিই। ১৯৮৮ সালে হ্যারিস শিল্ডে সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়ে শচীন আর বিনোদ জুটি করেছিলেন ৬৬৪ রান। যেকোনো জুটিতে সেই বিশ্বরেকর্ড এখনো অক্ষুণ্ন আছে। তখন ওই দুই প্রতিভাবান স্কুলবালককে নিয়ে অনেক হইচই হয়েছে। বলাবলি হচ্ছিল, এই দুজনের মধ্যে বিনোদ কাম্বলি বেশি প্রতিভাবান ছিলেন। সেই প্রতিভার ছিটেফোটা ক্রিকেটবিশ্ব দেখেছে বটে, তবে বিনোদ কাম্বলির খ্যাতি ক্রিকেটের কারণে নয়, কুখ্যাতি প্রতিভার অপচয়ের উদাহরণ হিসেবে। আর শচীন খেলাটির প্রতি ভালোবাসা, একাগ্রতা, নিয়মানুবর্তিতা দিয়ে নিজেকে পরিণত করেছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে। আমি বারবার শচীনকে দেখি আর শিখি, সবাইকে শিখতে বলি। গোটা ক্যারিয়ারে প্রচারের আলোয় থাকলেও কোনো বিতর্ক নেই। যত বড়, তত বিনয়ী; এই আপ্তবাক্য সত্য মনে হয় শচীনকে দেখলে। ক্রীড়া তারকারা তরুণদের আইডল হন, তবে সবাই নয়। শচীন যেমন সত্যিকারের আইডল, কিন্তু ম্যারাডোনা নন। ক্রীড়া তারকাদের কাছে মানুষ পরিচ্ছন্ন ইমেজ চায়, চায় তার মতো হতে। কিন্তু ম্যারাডোনা যত বড় তারকাই হন, যত ভালো ফুটবলই খেলুন; কোনো অভিভাবকই চাইবেন না তার সন্তান ম্যারাডোনার মতো হোক। এই যেমন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। কিন্তু তিনি আইডল নন, আইডল হবেন মাশরাফি। আশরাফুলও আইডল হবেন না। সন্তানের হাত থেকে ব্যাট কেড়ে নেওয়াও যেমন ঠিক নয়। আবার টাকা কামানোর মেশিন বানাতে সব ছেড়ে সারা দিন ক্রিকেটে ফেলে রাখাটাও ঠিক নয়। বাংলাদেশে ক্রিকেটে গ্ল্যামার, অর্থের ঝনঝনানি দেখে অভিভাবকরা সন্তানদের সাকিব-মাশরাফি বানাতে ব্যাকুল হয়ে যান। কিন্তু সবাই সাকিব-মাশরাফি হবেন না। সবাই ক্রিকেটারাও হবেন না। শুধু যে সাকিব বা মাশরাফি হওয়ার জন্যই খেলতে হবে, তা নয়। খেলাটা হতে হবে আনন্দের জন্য, চিত্তের তৃপ্তির জন্য, সুস্থ থাকার জন্য। বিষয়টা হলো, যার কাছে যেটা ভালো লাগে। কারও ভালো লাগবে কুস্তি, কারও কাবাডি, কারও ফুটবল, কারও বা ক্রিকেট। আনন্দটাই যেন মুখ্য হয়, অর্থটা নয়। কিন্তু ইদানিং সারা বিশ্বেই পাল্টে গেছে চক্র। খেলা মানেই টাকা; আবেগ পরে, আগে টাকা। এই যেমন এখন পাকিস্তানের আচরণ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিবাদে উত্তাল। দাবি উঠেছে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার। কিন্তু টাকার লোভে সাকিবরা ঠিকই খেলতে যাচ্ছেন পাকিস্তান ক্রিকেট লিগে। আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্লাবের নাম মিলেমিশে যেত। কাজী সালাউদ্দিন মানেই আবাহনী, সালাম মুর্শেদী মানেই মোহামেডান। কিন্তু এখন কথা দেওয়ার পরও বাড়তি টাকা পেলে ক্লাব বদলে ফেলার ঘটনা অহরহই ঘটে। পেশাদারিত্বের দোহাই দিয়ে সবাই আবেগটাকে দূরে রাখেন। অথচ আমার কাছে খেলাধুলায় আবেগটাই মুখ্য। আমি একটু পুরোনো ঘরানার— ফুটবলে জয়ের চেয়ে শৈল্পিক সৌন্দর্য বেশি চাই, ধুমধারাক্কা টি-২০’র চেয়ে অলস টেস্টই মন কাড়ে বেশি। খেলা আমার কাছে নিছক খেলা নয়, জীবনাচরণ। খেলাধুলা থেকে আমি জীবনের শিক্ষা নিই। সব সময় হয়তো পারি না, কিন্তু আমি সবকিছু স্পোর্টিংলি নেওয়ার চেষ্টা করি। সবকিছুতে সিরিয়াস হয়ে বেঁচে থাকার আনন্দটা মাটি করতে চাই না। কিন্তু ইদানিং অন্য সব ক্ষেত্রে তো বটেই, স্পোর্টসেই স্পোর্টিং স্পিরিটের বড় ঘাটতি। তবু আমি জানি খেলাধুলাতেই সব আনন্দ। আমরা যদি লোভের গরলটুকু ছেকে ফেলে স্পোর্টসের আনন্দটুকু নিতে পারি, বেঁচে থাকার মানেই বদলে যেতে পারে। তাই বইয়ের নাম ‘স্পোর্টিংলি নাও’। জীবন একটাই, জীবন অমূল্য। জীবন শুধু যাপন করার জন্য নয়, উদযাপনেরও। আর এই উদযাপনের রসদ আমি পাই খেলাধূলা থেকে। বইয়ের পাণ্ডুলিপি গোছাতে গিয়ে একটা তৃপ্তি পেলাম। গত বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট যে স্বপ্নের সময় পার করছে, তার একটা ধারাবিবরণীর মত আছে এতে। মাশরাফির নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের পাশে কলম হাতে আমিও ছিলাম ভেবে ভালো লাগছে। আজ গোটা বাংলাদেশ মাশরাফি-জাদুতে বুঁদ। ভালো লাগছে, মাশরাফিতে আমি বুঁদ আরও অনেক আগে থেকেই। যত দিন ক্রীড়া সাংবাদিকতা করেছি, মনের আনন্দেই করেছি। তখনই শুনেছি, এখনো শুনি, অনেকেই নাকি ক্রীড়া সাংবাদিকতা করতে আসেনই বিদেশে পাড়ি জমাতে। বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট কাভার করতে গিয়ে ফিরে না আসা ক্রীড়া সাংবাদিকদের তালিকা কম লম্বা নয়। আমি যখন ক্রীড়া সাংবাদিকতা ছেড়ে দিই, তখনো আমাকে আটকানোর জন্য লোভ দেখানো হয়েছে, আরে মিয়া, থাকো। স্পোর্টসে থাকলে দেশ-বিদেশে ঘুরতে পারবা। সুযোগমতো ইউরোপ-আমেরিকা গিয়ে সেটেল করতে পারবা। এই জিনিসটা আমি জানি। আর কখনোই বিদেশে গিয়ে সেটেল করার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না, এখনো নেই। তাই সেই লোভের ফাঁদে পা দিইনি। তবে সবাই এমন নন, অল্প কয়েকজন এমন পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ক্রীড়া সাংবাদিকতায় আসেন। যারা এখন ক্রীড়া সাংবাদিকতা করছেন, তাদের সবার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা। আমি ছেড়ে এসেছি বটে, তবে তা ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে খাটো করতে নয়। প্রতিদিন তারকাদের সঙ্গে ওঠাবসার যে সুযোগ, তা এখনো টানে। আমি শুধু আমার কাজের ক্ষেত্রটা বড় করতে চেয়েছিলাম। তবে ক্রীড়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকতার জন্য আমার অগাধ ভালোবাসা ছিল, আছে, আশা করি থাকবে। মোস্তফা মামুনের লেখার ভক্ত আমি। শুধু খেলাধুলাবিষয়ক লেখা নয়, তার গদ্যের হাত অসাধারণ, গল্প বলার ঢং অননুকরণীয়। কালের কণ্ঠের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও এমন চমৎকার সব লেখা লেখেন কীভাবে? বইমেলার আগে নিশ্চয়ই তার ঘাড়ে প্রকাশকদের তাগাদার বিশাল বোঝা। ভয়ে ভয়ে সেই বিশাল বোঝায় চাপিয়ে দিলাম এইটুকু শাকের আঁটি। এত অল্প সময়ের নোটিশে এমন চমৎকার একটি ভূমিকা শুধু মামুনের পক্ষেই লেখা সম্ভব। ভূমিকা পড়ে আনন্দের চেয়ে লজ্জা পেয়েছি বেশি। এই বইয়ের সবচেয়ে ভালো লেখা মোস্তফা মামুনের এই ভূমিকাটুকুই। দুয়েকজন বোকা পাঠক যদি বইটি কেনেন তো মামুনের লেখার জন্যই কিনবেন। সাবেক ক্যাবিনেট সচিব মুজিবুল হকের একটি থিওরি আমি সবসময় মেনে চলি। তিনি বলেছিলেন, সময়মত কোনো কাজ করাতে চাইলে, আপনার পাশের সবচেয়ে ব্যস্ত লোকটিকে কাজটি দিন। সেই থিওরি মেনেই মামুনকে ভূমিকা লিখতে বলেছিলাম। থিওরি আবারও ঠিক হলো, পান্ডুলিপির আগেই ভূমিকা হাজির। প্রান্ত ঘোষ দস্তিদারের করা প্রচ্ছদটি বইয়ের নামের সঙ্গে কিছুটা বেমানান হয়তো। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বদলে যাওয়ার প্রতীকি ছবি এটি। খুলনা টেস্টে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের চোখে চোখ রেখে গলার রগ ফুলিয়ে সাকিবের জবাব দিতে পারাটাই এখন বাংলাদেশ। আমরা আর কাউকে ডরাই না। প্রসূন আমার সব দোষ পায়নি। খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসাটা পেয়েছে। এই বইটা নিশ্চয়ই বাবার ছেলে আনন্দ নিয়ে পড়বে। আমি চাই প্রসূনরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাটাও ভালোবাসুক। তাদের ছেলেবেলাটা হোক সুমনের গারেন মত ‘একটু পড়া, অনেক খেলা, গল্প শোনার সন্ধ্যে বেলা।’

স্বাধীনতা গণতন্ত্র মানবাধিকার

Original price was: ৳ 340.00.Current price is: ৳ 272.00.
স্বাধীনতা গণতন্ত্র মানবাধিকার ২০০৮-২০২৩ সময়কালে বাংলাদেশের নাগরিকেরা যে শাসনপদ্ধতির মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের যে চিত্র আমাদের সামনে আঁকা আছে, সেটি অন্ধকারের। এখানে ক্ষমতাসীন দলের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম প্রতিনিয়ত কঠোর ও নির্মম বাধার মুখে পড়েছে। একাত্তরে মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, সে দেশটি এই সময়ে এসে অনিয়মে বারবার পিষ্ট হতে হতে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে যে দেশটির আত্মমর্যাদায় বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তার বিপরীতে সেটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক পঙ্গুত্বের ছোবলে ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ শাসক— পরিচালিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখানে নাগরিককে শাসনের জন্য সংবিধানের মুখোমুখি দাঁড় করানো হলেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে শাসকের অভিপ্রায় পূরণ করাই শেষ কথা। এই গ্রন্থে জায়গা পাওয়া লেখাগুলো মূলত বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নানারকম অনিয়ম ও অন্ধকারের খবরের মধ্যে নাগরিকের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দিকে ফিরে তাকানোর চেষ্টা।

স্মৃতি এবং সমাধি

Original price was: ৳ 267.00.Current price is: ৳ 214.00.
স্মৃতি এবং সমাধি By (author) অনুপম দেবাশীষ রায় মেয়েদের জীবনের পরিচিত অসহায়ত্বের বর্ণনায় মানুষের জীবনের অর্থহীনতাকে খুবই হালকা চালে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ‘স্মৃতি এবং সমাধি’ গল্পের বইটি। এরপর একে একে খুনির গল্প, বন্ধুর গল্প, প্রবাসে হতভম্ব জীবনের গল্প, পতিতালয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ডের গল্প— নানামুখী বিচরণ গল্পকারের। অনুপম দেবাশীষ রায়ের গল্প পড়ার আনন্দ তার বলার ভঙ্গির অরিজিনালিটিতে। এসব গল্পই আমরা যাপন করি, চারপাশে যাপিত হতে দেখি। এসব গল্পের সাথে পরিচয় না থাকলেও, চরিত্রগুলো চিনে নিতে আমাদের অসুবিধা হয় না। ধূলায় ধূসর মাটির পৃথিবীতে মহাপুরুষ হওয়ার চেষ্টায় রত কিছু তরুণকে দেখা যায় একটি গল্পে, আবার অন্য একটি গল্পে নদীর ওপাড়ে পতিতাপল্লির বিপদজনক ও অমানুষিক কিছু বর্ণনাও পাওয়া যায়। বিপরীতমুখী এসব গল্প আমাদের সমাজবাস্তবতা নিয়ে ভাবিয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে। গল্প বলতে গিয়ে অনুপমের তাড়াহুড়ো নেই, আবার শ্লথতাও নেই; তাই পড়ার টানেই পড়ে যাওয়া যাবে এই গল্পগুলো। ‘স্মৃতি এবং সমাধি’ পাঠককে নতুন করে চিরায়ত আরও কিছু নতুন গল্প বলে যাবে।

হইচই

Original price was: ৳ 250.00.Current price is: ৳ 200.00.
হইচই By (author) আজহারুল ইসলাম চলন্ত ট্রেনে আজিম সাহেবের পাশে হঠাৎ এক যুবতী মেয়ে এসে বসল। ছাত্রীর বয়সী হবে। সামনের সিট দুটো খালি। আর কেউ বসছে না। মেয়েটা অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে। আজিম সাহেব কিছুটা বিরক্ত। সেটা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না, কিন্তু লুকিয়েও রাখতে পারছেন না। সামাজিকতা বিষয়টা আজিম সাহেব কমই আয়ত্ব করতে পেরেছেন। অন্যের সাথে মিলামেশা যে করেন না তাও না। বরঞ্চ তাকেই গল্প শোনাতে আসেন অনেকে। এই যেমন, প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা রওনকের কথাই ধরুন। তিনবছর ধরে অনার্স প্রথম বছরেই আছে। এ নিয়ে রাজ্যের সবাই চিন্তায় মরে যাচ্ছে, কিন্তু তার কোনো ভাবাবেগ নেই। আসলে তার আছে গভীর পরিকল্পনা। পরিকল্পনা কি ধ্বংসাত্মক, খোলাসা হয়নি। আবার, রংপুর থেকে ডায়েরি পাঠিয়েছে শাপলা। কিন্তু সেটা পড়তে হবে খুব সাবধানে। গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারলে ডায়েরি না খোলার অনুরোধ তার। বেশ শক্ত করেই বেঁধে দিয়েছে সে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী বোরহান উদ্দিনের গবেষণা পেপার বিখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে রীতিমত হুলুস্থুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন লেকচারারের এত বড় কীর্তি! কিন্তু বোরহান উদ্দিনের আছে অন্য এক গল্প। এই মেয়েটিও কি কোনো গল্প শোনাবে? তার মধ্যেও কি চলছে ‘হইচই’? কি নিয়ে এত হইচই?

হাঁটতে থাকা মানুষের গান

Original price was: ৳ 340.00.Current price is: ৳ 272.00.
হাঁটতে থাকা মানুষের গান By (author) জাকির তালুকদার এককেন্দ্রিক উপন্যাসের কাঠামো এখন আর এ দেশের সমাজব্যবস্থাকে ধারণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। জাকির তালুকদারের এই উপন্যাস তাই এমন এক নির্মিতি, যার কেন্দ্র আছে সর্বত্র। অন্য কথায় পরিধিজুড়ে সবটুকুই কেন্দ্র। ‘হাঁটতে থাকা মানুষের গান’ এমন এক জনগোষ্ঠীকে পাঠকের সামনে তুলে এনেছে, যাদের কাছে রাষ্ট্রের উপস্থিতি মানেই পীড়ন। রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ চেহারাকে তারা চেনে না। কিন্তু ঈশ্বরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া সর্বশক্তিমান রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত থাবা বসায় তাদের জীবন যাপনের নিজস্ব ছন্দে, তাদের পালা-পার্বণে, তাদের সীমিত স্বপ্নে। তারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হতে থাকে। একবিংশ শতকে হয়নি কোনো কৃষক-নিপীড়িতের আন্দোলন। কারণ প্রতিরোধ করার কথা ভুলে গেছে এ দেশের মানুষ। তারা বেঁচে থাকে শত্রুদের করুণার ওপর নির্ভর করে। অথবা অপেক্ষা করে অলৌকিক কোনো সাহায্যের, ত্রাণকর্তার। যদিও মনে মনে জানে অসম্ভব সেই প্রত্যাশা। পাঠক, এই ক্ষমাহীন জগতের শিল্পগাথায় আপনাকে স্বাগত।

হাঁটি হাঁটি পা পা

Original price was: ৳ 380.00.Current price is: ৳ 304.00.
হাঁটি হাঁটি পা পা By (author) ফিরোজা বহ্নি এই লেখা কোনো পরামর্শের ঝুলি না, কিংবা ‘উচিত-অনুচিত’-র বয়ানও না… এই লেখা কোনো ‘আদর্শ’ মায়ের কিংবা ‘আদর্শ’ সন্তানের গল্প না, এই লেখা নিতান্তই একটা পথচলার গল্প, এক এলোমেলো মানুষের ‘মা’ হয়ে ওঠার গল্প, মা হওয়ার পর তার বদলে যাওয়া রূপ ও বদলে যাওয়া জীবনের গল্প, একটা নতুন জীবনের আলোয় নতুন করে ‘জীবন’ দেখার গল্প, একটা ‘মানুষ’কে ঘিরে তিলে তিলে গড়তে থাকা এক উপন্যাসের প্রথম অনুচ্ছেদ যেন। সেই এলোমেলো মেয়েটা, যে কিনা ‘মা’ শব্দটি ধারণ করে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করার অভিযানে নামল, সেই মেয়েটা আমি। আর আমার গল্পের জীবনীশক্তি আর মূল অনুপ্রেরণার ‘মানুষ’টা আমার মেয়ে- বর্ণমালা!

হাতেকলমে ‘বাংলা’ ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং

Original price was: ৳ 420.00.Current price is: ৳ 273.00.
হাতেকলমে ‘বাংলা’ ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং By (author) রকিবুল হাসান লেখকের ধারণা, মানুষের মনের মতো ভাষাও একটা ‘অসম্ভব’ জটিল বিষয়, বিশেষ করে যন্ত্রের ‘পার্সপেক্টিভ’ থেকে। ওনার কথা হচ্ছে, যন্ত্র যদি ভাষাকে জয় করতে পারে, তাহলে যন্ত্রকে দিয়ে সব করানো সম্ভব। ব্যাপারটা এমন— যন্ত্র যদি ক্লায়েন্টের হয়ে আইনি ‘কন্ট্রাক্ট’ ডকুমেন্ট, হেলথ রেকর্ড, ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস দেখে দিতে পারে, তাহলে এই জায়গাগুলোতে বেশ ভালো এগিয়েছে বলা যাবে। লেখক যদি এ রকম একটা জটিল বই মুখের কথায় নামিয়ে দিতে পারেন, তাহলে বাংলাও এগিয়েছে প্রযুক্তির সঙ্গে। এই জাদুর পেছনে রয়েছে ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’। তবে, লেখক চাচ্ছেন বাংলাকে সর্বস্তরে নিয়ে যেতে— সরকারি-বেসরকারি সার্ভিস ডেলিভারিতে। এত মানুষ, সার্ভিস ডেলিভারিতে অটোমেশন না এলে একজীবনে মানুষের অনেক চাওয়াই অপূর্ণ থেকে যাবে। ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং’ সেই জাদুর কাঠির একটা অংশ। রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা আরও মানবিক হতে পারে যখন জনগণের চাহিদার ভাষা বুঝতে পারবে অটোমেশন ইন্টারফেস। বাংলা নথিপত্র ‘ডিজিটাইজড’ হয়ে গেলে সার্ভিস সময় নেমে আসবে কয়েক ঘণ্টায়।

হাতেকলমে পাইথন ডিপ লার্নিং

Original price was: ৳ 800.00.Current price is: ৳ 640.00.
হাতেকলমে পাইথন ডিপ লার্নিং By (author) রকিবুল হাসান গত ২০০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যন্ত্রের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে অনেক, তবে মানুষের আকুলতা পড়ে আছে অন্য জায়গায়। মানুষ ‘ইন্টেলিজেন্ট’ মেশিন চায় তার পাশে- সহকর্মী হিসেবে। সমাজের অসংগতি কমাতে। এটা অবশ্যই একটা ফ্যান্টাসি, আর তাই এই ‘িচন্তা করতে পারা’ যন্ত্র এবং রোবট নিয়ে লেখা হয়েছে হাজারো গল্প এবং মুভি। বাস্তবে সেটা ঘটুক আর নাইবা ঘটুক, তবে লেখক মনে করেন এই পুরো জিনিসটাই একটা ‘পাওয়ারফুল’ আইডিয়া। গত পাঁচ দশকে ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমের ‘হাইপ’ আর তার ‘অ্যাডভান্সমেন্ট’-এর ফারাক থাকাতে দুটো ‘এআই’ উইন্টার দমাতে পারেনি মানুষকে। তবে এবারের ঘটনা অন্য। গত ১০ বছরে একদিকে যন্ত্রের প্রসেসিং স্পিড বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মেমোরি এবং স্টোরেজের দাম পড়ে যাওয়ায় মানুষ অসাধারণ কিছু ‘প্রজ্ঞা’ পেয়েছে বিগ ডেটা থেকে। ‘ডেটা ড্রিভেন’ সরকারি কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকায়, লেখক ডেটা থেকে কার্যকরী ‘অ্যাকশনেবল ইনসাইট’ নেওয়ার জ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আগের দুটো বই। ব্যবহারিক লেখা— হাতেকলমে ওয়ার্কবুক স্টাইলে, যাতে করতে করতে শিখে যান সবাই। নিউরাল নেটওয়ার্ক, ডিপ লার্নিং ব্যাপারটা আমাদের জন্য নতুন হলেও ইন্টারনেট যুগের তথ্যের অবারিত ধারা আটকে রাখবে না এই প্রযুক্তি বাংলায় শিখতে। নতুন প্রযুক্তি শেখার ব্যাপারটা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের অসম্ভব ‘উদগ্রীবতা’ তাকে বাধ্য করেছে এই বইটা টাইমলাইনের আগেই আনতে। ওপেনসোর্সের মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী আমাদের লেখক তার তিনটা বই ছেড়ে দিয়েছেন ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায়। ‘রিড ফার্স্ট, বাই লেটার’ কনসেপ্টে বইটা লেখার সময় দুটো জিনিসকে খেয়াল করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১. কনসেপ্ট হেভি, কোড লাইট- কিছুটা কনসেপ্ট বুক, ২. হাতেকলমে প্রতিটা স্টেপ ধরে ওয়ার্কবুক, না শিখে যাওয়ার স্কোপ কম।

হাতেকলমে মেশিন লার্নিং

Original price was: ৳ 500.00.Current price is: ৳ 400.00.
হাতেকলমে মেশিন লার্নিং By (author) রকিবুল হাসান ডাটা নির্ভর পৃথিবীতে বাঁচতে হলে জানতে হবে এর ভেতরের কারুকাজ। আপনার অজান্তে শুধুমাত্র হাতের ফোনটাই তৈরি করছে হাজারো ডাটা, প্রতিদিন। আপনার এবং অন্যের ব্যবহারে। প্রচুর ডাটা আর অসম্ভব কম্পিউটেশনাল ক্ষমতা আমাদেরকে দেখাচ্ছে ভবিষ্যৎ দেখার নতুন পেশা। যারা ডাটাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়তে চান – তাদেরকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে বইটা। কম্পিউটারের ফিল্ড নয়, বরং সব পেশাজীবীদের জন্য একটু আলাদা ধারণা দিয়ে লেখা হয়েছে শুরু থেকে। সেকারণে এটা কোন স্পেসিফিক ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’ নির্ভর নয়। বরং, কনসেপ্টের পেছনে জোর দেয়া হয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। শুরুতে বুঝতে পারে সবাই, এমন একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলাপ হয়েছে – যার শুরুটা শিখতে লাগে দুই দিন। পরের বইগুলোতে আস্তে আস্তে আপনাকে নিয়ে যাবে প্রযুক্তির ভেতরে। আপনার অজান্তে। ডাটাকে চিনতে – একদম ভেতর থেকে। ডাটা পেশাজীবীর হাত ধরে। বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের শুরুটা হয়েছে “আর” প্রোগ্রামিং এনভায়রনমেন্ট দিয়ে। পাশাপাশি পুরো এক্সারসাইজটা করে দেয়া আছে পাইথনে। প্রযুক্তিবিদ নয়, আপনি যে পেশারই হোন না কেন, ভবিষ্যৎ দেখতে চাইলে দরকার এই বই। মানুষ ভবিষ্যৎ দেখতে পারে না – ব্যাপারটা ঠিক নয় একদম। সবার জন্য লেখা এই বইটা পড়লে বুঝবেন কি ‘মিস’ করেছেন এতোদিন! নিশ্চিতভাবে বলা যায় – চিন্তা ধারণা পাল্টে যাবে আপনার। আজকের পর থেকে। হাতে কলমে অংশটুকু তৈরি করা হয়েছে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্য করে।

হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং

Original price was: ৳ 300.00.Current price is: ৳ 240.00.
হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং By (author) ঝংকার মাহবুব অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে উন্নয়ন অনুকূল বেশ কিছু সংস্কৃতি সংযোজিত হয়েছে যার মধ্যে নানা বিষয়ের উপর অলিম্পিয়াড, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। আবার গত ১২-১৩ বছর ধরে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্যও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। অবাক করা বিষয় হলো আমাদের স্কুল কলেজের ছাত্ররা প্রোগ্রামিংকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বেশ সফলতাও অর্জন করেছে। যেমন সকল অলিম্পিয়াডের মধ্যে প্রথম সিলভার মেডেল পেয়েছে সিটি কলেজের মো. আবীরুল ইসলাম ২০০৯ সালে। তাও আবার উপমহাদেশের সকল প্রতিযোগীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়ে। ২০১২ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত আইওয়াই’তে তো বাংলাদেশের বৃষ্টি সিকদার সারা পৃথিবীর সবগুলো মেয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হলো। এই বিষয়গুলোতে আমাদের তরুণদের যে প্রশংসনীয় আগ্রহ ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ক্ষমতা তাঁর যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে এই বইয়ের লেখকের মাধ্যমে। ঝংকার মাহবুবের বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি খুবই অবাক এবং আশান্বিত হয়েছি যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নানা বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেই বড় হচ্ছে। বইয়ের নামকরণ থেকে শুরু করে ব্যবহূত ভাষা এবং ঢং সবই ভিন্ন ও আকর্ষণীয়। বইয়ের নাম ‘হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং’ হলেও লেখক সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস করে যে আমাদের যে কোনো তরুণের জন্য প্রোগ্রামিং শেখা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। প্রতিটা অধ্যায়ই লেখকের স্বতন্ত্র ভাষায়, ঢংয়ে খুবই হালকা মেজাজে উপভোগ্য কৌতুকের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে যাতে করে কোন ‘হাবলু’ই টের না পায় যে সে খুবই জটিল কিছু শিখতে যাচ্ছে। অনুশীলন করার জন্য বইতেই পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা দেয়া আছে। আমি আশা করি আমাদের ছেলেমেয়েরা এই বইটি পড়ে যেমন প্রোগ্রামিংয়ের ভয় জয় করবে ঠিক একইভাবে প্রোগ্রামিংয়ের বেশ কিছু ধারণাও আত্মস্থ করতে পারবে। আমি ঝংকার মাহবুবকে বইটি লেখার জন্য অভিনন্দন জানাই আর তাঁর বইয়ের পাঠকদের প্রতি রইল মেধার অনুশীলনীর মাধ্যমে শ্রেয়তর মস্তিষ্কের অধিকারী হয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার আমন্ত্রণ। ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

হারকিউলিসের বারো অভিযান

Original price was: ৳ 200.00.Current price is: ৳ 160.00.
হারকিউলিসের বারো অভিযান By (author) নির্ঝর রুথ ঘোষ যখন ছোট ছিলাম, ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘পুরাণ’ বা ‘পৌরাণিক কাহিনী’ নামে একটা কলাম নাম ছাপা হতো। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম কলামটা। সেটাই ছিল বিদেশি পৌরাণিক কাহিনির জগতে আমার হাতেখড়ি। এ ছাড়া ঠাকুরমা আর ঠাকুরদার ঝুলি থেকে দেশি পৌরাণিক কাহিনি পড়া তো আছেই। যখন বড় হলাম আর অন্তর্জাল হাতের মুঠোয় এল, একঝটকায় পড়ে ফেলতে লাগলাম গ্রিক, রোমান, ভারতীয় কিংবা মেসোপটেমীয় পুরাণের কাহিনি। আশ্চর্য হয়ে ভাবলাম, কীভাবে প্রাচীন যুগের মানুষেরা এত জটিল সব কাহিনি চিন্তা করল। কত ধরনের দেব-দেবী যে বানিয়েছিল তারা! একেকজনের একেক কাহিনি। কত ধরনের দৈত্য আর হিংস্র জানোয়ার যে কল্পনা করেছিল, বলার বাইরে। এই সবকিছু আমাকে মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে। আমার সেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি অন্যদের মাঝেও। এ জন্য পুরাণের কাহিনিগুলোকে নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে শুরু করেছিলাম মুখবইয়ের জনপ্রিয় পেজ ‘মিথলজি’তে। পাঠকেরা সেগুলো লুফে নিলেন। বুঝলাম আমার মতো অনেকেই আগ্রহী পুরাণ নিয়ে পড়তে। সেই সূত্রে এ বইয়ের অবতারণা। আশা করি গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত ডেমিগড (নাকি মানব?) হেরাক্লেসের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ নিয়ে লেখা বইটা পাঠককে আমোদিত করবে। ওহ আচ্ছা, হারকিউলিসকে কেন হেরাক্লেস বলছি? উত্তর পাবেন বইয়ের ভেতর। আর যদি জানতে চান হেরাক্লেস ডেমিগড নাকি মানব, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বই পর্যন্ত!

হারিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই যেখানে (হার্ডকভার)

Original price was: ৳ 400.00.Current price is: ৳ 276.00.
বই: হারিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই যেখানে লেখক: আসিফ রুডলফায প্রচ্ছদ: আবুল ফাতাহ ঘরানা: কসমিক হরর