কিংবদন্তি মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
চট্টগ্রামের ইতিহাসে বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা কেবলমাত্র বাংলাদেশের ইতিহাসেরই বরেণ্য ব্যক্তি নন, পুরো উপমহাদেশের সমাজজীবন ও রাজনীতিতে তাঁরা দ্যুতি ছড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী অন্যতম। তিনি এই উপমহাদেশের রাজনীতি ও সমাজ পরিবর্তনের এক বিশেষ যুগসন্ধিক্ষণে জন্মেছিলেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামে, যা সে-সময়কার বঙ্গদেশের পূর্ব প্রান্তের চট্টগ্রাম জেলার ছোট্ট একটি অঞ্চল। কিন্তু তিনি এমন একটি পরিবারে জন্মেছিলেন, যা বংশপরম্পরায় উজ্জ্বল। তাঁর পিতা ও পিতামহ দুজনেই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেই কেবলমাত্র আরবি-ফার্সিতেই দক্ষ ছিলেন না, বাংলায়ও তাঁদের বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল, যেজন্য তাঁরা দুজনেই পণ্ডিত হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তাঁদের পূর্বসূরি ফতেহ মোহাম্মদ শাহ্ও ছিলেন বাংলার ইতিহাসে অতি প্রসিদ্ধ সুলতান নসরত শাহ্ কর্তৃক জায়গিরপ্রাপ্ত জায়গিরদার।
জনাব আকাশ ইকবাল রচিত ‘কিংবদন্তি মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী’ গ্রন্থ থেকে উপরে বর্ণিত তথ্যসমূহ গৃহীত। এই গ্রন্থটি কেবলমাত্র ইসলামাবাদীর সংগ্রামী জীবনকেই তুলে ধরেনি, একই সঙ্গে গ্রন্থটি তাঁর কর্মমুখর জীবনের যে সামাজিক-রাজনৈতিক পটভূমি উন্মোচন করেছে, তা ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত চট্টগ্রামের এবং তার বৃহৎ প্রেক্ষাপট হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের এক অসাধারণ সমাজদর্পণ। এই সমাজদর্পণে, সমাজ-গবেষণায় ওঠে এসেছে, সে-সময় এই অঞ্চলের মুসলিম-সমাজ কেবলমাত্র অর্থনৈতিক দৈন্যের কবলেই আচ্ছন্ন ছিল না, শিক্ষাক্ষেত্রেও তারা বিরাটভাবে পিছিয়েছিল।
বিশেষত, তাদের রাজনৈতিক চেতনা ও সমাজসচেতনতা গ্রামের বা অঞ্চলের বাইরে প্রসারিত ছিল না। মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী মাদ্রাসা শিক্ষায় খুবই উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। তিনি একজন ফাজিল পাশ আলিম ছিলেন। তাঁর নিজের লেখা থেকেই আমরা জানতে পারি (জনাব আকাশের তথ্যমতে), তিনি হুগলী মাদ্রাসায় আরবি-ফার্সি শিক্ষা গ্রহণের সময় দেখেছিলেন, এই শিক্ষাও কোনো গভীর শিক্ষা ছিল না। শিক্ষার্থীরা আরবি-ফার্সিতে কোনো কথা বলতেই পারত না, যদিও ১৮২৭ সাল পর্যন্ত ফার্সিই ছিল সরকারি ভাষা।
নানা তথ্যসূত্র থেকে আমরা জানি, অষ্টাদশ শতকের বাংলাদেশে ফার্সির চর্চা কেবলমাত্র মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বহু শিক্ষানুরাগী ও রাজকর্মে আগ্রহী হিন্দুও ফার্সির চর্চা করতেন। অ্যাডামসের শিক্ষাবিষয়ক রিপোর্ট অনুযায়ী, এইসময় ফার্সি জানা হিন্দুর সংখ্যা মুসলমানদের থেকে বেশি ছিল। রাজা রামমোহন রায়ের প্রকাশিত প্রথম পত্রিকাটি ফার্সিতেই লেখা। অনেক হিন্দু পণ্ডিত মুন্সী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেমন, অনেক আরবি-ফার্সি জানা মুসলমান, যাঁরা বাংলা রচনায় দক্ষ ছিলেন, তাঁরা পণ্ডিত হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর পিতা, পিতামহ দুজনেই পণ্ডিত আখ্যা অর্জন করেছিলেন।
জনাব আকাশ ইকবাল তাঁর এই গ্রন্থে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন, মৌলানা ইসলামাবাদী আজীবন ইসলামের একজন একনিষ্ঠ সেবক এবং ইসলাম প্রচারে বিরাট ভূমিকা গ্রহণ করা সত্ত্বেও তাঁর মানসিক জগৎ ও জীবনচিন্তা ছিল অসাম্প্রদায়িক এবং অসাধারণভাবে বৈশ্বিক। তিনি তৎকালীন মুসলিম-সমাজকে ইসলামের ইতিহাস ও বিশ্ব-ইতিহাস জানানোর জন্য অনন্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। এমনকি এ কারণে তিনি সাংবাদিকও হয়েছিলেন। বের করেছিলেন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন। ইসলামাবাদীর ইতিহাস-চেতনা কেবলমাত্র জ্ঞানের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ভারতবর্ষকে, এই উপমহাদেশকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য তৎকালীন প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নিজেকে বিপুলভাবে সম্পৃক্ত করেছিলেন। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে তিনি নিজেকে এত গভীরভাবে জড়িত করেছিলেন যে, তাঁকে কারাভোগও করতে হয়েছিল। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গেও একসময় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। কিন্তু মুসলিম লীগের রাজনীতি তাঁকে আলোড়িত করতে ব্যর্থ হয় একারণে যে, তিনি এই রাজনীতিতে গরিব কৃষক, গরিব শ্রমিকের স্বার্থের বদলে মুসলিম জমিদার ও জোতদারদের শ্রেণিস্বার্থের প্রতিফলনই বেশি দেখেছিলেন (পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে বঙ্গবন্ধুও প্রায় একই চেতনার অংশীদার হয়েছিলেন)।
১৯৩০ সালে ইসলামাবাদী মুসলিম লীগ ত্যাগ করে গরিব জনগণের স্বার্থে কৃষক-প্রজা দলে যোগদান করেন। তাঁর জীবনব্যাপী সাধনা ছিল কীভাবে গরিব জনগণকে দৈন্যের বন্ধন থেকে মুক্ত করা যায়। আজকের কদম মোবারক এতিমখানা, কদম মোবারক স্কুল এই সাধনা থেকে উদ্ভূত। শৈশবোত্তীর্ণ কৈশোরে পিতৃমাতৃহীন ইসলামাবাদী অনুভব করেছিলেন, অনাথ শিশু-কিশোরদের অসহনীয় অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার পথ অনুসন্ধান করতে হবে। অনাথ শিশু-কিশোরদের প্রতি এই গভীর মমত্ববোধ ইসলামাবাদী আজীবন লালন করেছেন। তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন, কদম মোবারক এতিমখানা একদিন বিরাট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। তাঁর এই প্রত্যাশা আজও পূর্ণ পরিণতি পায়নি। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তাঁর এই স্বপ্নকে পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে।
ইসলামাবাদী ছিলেন একজন রাজনীতিসচেতন পূর্ণ মানুষ। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, এদেশের মানুষ যেন সার্বিকভাবে ঔপনিবেশিক শোষণমুক্ত হয়। সেইজন্য তিনি মুসলিম লীগের ব্রিটিশ রাজতোষণ নীতি যেমন পছন্দ করেননি তেমনি কংগ্রেসের অহিংস অসহযোগ আন্দোলনকেও তিনি ঔপনিবেশিক শাসকদের এই উপমহাদেশ থেকে বিতাড়নের জন্য উপযুক্ত পন্থা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেননি। স্মরণীয় ১৯৩০-৩৪ সালে চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহ ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম, যা বিশ্ব-ইতিহাসে একটি অনন্য উদাহরণ এই কারণে যে, এই বিপ্লবীরা তৎকালীন ব্রিটিশরাজের ইতিহাসে তাদের অধিকৃত একটি ভূমি বা অঞ্চলকে চার দিনের জন্য উন্মুক্ত ও স্বাধীন রাখতে সক্ষম হয়েছিল। সেজন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সুভাষ চন্দ্র বসু যখন ব্রিটিশদের বিতাড়নের জন্য আজাদ-হিন্দ ফৌজ গঠন করলেন সুদূর জাপানে এবং একসময় যখন আজাদ-হিন্দ ফৌজ প্রায় ইম্পল পর্যন্ত পৌঁছে যায় তখন মৌলানা ইসলামাবাদী সুভাষ চন্দ্র বসুর এই উদ্যোগের প্রতি যে-গোপন সহায়তার হস্ত প্রসার করেছিলেন, তা তাঁর অতলান্ত গভীর দেশপ্রেম থেকেই সঞ্জাত। এরজন্য তিনি বিরাট মূল্যও দিয়েছেন। দিল্লি ও পাঞ্জাবের ব্রিটিশ কারাগারে তাঁর উপর অবর্ণনীয় শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল।
ইসলামাবাদী প্রকৃত অর্থেই এক অসাধারণ মানব। ধর্মে তাঁর ছিল অটল বিশ্বাস। মানুষের প্রতিও ভালোবাসা ছিল তাঁর অন্তহীন। দেশপ্রেমেও তিনি জীবন উৎসর্গ করতে ছিলেন সদা প্রস্তুত। শিক্ষার প্রতি তাঁর অনুরাগও ছিল তুলনাহীন। তিনি এদেশের মানুষকে ‘মনুষ্যত্বে’ উজ্জ্বীবিত করতে শিক্ষাকে পাথেয় হিসেবে দেখেছিলেন।
জনাব আকাশ ইকবালের ‘কিংবদন্তি মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী’ গ্রন্থে ইসলামাবাদীর অসাধারণ চারিত্রিক অবয়বকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা মৌলানা ইসলামাবাদী সম্পর্কে যথার্থই একটি অমূল্য গবেষণা গ্রন্থ।
আমার কামনা, এই গ্রন্থটি আমাদের তরুণ-সমাজকে মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্দীপিত করে বাংলাদেশকে একটি মানবিক সমাজে রূপান্তরে প্রেরণা দিক।প্রফেসর ড. অনুপম সেন
উপাচার্য
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি
চট্টগ্রাম।
“এমপ্লয়াবিলিটি” has been added to your cart. View cart
-18%

Daily Use of Math: দৈনন্দিন জীবনে সহজ সমাধান
৳ 350.00 Original price was: ৳ 350.00.৳ 280.00Current price is: ৳ 280.00.

মালায়ুর দেশে
৳ 270.00 Original price was: ৳ 270.00.৳ 220.00Current price is: ৳ 220.00.
কিংবদন্তি মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
৳ 600.00 Original price was: ৳ 600.00.৳ 490.00Current price is: ৳ 490.00.
লেখক : আকাশ ইকবাল
প্রকাশনী : অক্ষরবৃত্ত
বিষয় : ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, মুসলিম ব্যক্তিত্ব
পৃষ্ঠা : 336, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2023
আইএসবিএন : 9789849614508, ভাষা : বাংলা
Description
Reviews (0)
Be the first to review “কিংবদন্তি মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী” Cancel reply
Related products
কন্টেন্ট রাইটিং এর মহারাজা
লেখক : মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
পৃষ্ঠা : 96, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849615965
Content is King! কেন এই কন্টেন্টকে কিং বলা হয়, তাঁর কারন রয়েছে এই বইয়ে। বইটিতে যেমনভাবে আলোচনা করা হয়েছে অনলাইন বনাম অফলাইন মাধ্যমে লেখার পার্থক্য, আপনার পাঠক টোটকা, সাব এডিটিং, প্রুফরিডিং, ওয়েবসাইট-বিজ্ঞাপন-ইমেইল-কপিরাইটিং ইত্যাদি মাধ্যমের জন্য কন্টেন্ট লেখার ট্রিকস; ঠিক তেমনভাবেই আলোচনা করা হয়েছে এসইও, সাংবাদিকতা, নিজের ব্লগে লেখালেখি, সাংবাদিকতা, লেখকের পার্সোনাল ব্রান্ডিং সহ নানাবিধ সহজপাঠ্য। এছাড়াও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ঘাড়ে চড়ে কিভাবে দূর্দান্ত কন্টেন্ট লিখতে বা তৈরি করতে হয় তার হ্যাকস ও উল্লেখিত আছে বইটিতে। সর্বোপরি কন্টেন্ট নামক এই কিং বা রাজাকে জব্দ করে নিজেই মহারাজা বনে যাওয়ার টোটকা রয়েছে বইটিতে। তবে আসুন.. কন্টেন্ট এর দুনিয়ায় আপনাকে জানাই স্বাগতম।
দ্যা অ্যালকেমিস্ট
লেখক : পাওলো কোয়েলহো
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : সমকালীন উপন্যাস
পৃষ্ঠা : 120, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 9789849597797
সত্যিই যদি মন থেকে কিছু চান,সেটা পাওয়া মোটেও অসম্ভব না। পাওলো কোয়েলহোর এই বইটিতে পাবেন এক রাখাল বালকের মন্ত্রমুগ্ধ অভিজ্ঞতা,যা আপনাকে নাটকীয়তা,হাসি ঠাট্টার মধ্যেও দিবে একটি গভীর অন্তর্দৃষ্টি। এই অন্তর্দৃষ্টি আপনাকে নিজের হৃদয়ের কথা শোনার আকুল আবেদন,নিজের স্বপ্নকে সত্যি করার,শত বাঁধা পেরিয়ে মনের চাওয়া মেটানোর উপাদান যোগাবে। কল্পনার জগতকে নাড়া দেওয়ার পাশাপাশি মিষ্টি এবং বৈচিত্র্যময় একটি গল্পের সাক্ষী হতে এখন পড়া শুরু করে দিন এই বইটি।
ফ্রেশারস টু জব রেডি
লেখক : শাফী শাওন
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
পৃষ্ঠা : 160, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 789849835653, ভাষা : বাংলা
আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই হচ্ছে পরীক্ষানির্ভর। এখানে প্রায়োগিক বিষয়গুলো অনেক কম। গ্র্যাজুয়েট হওয়া এবং জব পেয়ে যাওয়া- এই দুইটার মধ্যে একটা গ্যাপ রয়েছে। গ্যাপের জায়গাটা হলো জবের জন্য প্রিপেয়ার হওয়া। সদ্য স্নাতক হিসেবে আমাদের খুবই প্রতিযোগিতামূলক জব মার্কেটে প্রবেশ করতে হয়। অনেকেই তালগোল হারিয়ে ফেলে। আর এখানে তালগোল হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। যেখানে আমার ওঠা, বসা, কথা বলা, বাচনভঙ্গি, আমি কেমন শব্দ ব্যবহার করছি, কীভাবে খাচ্ছি, বিবেক, বুদ্ধি, চিন্তা প্রক্রিয়া প্রত্যেকটা বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। জব প্রোভাইডার অর্থাৎ নিয়োগ কর্তারা আসলে কী চাচ্ছে, কেমন মানুষ চাচ্ছে, কী ধরনের স্কিল সেট চাচ্ছে সেটা বুঝে সে অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করে, ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কীভাবে আমার সঙ্গে সুইটেবল এবং আমার জন্য ফিট ক্যারিয়ার পাথ ঠিক করব, সে অনুযায়ী কীভাবে আমার ক্যারিয়ার প্ল্যান করব, কীভাবে প্রিপারেশন নিব, কীভাবে জব সার্চ করব, কীভাবে সিভি বানাব, কীভাবে কভার লেটার লিখব, কীভাবে আমার নেটওয়ার্ক তৈরি করব, কীভাবে সেলফ ব্র্যান্ডিং করব, কীভাবে রিক্রুটার মাইন্ডসেট বুঝব, কীভাবে ইন্টারভিউয়ের প্রিপারেশন নেব এবং একজন ফ্রেশার হিসেবে কর্মপরিবেশে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেব এবং উত্তরোত্তর নিজের উন্নতি ধরে রাখব, এ যাবতীয় বিষয় ইনশা আল্লাহ্ আমরা জানব। চ্যাপ্টার শেষে কিছু টু ডু দেওয়া থাকবে, টুডুগুলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলব। কোনোটা পেন্ডিং রাখব না। জব রেডি হওয়ার দিকে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তোমাকে অভিনন্দন। আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই হচ্ছে পরীক্ষানির্ভর। এখানে প্রায়োগিক বিষয়গুলো অনেক কম। গ্যাজুয়েট হওয়া এবং জব পেয়ে যাওয়া- এই দুইটার মধ্যে একটা গ্যাপ রয়েছে। গ্যাপের জায়গাটা হলো জবের জন্য প্রিপেয়ার হওয়া। সদ্য স্নাতক হিসেবে আমাদের খুবই প্রতিযোগিতামূলক জব মার্কেটে প্রবেশ করতে হয়। অনেকেই তালগোল হারিয়ে ফেলে। আর এখানে তালগোল হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। যেখানে আমার ওঠা, বসা, কথা বলা, বাচনভঙ্গি, আমি কেমন শব্দ ব্যবহার করছি, কীভাবে খাচ্ছি, বিবেক, বুদ্ধি, চিন্তা প্রক্রিয়া প্রত্যেকটা বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। জব প্রোভাইডার অর্থাৎ নিয়োগ কর্তারা আসলে কী চাচ্ছে, কেমন মানুষ চাচ্ছে, কী ধরনের স্কিল সেট চাচ্ছে সেটা বুঝে সে অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করে, ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কীভাবে আমার সঙ্গে সুইটেবল এবং আমার জন্য ফিট ক্যারিয়ার পাথ ঠিক করব, সে অনুযায়ী কীভাবে আমার ক্যারিয়ার প্ল্যান করব, কীভাবে প্রিপারেশন নিব, কীভাবে জব সার্চ করব, কীভাবে সিভি বানাব, কীভাবে কভার লেটার লিখব, কীভাবে আমার নেটওয়ার্ক তৈরি করব, কীভাবে সেলফ ব্র্যান্ডিং করব, কীভাবে রিক্রুটার মাইন্ডসেট বুঝব, কীভাবে ইন্টারভিউয়ের প্রিপারেশন নেব এবং একজন ফ্রেশার হিসেবে কর্মপরিবেশে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেব এবং উত্তরোত্তর নিজের উন্নতি ধরে রাখব, এ যাবতীয় বিষয় ইনশা আল্লাহ্ আমরা জানব। চ্যাপ্টার শেষে কিছু টু ডু দেওয়া থাকবে, টুডুগুলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলব। কোনোটা পেন্ডিং রাখব না। জব রেডি হওয়ার দিকে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তোমাকে অভিনন্দন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের লাইফ ম্যানেজমেন্ট প্যাকেজ
লেখক : ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স, ডা. শামসুল আরেফীন, মোঃ মাছুম চৌধুরী, সাজিদ ইসলাম
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ, চেতনা প্রকাশন, বুকমার্ক পাবলিকেশন, সিয়ান পাবলিকেশন
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
মুমিনের ক্যারিয়ার ভাবনা:
কেমন হবে একজন খাঁটি মুমিনের ক্যারিয়ার? কী হবে তার জীবনের লক্ষ? ক্যারিয়ার মানেই আমরা বুঝি টাকা এবং সম্মান। ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ সম্মান খোঁজে, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ টাকা খোঁজে। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে সম্মান খোঁজা, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে টাকা খোঁজা, এটা মুমিনের লক্ষ হতে পারে না। কারণ, মুমিন বিশ্বাস করে, টাকা আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। রিজিক আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে এবং সম্মানও আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। আল্লাহ তাআলা রিজিকেরও মালিক, সম্মানেরও মালিক। এটা আল্লাহ তাআলা যে কাউকে ক্যারিয়ার ছাড়াই দিতে পারেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। সুতরাং আমাদের ক্যারিয়ারটা হবে অন্যান্য মানুষের চেয়ে আলাদা। একজন মুমিনের ক্যারিয়ার হবে মূলত দুইটা উদ্দেশ্যে, একটা হচ্ছে দাওয়াহ, আরেকটা হচ্ছে, সাদাকাহ। একজন মুমিন উপরে উঠবে, অনেক উপরে উঠবে। একজন মুমিন সম্পদ উপার্জন করবে, অনেক সম্পদ উপার্জন করবে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তার লক্ষ্য থাকবে দুইটা। একটা হচ্ছে, সদাকাহ করা, এবং দুই নম্বরে হচ্ছে, দাওয়াহ করা। দ্বীনের দাওয়াহ করা। মানুষের কাছে দ্বীনটাকে উপস্থাপন করা।ভালোবাসার চাদর:
একটি গল্প শুনেছিলাম। দাম্পত্য অশান্তির তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এক পিতা তার পুত্রকে ওসিয়াত করছিলেন যে, ‘বাবা আর যা-ই করো না কেন জীবনে বিয়ে করবে না’। ছেলে বাবাকে বলেছিল, ‘জ্বি বাবা, আপনি একটুও দুশ্চিন্তা করবেন না, আপনার এই ওসিয়াত নিশ্চয়ই আমি আপনার নাতীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে যাব’।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক—এমনকি কেরানি হওয়ার জন্যও কিছু না কিছু শেখানো হয়; কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো বিশেষ শিক্ষা নেই। অথচ আমরা আর যা কিছুই হই বা না হই, স্বামী-স্ত্রী হওয়ার আবশ্যকতা প্রায় শতভাগ।
দাম্পত্য জীবনকে মোটেই হাল্কাভাবে দেখলে চলবে না; কারণ আপনি চান কিংবা না চান এটা আপনার প্রতিটি সকাল, প্রতিটি সন্ধ্যা, প্রতিটি রাতকে প্রভাবিত করবে। আপনার জীবনে সফলতা ব্যর্থতার গতিপথ নির্ধারণে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখবে।
তাই এই জীবন যারা শুরু করেননি তাদের যেমন এ বিষয়ে জ্ঞান প্রয়োজন, যারা জ্ঞানহীন পথ চলে অনেক দূর এসেছেন ঠিকই, কিন্তু পথ ক্লান্ত-শ্রান্ত করে ছেড়েছে; কিংবা যারা ক্লান্ত হননি, তবে ভবিষ্যতে হতেও চান না তাদের সকলেরই প্রয়োজন। এমন সকলের জন্যই আমাদের এই বই “ভালোবাসার চাদর”।
পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস:
বিশেষ গুণের কারণে, বিশেষ কর্মের কারণে, বিশেষ অবদানের কারণে একজন মানুষ জন অন্য মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, তখন সে পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। একজন সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বিশেষ একজন হতে পারে। প্রত্যেক মানুষের সফল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষমতা থাকা সত্বেও প্রত্যেক মানুষ পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারে না। কারণ, বেশিরভাগ মানুষের পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে অনেক মানুষ নিজের মূল্যবোধ নষ্ট করে নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ হারিয়ে ফেলে। সেজন্য খুব কম মানুষই সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে অন্য মানুষের জীবনে অবদান রাখতে পারে। জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাওয়া মানুষের মধ্যে অধিকাংশই জানে না সফলতা অর্জনের কারণগুলো, জানে না নিজেকে অথেনটিক পারসোনাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার টেকনিক। ‘পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস’ বইটিতে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর এ টু জেড উপাত্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কর্পোরেট দুনিয়ার সেরা উদ্যোক্তা, সিইও, সেলিব্রেটিদের পারসোনাল ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করার কৌশল ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।এপিটাফ:
উস্তাদ মুহাম্মাদ হুবলস। অস্ট্রলিয়ান দাঈ। প্রচন্ডভাবে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। মানুষের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিতে পারেন। জাহিলিয়াত থেকে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসা, বস্তুবাদি যান্ত্রিক আটপৌরে জীবনে হাঁপিয়ে উঠা এই আমাদেরকে আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেওয়া, জান্নাতের পথে চলার সীমাহীন শক্তি যোগাতে এই উস্তাদের তুলনা তিনি নিজেই। . উস্তাদের লেকচার অবলম্বনেই এই বইটি। বর্তমান সময়ে আমরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছ তা ভয়াবহ। ফিতনার সময় চলছে। আমাদের অনেক সমস্যা, অনেক প্রতিবন্ধকতা। তার মধ্যে অন্যতম মুসলিম পরিবারে জন্মেও উম্মাহর একটা বড় অংশ্যই এখনও কাফেরদের লাইফ স্টাইলে চলে। অনেকসময় আমরা বুঝি যা করছি ভুল করছি, এটা সঠিক পথ নয়, কিন্তু ভুলের সেই চক্র থেকে বের হতে পারি না। তখন আমাদের একটি ধাক্কার দরকার পড়ে। এমন কিছু যা আমাদের অন্তরকে কাঁপিয়ে দিবে। বস্তুবাদ, চোখ ধাঁধানো আলোর এই মোহের জগৎ নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে দিবে। এই বইটি সেই ধাক্কা হিসেবে কাজ করবে এই আমাদের বিশ্বাস।মেন্টর@ব্যাকপ্যাক
লেখক : জিয়া উদ্দিন মাহমুদ
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
পৃষ্ঠা : 96, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 9789849835608
মেন্টরিং একটি অমূল্য প্রক্রিয়া যা প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং আত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। এটি জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা হস্তান্তরের একটি পদ্ধতি যা মেন্টির বিকাশে সাহায্য করে। মেন্টরিং মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি নিজের সম্ভাবনা চিনে এবং তার উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। মেন্টরশীপ ব্যক্তিকে নির্দেশনা, পরামর্শ এবং সমর্থন প্রদান করে যা তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এটি নতুন দক্ষতা অর্জন, কর্মজীবনে অগ্রগতি এবং ব্যক্তিগত উন্নতির পথ প্রশস্ত করে। মেন্টররা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান ও পরামর্শ দিয়ে মেন্টিদের সাহায্য করে, যার ফলে মেন্টিরা তাদের সম্ভাব্য ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল হতে পারে। মেন্টরিং শুধু ক্যারিয়ার গঠনেই নয়, ব্যক্তিত্ব বিকাশ, নেতৃত্ব দক্ষতা উন্নয়ন এবং জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক। এটি ব্যক্তিদের তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে উৎসাহিত করে এবং পেশাগত জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে। সব মিলিয়ে, মেন্টরিং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনে একটি অপরিহার্য উপাদান।
সবার জন্য পাইথন
লেখক : আকছাদুর রহমান
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : কম্পিউটার প্রোগ্রামিং
পৃষ্ঠা : 188, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2023
আইএসবিএন : 9789849760856, ভাষা : বাংলা
পাইথন একটি বহুমুখী, উচ্চ-কর্মক্ষমতা এবং সহজে শেখার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর ব্যবহার এবং শেখার সরলতা, বহুমুখীতা, কর্মক্ষমতা, ডেটা বিশ্লেষণ এবং বৈজ্ঞানিক কম্পিউটিং এর জন্য শক্তিশালী সাপোর্ট, বৃহৎ এবং সক্রিয় কমিউনিটি, অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং পাইথনকে অনন্য মর্যাদায় নিয়ে গেছে৷ তাই হুহু করে বাড়ছে পাইথনের চাহিদা৷ যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রোগ্রামিং এর জগতে নিজেকে অত্যাধুনিক রাখতে পাইথন শিখুন, নিজেকে অগ্রগামী রাখুন৷ এই বইটি মূলত পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজর প্রাথমিক ও মৌলিক বিষয়গুলো শেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। বইটিতে মৌলিক ধারণা, সিনট্যাক্স, ভেরিয়েবল, কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট, লুপ, ফাংশন, লিস্ট, ডিকশনারি, ফাইল হ্যান্ডলিং, মডিউল, প্যাকেজ, ডেটা স্ট্রাকচার এন্ড অ্যালগরিদম, নাম্পাই লাইব্রেরি ও বেশ কিছু মজার প্রবলেম সলভিং ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। যারা নতুনভাবে প্রথম কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা শুরু করতে চাচ্ছেন বা পাইথনে প্রোগ্রামিং শেখার ইচ্ছা পোষণ করছেন তাদের জন্য বইটি আদর্শ হতে পারে। তবে আপনি যদি অন্যান্য ভাষায় প্রোগ্রাম করে থাকেন এবং সেই জ্ঞানের আলোকে পাইথন শিখতে চান তাহলে বইটি হবে আপনার উপযুক্ত গাইড।
স্টেপস ফর কর্পোরেট লিডারশিপ অ্যান্ড ক্যারিয়ার পাথ
লেখক : মোহাম্মদ সাইফ নোমান খান
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
পৃষ্ঠা : 152, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2023
আইএসবিএন : 9789849760870, ভাষা : বাংলা
আজকে অফিসের কোনো মিটিংয়ে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন, কিন্তু নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেননি? আজকে কোনো ইন্টার্নশিপের প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কথা রাখতে পারেননি? আজকে কোনো চাকরির ইন্টারভিউ ছিল, কিন্তু দেরি করে যাওয়ার জন্য ভালোভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেননি? আপনার উত্তর যদি না হয়, তাহলে এই বই আপনার জন্য। করপোরেট দুনিয়ার নানান দিক, নানান রঙ। করপোরেট পেশাজীবী নিজেকে তৈরি করতে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনেক স্বপ্ন থাকে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি হাতেকলমে শেখার সুযোগ অনেকটাই সীমিত। কী শিখতে হবে, কীভাবে শিখতে হবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ অনেক কম। আবার যারা তরুণ পেশাজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তারাও থাকেন দ্বিধায়। অথচ, পরিকল্পনা, পেশাগত কোনো লক্ষ্য অর্জন, ও কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে আমাদের তরুণেরা সামনে এগিয়ে নিতে পারে। এই বইটি আসলে সেসব ক্যারিয়ার ও করপোরেট বিষয়ের একটি সংকলন মাত্র। পেশাজীবনে সাফল্য গাণিতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বসে থাকলে সেখানে কোনো অর্জন আসে না। সাফল্যের জন্য, নিজেকে বদলে ফেলার জন্য কাজ করতে হবে। কীভাবে কী করা যায়, শুরু করতে কী প্রয়োজন, এই বিষয়টি তুলে ধরার অংশ হিসেবে এই বইতে নানান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের চিন্তা কৌশল শিখতে, সমস্যা বা সংকট সম্পর্কে জানতে, নানান নেতিবাচক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াসহ দক্ষ পেশাজীবী হয়ে ওঠার নানান কৌশল নিয়েই এই বই। ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে, চেষ্টা করতেই হবে। যারা চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায় দারুণ কাজে আসবে।
হু মুভড মাই চিজ?
লেখক : স্পেনসার জনসন
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
অনুবাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন
পৃষ্ঠা : 56, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849492658
আসুন একটা গল্প শুনি, মন দিয়ে পড়ুন
গল্পটি ২ টি ইঁদুর এবং মানুষের মত দেখতে ২ জন খর্বাকৃতির গল্প। ২ জন ইঁদুরের নাম স্নিফ এবং স্কারি এবং বাকি ২ জনের নাম হ এবং হেম । এরা চারজনই কোন একটা গোলকধাঁধার মধ্যে জীবন কাটায়। প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই গোলকধাঁধার মধ্যে দৌঁড়ে চিজ/ পনির খুঁজতে থাকে এবং পেলে তা দিয়ে জীবন ধারণ করে। তারা পনির খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে হ এবং হেম জগিং স্যুট এবং জুতা পরে নিত যাতে তাদের দৌঁড়ে পনির খুজঁতে কোন অসুবিধা না হয়। কিন্তু একদিন!! একদিন তারা ৪ জনই চিজ স্টেশন সি তে বিশাল পনিরের মজুদ পেলো। এমন চিজ দেখে তারা পাগল প্রায়। তাঁরা তাদের জুতা ছুড়ে ফেলে সেখানেই জীবন যাপন শুরু করলো। কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই তাঁরা ধরে নিল তাদের বাকি জীবন এভাবেই চলে যাবে। হঠাৎ একদিন!! তাঁরা চিজ স্টেশন সি তে গিয়ে দেখলো সেখানে কোন পনির নেই। এটা দেখে হ এবং হেম পাগল এর মত অবস্থা। তাঁরা চিৎকার করে উঠলো, “না এমন হতে পারে না। এটা অন্যায়। আমাদের সাথে এটা হতে পারে না। ” অন্যদিকে স্নিফ এবং স্কারি এটা দেখে তাঁরা অন্য দিকে পনির খুজতে শুরু করলো। একদিন তাঁরা পেয়েও গেল চিজ স্টেশন এন এর দেখা যা চিজ স্টেশন সি এর চেয়ে বেশি। হ এবং হেম তাদের দুঃখ ভুলতে পারলো না। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে থাকলো। এদিকে ক্ষুদার্থ থাকায় এবং ডিপ্রেশনে তাদের শরীর খারাপ হতে থাকলো। তাঁরা ভয় পেতে থাকলো অন্য কোথাও গেলে যদি তাঁরা হারিয়ে যায়, তাঁরা যদি ভালো কিছু করতে না পারে? অনাগত ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় তাঁরা তা গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। একদিন হ চাইলো নতুন পনিরের খোঁজ করতে কিন্তু হেম কোনভাবেই তা হতে দিল না। বরং হ এর উপর রাগ দেখানো শুরু করলো। একদিন হ এর রাগ উপেক্ষা করে হেম আবার পনির খোঁজ করতে বের হল। অনেক কষ্টের পর সেও চিজ স্টেশন এন এর খোঁজ পেলো। এরমধ্যে অনেকবার হ কে রাজি করানোর ট্রাই করেও পারলো না।
এবার আপনাদের কাছে প্রশ্ন-
১) আপনি পরিবর্তন ভয় পান?
২) সবসময় কমফোর্ট জোনে থাকতে চান?
৩) অন্য পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেন না বা চান না?
৩) আপনার কি খারাপ সময় নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না?
সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বইটি আপনার পড়া উচিৎ। হ্যাঁ, আমি “হু মুভড মাই চিজ” বইয়ের কথা বলছি। আপনি সামনে খুব বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন কিংবা সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন। এই বইটি/ গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন, আমাদের কেমন মানসিকতা নিয়ে চলা উচিৎ বা কী করা উচিৎ? এই বইটি পড়লে অযুহাত / ভেঙ্গে না পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক গুলো কারণ চোখে পড়তে শুরু করবে।
© 2024 Thebookcenterbd All rights reserved | Developed By Deshi IT
Reviews
There are no reviews yet.