মুসলিম দুনিয়ার ক্ষমতা সম্পর্কের ইতিহাস জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা
পারভেজ আলম
ধর্ম যার যার, ব্যবসা সবার! বিশ্বব্যাপী এই ভয়াবহতার শিকার মানবজাতি, যার আর নাম মহাজনগণ। বেনিয়ার অবাধ বানিজ্য বিপ্লব, সাম্রাজ্যের সম্ক্রসারণ এবং দেশে দেশে অনাহুত সামরিক হস্তক্ষেপ এই ভয়াবহতার নেপথ্য কারন। এই উপলদ্ধি চিত্তে দৃঢ় করতে না পারলে বঞ্চিত লাঞ্ছিত মহাজনগণের সাথে হূদয়বৃত্তির যোগ হবে না, শোষিতের দীর্ঘশ্বাস মরমে পশিবে না।
সাম্ক্রতিক দশক গুলোয় পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তার সম্ক্রসারণের উসিলা পরিবর্তন করেছে। সমাজতন্ত্র থেকে ইসলামে এই পরিবৃত্তি তথা ক্রুসেডের উত্থান একবিংশ শতকে জিহাদ ও খেলাফত প্রপঞ্চদ্বয়ের ঐতিহাসিক পূনর্জাগরণ ঘটিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের প্রতিপ্রশ্নেই এই পূনর্জাগরণ, ইহা অনস্বিকার্য।
সাম্রাজ্যবাদের রোপিত এই বিক্ষোভে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বহু রাষ্ট্র তার ভারসাম্য হারিয়েছে। অন্তর্গত জনগণ অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে। অধুনা গোদের উপর বিষফোড়ার মতো জন্ম নিয়েছে খেলাফত রাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ সাম্রাজ্যবাদের আপন ঘরে সিদ কাটতেও সময় নেয় নাই। আর উলুখাগড়ার মতো নির্বিচারে বলি হয়েছে মহাজনগণ।
জিহাদ ও খেলাফত এমন দুটি প্রপঞ্চ যার উত্তেজনা আমাদের সমাজেও ক্রমবর্ধমান। বিশ্বব্যাপী এই উত্তেজনার অংশীদার মহাজনগণ। যে মানুষ এই উত্তেজনার বলি সেও মহাজনগণের অংশ। তাই এই প্রপঞ্চদ্বয়ের ইতিহাস যে বিভিন্ন সাপেক্ষ প্রকল্পের আওতাধীন তা অনুধাবন করা এখন সময়ের দাবি।
ইতিহাস বরাবরি কোন না কোন প্রকল্পের অধীন। তাই একটি নিরাবেগ নিরাসক্ত জায়গা থেকে ইতিহাসকে দেখতে হলে নিষ্ঠার প্রয়োজন। ঐতিহাসিক বিকাশ ও বিবর্তনের পর্বসমূহে ক্রিয়াশীল প্রকল্পগুলোর সামাজিক রাজনৈতিক বাতাবরণকে শনাক্ত করতে পারা ইতিহাস পাঠের সদা সচেতন শর্ত। সাথে সাথে ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের সামাজিক পরিক্রমার সম্কর্ক অনুধাবনও জরুরি।
সারাৎসারে ‘জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা’ এই অনুধাবনেই সচেষ্ট হয়েছে। রাষ্ট্রিয় সংহতি অটুট রাখার স্বার্থেই ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় উত্তেজনার মাঝে এ প্রচেষ্টার সঞ্চালন সমাজের সর্বস্তরেই প্রয়োজন। কারন কথা ছিল ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার হবে।


মুসলিম দুনিয়ার ক্ষমতা সম্পর্কের ইতিহাস জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা
৳ 400.00 Original price was: ৳ 400.00.৳ 320.00Current price is: ৳ 320.00.
মুসলিম দুনিয়ার ক্ষমতা সম্পর্কের ইতিহাস জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা
By (author) পারভেজ আলম
ধর্ম যার যার, ব্যবসা সবার! বিশ্বব্যাপী এই ভয়াবহতার শিকার মানবজাতি, যার আর নাম মহাজনগণ। বেনিয়ার অবাধ বানিজ্য বিপ্লব, সাম্রাজ্যের সম্ক্রসারণ এবং দেশে দেশে অনাহুত সামরিক হস্তক্ষেপ এই ভয়াবহতার নেপথ্য কারন। এই উপলদ্ধি চিত্তে দৃঢ় করতে না পারলে বঞ্চিত লাঞ্ছিত মহাজনগণের সাথে হূদয়বৃত্তির যোগ হবে না, শোষিতের দীর্ঘশ্বাস মরমে পশিবে না।
সাম্ক্রতিক দশক গুলোয় পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তার সম্ক্রসারণের উসিলা পরিবর্তন করেছে। সমাজতন্ত্র থেকে ইসলামে এই পরিবৃত্তি তথা ক্রুসেডের উত্থান একবিংশ শতকে জিহাদ ও খেলাফত প্রপঞ্চদ্বয়ের ঐতিহাসিক পূনর্জাগরণ ঘটিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের প্রতিপ্রশ্নেই এই পূনর্জাগরণ, ইহা অনস্বিকার্য।
সাম্রাজ্যবাদের রোপিত এই বিক্ষোভে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বহু রাষ্ট্র তার ভারসাম্য হারিয়েছে। অন্তর্গত জনগণ অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে। অধুনা গোদের উপর বিষফোড়ার মতো জন্ম নিয়েছে খেলাফত রাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ সাম্রাজ্যবাদের আপন ঘরে সিদ কাটতেও সময় নেয় নাই। আর উলুখাগড়ার মতো নির্বিচারে বলি হয়েছে মহাজনগণ।
জিহাদ ও খেলাফত এমন দুটি প্রপঞ্চ যার উত্তেজনা আমাদের সমাজেও ক্রমবর্ধমান। বিশ্বব্যাপী এই উত্তেজনার অংশীদার মহাজনগণ। যে মানুষ এই উত্তেজনার বলি সেও মহাজনগণের অংশ। তাই এই প্রপঞ্চদ্বয়ের ইতিহাস যে বিভিন্ন সাপেক্ষ প্রকল্পের আওতাধীন তা অনুধাবন করা এখন সময়ের দাবি।
ইতিহাস বরাবরি কোন না কোন প্রকল্পের অধীন। তাই একটি নিরাবেগ নিরাসক্ত জায়গা থেকে ইতিহাসকে দেখতে হলে নিষ্ঠার প্রয়োজন। ঐতিহাসিক বিকাশ ও বিবর্তনের পর্বসমূহে ক্রিয়াশীল প্রকল্পগুলোর সামাজিক রাজনৈতিক বাতাবরণকে শনাক্ত করতে পারা ইতিহাস পাঠের সদা সচেতন শর্ত। সাথে সাথে ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের সামাজিক পরিক্রমার সম্কর্ক অনুধাবনও জরুরি।
সারাৎসারে ‘জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা’ এই অনুধাবনেই সচেষ্ট হয়েছে। রাষ্ট্রিয় সংহতি অটুট রাখার স্বার্থেই ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় উত্তেজনার মাঝে এ প্রচেষ্টার সঞ্চালন সমাজের সর্বস্তরেই প্রয়োজন। কারন কথা ছিল ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার হবে।
Related products
Around The World With Rituraj- Part 2
TBC An Exclusive Suggestion Question Bank with Answer and Model Test Examination 2023 – Third Year (Paperback)
আমার হজ
কন্টেন্ট রাইটিং এর মহারাজা
দ্যা অ্যালকেমিস্ট
ফ্রেশারস টু জব রেডি
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের লাইফ ম্যানেজমেন্ট প্যাকেজ
মুমিনের ক্যারিয়ার ভাবনা:
কেমন হবে একজন খাঁটি মুমিনের ক্যারিয়ার? কী হবে তার জীবনের লক্ষ? ক্যারিয়ার মানেই আমরা বুঝি টাকা এবং সম্মান। ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ সম্মান খোঁজে, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ টাকা খোঁজে। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে সম্মান খোঁজা, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে টাকা খোঁজা, এটা মুমিনের লক্ষ হতে পারে না। কারণ, মুমিন বিশ্বাস করে, টাকা আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। রিজিক আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে এবং সম্মানও আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। আল্লাহ তাআলা রিজিকেরও মালিক, সম্মানেরও মালিক। এটা আল্লাহ তাআলা যে কাউকে ক্যারিয়ার ছাড়াই দিতে পারেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। সুতরাং আমাদের ক্যারিয়ারটা হবে অন্যান্য মানুষের চেয়ে আলাদা। একজন মুমিনের ক্যারিয়ার হবে মূলত দুইটা উদ্দেশ্যে, একটা হচ্ছে দাওয়াহ, আরেকটা হচ্ছে, সাদাকাহ। একজন মুমিন উপরে উঠবে, অনেক উপরে উঠবে। একজন মুমিন সম্পদ উপার্জন করবে, অনেক সম্পদ উপার্জন করবে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তার লক্ষ্য থাকবে দুইটা। একটা হচ্ছে, সদাকাহ করা, এবং দুই নম্বরে হচ্ছে, দাওয়াহ করা। দ্বীনের দাওয়াহ করা। মানুষের কাছে দ্বীনটাকে উপস্থাপন করা।ভালোবাসার চাদর:
পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস:
বিশেষ গুণের কারণে, বিশেষ কর্মের কারণে, বিশেষ অবদানের কারণে একজন মানুষ জন অন্য মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, তখন সে পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। একজন সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বিশেষ একজন হতে পারে। প্রত্যেক মানুষের সফল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষমতা থাকা সত্বেও প্রত্যেক মানুষ পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারে না। কারণ, বেশিরভাগ মানুষের পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে অনেক মানুষ নিজের মূল্যবোধ নষ্ট করে নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ হারিয়ে ফেলে। সেজন্য খুব কম মানুষই সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে অন্য মানুষের জীবনে অবদান রাখতে পারে। জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাওয়া মানুষের মধ্যে অধিকাংশই জানে না সফলতা অর্জনের কারণগুলো, জানে না নিজেকে অথেনটিক পারসোনাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার টেকনিক। ‘পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস’ বইটিতে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর এ টু জেড উপাত্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কর্পোরেট দুনিয়ার সেরা উদ্যোক্তা, সিইও, সেলিব্রেটিদের পারসোনাল ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করার কৌশল ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।এপিটাফ:
উস্তাদ মুহাম্মাদ হুবলস। অস্ট্রলিয়ান দাঈ। প্রচন্ডভাবে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। মানুষের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিতে পারেন। জাহিলিয়াত থেকে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসা, বস্তুবাদি যান্ত্রিক আটপৌরে জীবনে হাঁপিয়ে উঠা এই আমাদেরকে আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেওয়া, জান্নাতের পথে চলার সীমাহীন শক্তি যোগাতে এই উস্তাদের তুলনা তিনি নিজেই। . উস্তাদের লেকচার অবলম্বনেই এই বইটি। বর্তমান সময়ে আমরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছ তা ভয়াবহ। ফিতনার সময় চলছে। আমাদের অনেক সমস্যা, অনেক প্রতিবন্ধকতা। তার মধ্যে অন্যতম মুসলিম পরিবারে জন্মেও উম্মাহর একটা বড় অংশ্যই এখনও কাফেরদের লাইফ স্টাইলে চলে। অনেকসময় আমরা বুঝি যা করছি ভুল করছি, এটা সঠিক পথ নয়, কিন্তু ভুলের সেই চক্র থেকে বের হতে পারি না। তখন আমাদের একটি ধাক্কার দরকার পড়ে। এমন কিছু যা আমাদের অন্তরকে কাঁপিয়ে দিবে। বস্তুবাদ, চোখ ধাঁধানো আলোর এই মোহের জগৎ নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে দিবে। এই বইটি সেই ধাক্কা হিসেবে কাজ করবে এই আমাদের বিশ্বাস।মেন্টর@ব্যাকপ্যাক
© 2025 Thebookcenterbd All rights reserved
Reviews
There are no reviews yet.