বাংলাদেশের বীরগাথা
মেজর মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ডেল এইচ খান)
বাংলাদেশের ইতিহাসে বীরশ্রেষ্ঠগণ হলেন সেই মহামানব যারা তাদের জীবন, রক্ত ও ত্যাগ দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এবং আত্মমর্যাদার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাদের সাহসিকতা, দৃঢ়চেতা মনোভাব, এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা শুধু আমাদের জাতির জন্য নয়, পুরো পৃথিবীও তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এরা আমাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তাদের বীরত্বগাথা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়, আমাদের পথ দেখায়।
মেজর মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ডেল এইচ খান)—এমনই একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা, যার সাহসিকতা এবং বীরত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। তাঁর জীবনকাহিনি শুধুমাত্র একটি যোদ্ধার গল্প নয়, বরং একটি দেশের আত্মত্যাগের ও সংগ্রামের অমর চিত্র। তার বীরত্বগাথা পড়তে গিয়ে একজন পাঠক যে অনুভূতিটা গ্রহণ করে, তা হলো এক অবিশ্বাস্য আবেগ—রোমাঞ্চিত হওয়া, শিউরে ওঠা এবং সেইসব মুহূর্তের প্রতিফলন যা মানব মনের অগ্রগতির প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখে। যখন মেজর ডেল এইচ খান তাঁর সহযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে পদক্ষেপ রেখেছিলেন, তখনই তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে সাহসিকতা এবং দেশপ্রেমের কোনও মুল্য থাকলেও, সেটা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম।
এমন বীরগাথা, যেমনটি “বাংলাদেশের বীরগাথা” বইয়ে বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের জাতীয় চেতনাকে আরও গভীরে প্রবাহিত করে। এই বইটি এক একটি অধ্যায় হিসেবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে বীরত্বের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়। এটি আমাদের পাঠকের কাছে শুধু ইতিহাসের রোজনামচা নয়, বরং একটি প্রাণবন্ত, উত্তেজনাপূর্ণ এবং আবেগময় গল্প। পাঠক যখন এইসব বীরগাথা পড়বেন, তখন তারা নিজেদের চোখের সামনে দেখতে পাবেন সেই সাহসী যোদ্ধাদের, যারা কেবল যুদ্ধই করেননি, বরং তাদের সাহস এবং আত্মত্যাগ দিয়ে একটি নতুন জাতির জন্ম দিয়েছেন।
এমন একটি গল্প, যা শুধুমাত্র যুদ্ধের কাহিনি নয়, বরং তা একটি জাতির আস্থা, বিশ্বাস, এবং আত্মশক্তির প্রদর্শন। “বাংলাদেশের বীরগাথা” বইটি পড়ার পর, একজন পাঠক নিজেকে গর্বিত এবং শক্তিশালী অনুভব করবে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঐতিহাসিক ঘটনা, বীরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, আর দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা একসাথে মিলে তৈরি করেছে আমাদের ইতিহাসের এক অমূল্য রত্ন—যে রত্ন বাঙালির ইতিহাসকে অমলিন এবং অতুলনীয় করে তোলে।
এ বইটি শুধু আমাদের পূর্বপুরুষদের কৃতিত্বকেই তুলে ধরে না, বরং সেই কৃতিত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার ও শ্রদ্ধাকেও পুনর্নির্মাণ করে। এই বীরগাথা পড়তে গিয়ে পাঠকরা শুধু ইতিহাসের পাতায় হারানো নয়, বরং হারানো সাহস এবং শক্তি ফিরে পাবে। এটা আমাদের জাতিগত অহংকার, আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতিফলন, যা সমগ্র জাতিকে এক নতুন শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
এ বইটির মাধ্যমে আমরা ফিরে পাই আমাদের সাহসী বীরদের গল্প, তাদের আত্মত্যাগ, এবং তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। “বাংলাদেশের বীরগাথা” কেবল একটি বই নয়, এটি একটি মহামূল্যবান শিক্ষার উৎস, যা আমাদের মনে নাড়া দিয়ে যায় এবং শিখিয়ে যায়—দেশপ্রেম, সাহসিকতা, এবং অটল আত্মবিশ্বাসের শক্তির মাধ্যমে কীভাবে কোনো জাতি তার স্বাধীনতা এবং মর্যাদা অর্জন করতে পারে।
“সবার জন্য পাইথন” has been added to your cart. View cart
-20%

বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য
৳ 600.00 Original price was: ৳ 600.00.৳ 480.00Current price is: ৳ 480.00.

বিক্রয়কর্মীর দিনরাত
৳ 200.00 Original price was: ৳ 200.00.৳ 160.00Current price is: ৳ 160.00.
বাংলাদেশের বীরগাথা
৳ 200.00 Original price was: ৳ 200.00.৳ 160.00Current price is: ৳ 160.00.
বাংলাদেশের বীরগাথা
By (author) মেজর মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ডেল এইচ খান)
বীরশ্রেষ্ঠগণ প্রত্যেকেই আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠতম সন্তান; আমাদের পৌরষ আর অহমের প্রতীক!
সেই বীরশ্রেষ্ঠদের বীরত্বগাথা পড়তে গিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত হব, শিউরে উঠব; তাদের সুমহান ত্যাগের কথা পড়তে গিয়ে আবেগে উদ্বেল হব— এটাই স্বাভাবিক।
লেখক ‘বাংলাদেশের বীরগাথা’ বইটিতে সেই কাজটিই করেছেন। প্রতিটি গল্প পড়তে গিয়ে পাঠক রোমাঞ্চিত হবেন, আবেগাপ্লুত হবেন, আর পড়া শেষে একজন বাংলাদেশি হিসেবে অতুলনীয় এক গৌরববোধে আচ্ছন্ন হবেন।
Description
Reviews (0)
Be the first to review “বাংলাদেশের বীরগাথা” Cancel reply
Related products
TBC An Exclusive Suggestion Question Bank with Answer and Model Test Examination 2023 – Third Year (Paperback)
আগামেমনন (অনুবাদ অনিন্দ্য কৌশিক )
৳ 90.00
লেখক : অনিন্দ্য কৌশিক (অনুবাদ )
প্রকাশনী : দি বুক সেন্টার
পৃষ্ঠা : 138, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Edition, 2014
আইএসবিএন : 9789843331175, ভাষা : বাংলা
এমপ্লয়াবিলিটি
লেখক : কে. এম. হাসান রিপন
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849532156, ভাষা : বাংলা
যিনি কাজ করছেন বা যিনি কাজ খুঁজছেন বা যিনি কাজ করবেন বলে ভাবছেন, প্রত্যকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ হল ”এমপ্লায়াবিলিটি” বা কর্মদক্ষতা। একটি কাজ পেতে এবং কাজটি ধরে রাখতে, একটি সুযোগ পেতে বা একটি সুযোগ কে ধরে রাখতে বা সুযোগ আসবার পথ কে প্রসারিত করতে প্রয়োজন এমপ্লাবিলিটি। ”আমি জানি, কিন্তু আমি নিজ হাতে করতে পারি না” এটি এমপ্লায়াবিলিটি নয়। বরং এমপ্লায়াবিলিটি হচ্ছে ”আমি জানি এবং কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে নিজ হাতে করতে পারি”। আমাদের বইটি’তে এই এমপ্লায়াবিলিটিকেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বইটি তে মোট ১২টি অধ্যায় রয়েছে এবং এই ১২টি অধ্যায় আপনার জন্য ১২টি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে যা আপনার জন্য ৩৬০ ডিগ্রী মডেল অনুযায়ী এই বই’তে সাজানো হয়েছে। আপনার যখন যে অধ্যায় প্রয়োজন, সেই অধ্যায় পড়বেন এবং প্রতিটি অধ্যায় শেষে রয়েছে অনুশীলনী। প্রতিটি অনুশীলনী নিজের জন্য সম্পূর্ণ করবেন। আমরা যেহেতু বলছি কাজ পাবার এবং কাজটি ধরে রাখার ফর্মুলা হচ্ছে এমপ্লায়াবিলিটি। তাই বইটি আপনি পড়বেন এবং আপনার জীবনকে রুপান্তর করবার জন্য প্রতিনিয়ত অনুশীলন করবেন। মনে রাখতে হবে, সফলতার কোন গোপন রহস্য নেই। আপনার সফলতার ফর্মূলা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। শুরু থেকে শীর্ষে যেতে বইটি আপনার গাইড হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করছি।
ক্যারিয়ার এক্সসিলেন্স
লেখক : কাজী তাফসিরুল ইসলাম
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
পৃষ্ঠা : 112, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2024
আইএসবিএন : 9789849835615, ভাষা : বাংলা
স্বপ্ন দেখা জরুরী। এমন স্বপ্ন দেখুন যেগুলো চোখ খোলা অবস্থায় দেখা যায়, যাতে আপনি সেই স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন। এমন স্বপ্ন, যা আপনাকে ঘুমাতে দেয় না। স্বপ্ন দেখুন, যতই অসম্ভব বা অদ্ভুত মনে হোক, আশেপাশের সবাই বলুক এই স্বপ্ন বাস্তব না, তাও দেখুন, ততক্ষণ দেখুন, যতক্ষণ না সপ্ন টা আপনার বাস্তবতা হয়ে যায়। আমাদের অস্তিত্বের মূল ভিত্তি হল সপ্ন নিয়ে বেচে থাকা। তরুণরা তাদের লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছে, এর থেকে ভয়ের আর কিছু হতে পারে না। স্বপ্ন এবং লক্ষ্য হলো জীবনের চালিকা শক্তি, এবং এই বইটি হলো সেই শক্তির মানচিত্র। আমি এই বইটি লিখেছি পরামর্শদাতার ভূমিকায়, যাতে আপনি আপনার সম্পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারেন। ক্যারিয়ার এক্সেলেন্স” আপনাকে দেখাবে কিভাবে আপনার স্বপ্নগুলোকে অবিশ্বাস্য সম্ভাবনায় পরিণত করা যায়। এই বইটি আপনার সাথে ভাগ করবে লেখকের অভিজ্ঞতা
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (বিসিএস প্রিলি সহায়ক)
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের লাইফ ম্যানেজমেন্ট প্যাকেজ
লেখক : ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স, ডা. শামসুল আরেফীন, মোঃ মাছুম চৌধুরী, সাজিদ ইসলাম
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ, চেতনা প্রকাশন, বুকমার্ক পাবলিকেশন, সিয়ান পাবলিকেশন
বিষয় : প্রফেশনাল ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন
মুমিনের ক্যারিয়ার ভাবনা:
কেমন হবে একজন খাঁটি মুমিনের ক্যারিয়ার? কী হবে তার জীবনের লক্ষ? ক্যারিয়ার মানেই আমরা বুঝি টাকা এবং সম্মান। ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ সম্মান খোঁজে, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ টাকা খোঁজে। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে সম্মান খোঁজা, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে টাকা খোঁজা, এটা মুমিনের লক্ষ হতে পারে না। কারণ, মুমিন বিশ্বাস করে, টাকা আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। রিজিক আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে এবং সম্মানও আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। আল্লাহ তাআলা রিজিকেরও মালিক, সম্মানেরও মালিক। এটা আল্লাহ তাআলা যে কাউকে ক্যারিয়ার ছাড়াই দিতে পারেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। সুতরাং আমাদের ক্যারিয়ারটা হবে অন্যান্য মানুষের চেয়ে আলাদা। একজন মুমিনের ক্যারিয়ার হবে মূলত দুইটা উদ্দেশ্যে, একটা হচ্ছে দাওয়াহ, আরেকটা হচ্ছে, সাদাকাহ। একজন মুমিন উপরে উঠবে, অনেক উপরে উঠবে। একজন মুমিন সম্পদ উপার্জন করবে, অনেক সম্পদ উপার্জন করবে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তার লক্ষ্য থাকবে দুইটা। একটা হচ্ছে, সদাকাহ করা, এবং দুই নম্বরে হচ্ছে, দাওয়াহ করা। দ্বীনের দাওয়াহ করা। মানুষের কাছে দ্বীনটাকে উপস্থাপন করা।ভালোবাসার চাদর:
একটি গল্প শুনেছিলাম। দাম্পত্য অশান্তির তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এক পিতা তার পুত্রকে ওসিয়াত করছিলেন যে, ‘বাবা আর যা-ই করো না কেন জীবনে বিয়ে করবে না’। ছেলে বাবাকে বলেছিল, ‘জ্বি বাবা, আপনি একটুও দুশ্চিন্তা করবেন না, আপনার এই ওসিয়াত নিশ্চয়ই আমি আপনার নাতীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে যাব’।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক—এমনকি কেরানি হওয়ার জন্যও কিছু না কিছু শেখানো হয়; কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো বিশেষ শিক্ষা নেই। অথচ আমরা আর যা কিছুই হই বা না হই, স্বামী-স্ত্রী হওয়ার আবশ্যকতা প্রায় শতভাগ।
দাম্পত্য জীবনকে মোটেই হাল্কাভাবে দেখলে চলবে না; কারণ আপনি চান কিংবা না চান এটা আপনার প্রতিটি সকাল, প্রতিটি সন্ধ্যা, প্রতিটি রাতকে প্রভাবিত করবে। আপনার জীবনে সফলতা ব্যর্থতার গতিপথ নির্ধারণে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখবে।
তাই এই জীবন যারা শুরু করেননি তাদের যেমন এ বিষয়ে জ্ঞান প্রয়োজন, যারা জ্ঞানহীন পথ চলে অনেক দূর এসেছেন ঠিকই, কিন্তু পথ ক্লান্ত-শ্রান্ত করে ছেড়েছে; কিংবা যারা ক্লান্ত হননি, তবে ভবিষ্যতে হতেও চান না তাদের সকলেরই প্রয়োজন। এমন সকলের জন্যই আমাদের এই বই “ভালোবাসার চাদর”।
পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস:
বিশেষ গুণের কারণে, বিশেষ কর্মের কারণে, বিশেষ অবদানের কারণে একজন মানুষ জন অন্য মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, তখন সে পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। একজন সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বিশেষ একজন হতে পারে। প্রত্যেক মানুষের সফল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষমতা থাকা সত্বেও প্রত্যেক মানুষ পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারে না। কারণ, বেশিরভাগ মানুষের পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে অনেক মানুষ নিজের মূল্যবোধ নষ্ট করে নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ হারিয়ে ফেলে। সেজন্য খুব কম মানুষই সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে অন্য মানুষের জীবনে অবদান রাখতে পারে। জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাওয়া মানুষের মধ্যে অধিকাংশই জানে না সফলতা অর্জনের কারণগুলো, জানে না নিজেকে অথেনটিক পারসোনাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার টেকনিক। ‘পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস’ বইটিতে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর এ টু জেড উপাত্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কর্পোরেট দুনিয়ার সেরা উদ্যোক্তা, সিইও, সেলিব্রেটিদের পারসোনাল ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করার কৌশল ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।এপিটাফ:
উস্তাদ মুহাম্মাদ হুবলস। অস্ট্রলিয়ান দাঈ। প্রচন্ডভাবে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। মানুষের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিতে পারেন। জাহিলিয়াত থেকে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসা, বস্তুবাদি যান্ত্রিক আটপৌরে জীবনে হাঁপিয়ে উঠা এই আমাদেরকে আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেওয়া, জান্নাতের পথে চলার সীমাহীন শক্তি যোগাতে এই উস্তাদের তুলনা তিনি নিজেই। . উস্তাদের লেকচার অবলম্বনেই এই বইটি। বর্তমান সময়ে আমরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছ তা ভয়াবহ। ফিতনার সময় চলছে। আমাদের অনেক সমস্যা, অনেক প্রতিবন্ধকতা। তার মধ্যে অন্যতম মুসলিম পরিবারে জন্মেও উম্মাহর একটা বড় অংশ্যই এখনও কাফেরদের লাইফ স্টাইলে চলে। অনেকসময় আমরা বুঝি যা করছি ভুল করছি, এটা সঠিক পথ নয়, কিন্তু ভুলের সেই চক্র থেকে বের হতে পারি না। তখন আমাদের একটি ধাক্কার দরকার পড়ে। এমন কিছু যা আমাদের অন্তরকে কাঁপিয়ে দিবে। বস্তুবাদ, চোখ ধাঁধানো আলোর এই মোহের জগৎ নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে দিবে। এই বইটি সেই ধাক্কা হিসেবে কাজ করবে এই আমাদের বিশ্বাস।সাইবার অপরাধনামা
লেখক : আরিফ মঈনুদ্দীন
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি, কম্পিউটার হ্যাকিং
পৃষ্ঠা : 84, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Edition, 2023
আইএসবিএন : 9789849760863, ভাষা : বাংলা
তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। সাইবার অপরাধ এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না জানার কারণে দিনকে দিন এ ধরনের অপরাধ বেড়েই চলছে। সাধারণত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলোয় এই অপরাধের প্রবণতা বেশি। প্রতারকরা চারদিকে তাদের প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে। ব্যবহারকারীরা তাদের অজ্ঞতার কারণে এসব ফাঁদে পা দিচ্ছে এবং প্রতারিত হচ্ছে। এসব প্রতারণার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সাইবার অপরাধনামা বইটিতে। আশা করি প্রতারণার এসব ধরন সম্পর্কে জানা থাকলে পরবর্তী সময়ে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সচেতন হবে এবং নিজে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ভূমিকা পালন করবে।
হু মুভড মাই চিজ?
লেখক : স্পেনসার জনসন
প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
অনুবাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন
পৃষ্ঠা : 56, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849492658
আসুন একটা গল্প শুনি, মন দিয়ে পড়ুন
গল্পটি ২ টি ইঁদুর এবং মানুষের মত দেখতে ২ জন খর্বাকৃতির গল্প। ২ জন ইঁদুরের নাম স্নিফ এবং স্কারি এবং বাকি ২ জনের নাম হ এবং হেম । এরা চারজনই কোন একটা গোলকধাঁধার মধ্যে জীবন কাটায়। প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই গোলকধাঁধার মধ্যে দৌঁড়ে চিজ/ পনির খুঁজতে থাকে এবং পেলে তা দিয়ে জীবন ধারণ করে। তারা পনির খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে হ এবং হেম জগিং স্যুট এবং জুতা পরে নিত যাতে তাদের দৌঁড়ে পনির খুজঁতে কোন অসুবিধা না হয়। কিন্তু একদিন!! একদিন তারা ৪ জনই চিজ স্টেশন সি তে বিশাল পনিরের মজুদ পেলো। এমন চিজ দেখে তারা পাগল প্রায়। তাঁরা তাদের জুতা ছুড়ে ফেলে সেখানেই জীবন যাপন শুরু করলো। কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই তাঁরা ধরে নিল তাদের বাকি জীবন এভাবেই চলে যাবে। হঠাৎ একদিন!! তাঁরা চিজ স্টেশন সি তে গিয়ে দেখলো সেখানে কোন পনির নেই। এটা দেখে হ এবং হেম পাগল এর মত অবস্থা। তাঁরা চিৎকার করে উঠলো, “না এমন হতে পারে না। এটা অন্যায়। আমাদের সাথে এটা হতে পারে না। ” অন্যদিকে স্নিফ এবং স্কারি এটা দেখে তাঁরা অন্য দিকে পনির খুজতে শুরু করলো। একদিন তাঁরা পেয়েও গেল চিজ স্টেশন এন এর দেখা যা চিজ স্টেশন সি এর চেয়ে বেশি। হ এবং হেম তাদের দুঃখ ভুলতে পারলো না। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে থাকলো। এদিকে ক্ষুদার্থ থাকায় এবং ডিপ্রেশনে তাদের শরীর খারাপ হতে থাকলো। তাঁরা ভয় পেতে থাকলো অন্য কোথাও গেলে যদি তাঁরা হারিয়ে যায়, তাঁরা যদি ভালো কিছু করতে না পারে? অনাগত ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় তাঁরা তা গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। একদিন হ চাইলো নতুন পনিরের খোঁজ করতে কিন্তু হেম কোনভাবেই তা হতে দিল না। বরং হ এর উপর রাগ দেখানো শুরু করলো। একদিন হ এর রাগ উপেক্ষা করে হেম আবার পনির খোঁজ করতে বের হল। অনেক কষ্টের পর সেও চিজ স্টেশন এন এর খোঁজ পেলো। এরমধ্যে অনেকবার হ কে রাজি করানোর ট্রাই করেও পারলো না।
এবার আপনাদের কাছে প্রশ্ন-
১) আপনি পরিবর্তন ভয় পান?
২) সবসময় কমফোর্ট জোনে থাকতে চান?
৩) অন্য পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেন না বা চান না?
৩) আপনার কি খারাপ সময় নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না?
সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বইটি আপনার পড়া উচিৎ। হ্যাঁ, আমি “হু মুভড মাই চিজ” বইয়ের কথা বলছি। আপনি সামনে খুব বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন কিংবা সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন। এই বইটি/ গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন, আমাদের কেমন মানসিকতা নিয়ে চলা উচিৎ বা কী করা উচিৎ? এই বইটি পড়লে অযুহাত / ভেঙ্গে না পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক গুলো কারণ চোখে পড়তে শুরু করবে।
© 2025 Thebookcenterbd All rights reserved
Reviews
There are no reviews yet.