উন্নয়ন বিভ্রম
এক গ্রামে একসময় ছিল শান্তি, প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য। সবুজ মাঠ, নদীর স্রোত এবং মানুষের হাসি। তবে কিছুদিন পর শহরের উন্নয়নের কল্লোল গ্রামে ঢুকতে শুরু করে। সরকারি প্রকল্পের আওতায় নতুন রাস্তা, দালান-কোঁঠা এবং দোকানপাট গড়ে উঠতে থাকে। সবাইকে বলা হয়, “এখন তোমাদের উন্নতি হবে!”
গ্রামের প্রধান, বাবলু, উন্নয়নের fervor এ উজ্জীবিত ছিলেন। তিনি ভাবতেন, শহরের মানুষ যে সুখের জীবন যাপন করে, তেমন কিছু তার গ্রামেও হবে। কিন্তু আস্তে আস্তে দেখলেন, উন্নয়নের নামে কৃষকদের জমি ক্রয় করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে মাঠের সবুজ উধাও হয়ে গেল। নদীটি এখন দুষিত, আর মানুষের হাসি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
মিনু, একজন কৃষক, তার ছোট্ট ছেলে রোহানকে নিয়ে পাকা রাস্তার ধারে বসে ছিল। রোহান জিজ্ঞাসা করল, “বাবা, আমরা কবে শহরের মতো সুখী হব?” মিনু চিন্তা করতে লাগলেন। তিনি জানতেন, উন্নয়ন মানে শুধু পাকা রাস্তা নয়, বরং সুখী মানুষের জীবন।
একদিন মিনু এবং অন্যান্য কৃষকরা একটি সভা ডাকলেন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা তাদের জমির অধিকার রক্ষায় লড়াই করবেন। তারা বুঝলেন, উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোর নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধেরও।
সেই রাতের আলোতেই, গ্রামের মানুষ একত্রিত হলেন। তারা নিজেদের সত্যিকারের উন্নয়নের জন্য একটি নতুন পথ খুঁজে বের করলেন—যেখানে প্রকৃতি ও মানুষ একসঙ্গে থাকবে। আস্তে আস্তে তারা তাদের হারানো হাসি ফিরে পেলেন।
এভাবে, গ্রামবাসীরা বুঝলেন, উন্নয়ন বিভ্রম কাটিয়ে সত্যিকার অর্থে উন্নতির পথ খুঁজতে হবে। তাদের লড়াই শুধু নিজেদের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ছিল। আর গ্রামে ফিরে এল শান্তি ও সৌন্দর্য, যেখানে প্রকৃতি আর মানুষের সুখ একসঙ্গে গাঢ় হয়।
উন্নয়ন বিভ্রম
৳ 800.00 Original price was: ৳ 800.00.৳ 640.00Current price is: ৳ 640.00.
উন্নয়ন বিভ্রম
By (author) জিয়া হাসান
উন্নয়ন বিভ্রম গ্রন্থে জিয়া হাসান বাংলাদেশের বিগত দশকের জিডিপির রেকর্ড প্রবৃদ্ধির বয়ানের অন্তরালে মন্দা, চোষণ ও পাইকারি হারে তথ্য বিকৃতির না-বলা একটি ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
২০১০-এর শেয়ার বাজার, এমএলএম ও আবাসন খাতের বাবল সৃষ্টির সময় থেকে লেখকের বিশ্লেষণের শুরু। ক্রম ধারাবাহিক এই বিশ্লেষণে বাবলগুলো চুপসে যাওয়ার পর ২০১৩-১৪ পর্যন্ত লুকিয়ে রাখা একটি মন্দা, ২০১৪-এর রাজনৈতিক বন্দোবস্ত পরিবর্তনের পর ঋণ ও চোষণভিত্তিক ভোগ-ব্যয়ের উত্থান, ২০১৯-এর তারল্য সংকটে সেই উত্থানের যতিচ্ছেদ, কোভিডকালীন সময়ের আরেকটি লুকোনো মন্দাসহ অর্থনীতির বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ বাঁককে— অব্যাহত উন্নয়নের বয়ানের বাইরে গিয়ে বাণিজ্যচক্রের উত্থান-পতনের ভিত্তিতে নতুন একটি ট্রাজেক্টরিতে উপস্থাপন করেছেন লেখক।
তিনি দেখিয়েছেন, ২০২২ সালে এসে অস্বাভাবিক সরকারি ব্যয়বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতাহীন ঋণ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিবিধ বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অল্পকিছু পরিবারকেন্দ্রিক টাইকুনদের হাতে বাংলাদেশের আগামী দশকের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের যে প্রত্যাশা সৃষ্টি করা হয়েছে সেই পরিকল্পনা অত্যন্ত ভঙ্গুর ও উন্নয়ন অর্থনীতির মৌলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। লেখকের মতে, এই ভঙ্গুরতাগুলো অর্থনীতিকে একটি অনিবার্য সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
Related products
SEO এবং অনলাইনে জীবন বদলের গল্প
TBC An Exclusive Suggestion Question Bank with Answer and Model Test Examination 2023 – Third Year (Paperback)
আমার হজ
এমপ্লয়াবিলিটি
কন্টেন্ট রাইটিং এর মহারাজা
ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশনে পাইথনের ব্যবহার
প্রোডাক্টিভ প্রোগ্রামার
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের লাইফ ম্যানেজমেন্ট প্যাকেজ
মুমিনের ক্যারিয়ার ভাবনা:
কেমন হবে একজন খাঁটি মুমিনের ক্যারিয়ার? কী হবে তার জীবনের লক্ষ? ক্যারিয়ার মানেই আমরা বুঝি টাকা এবং সম্মান। ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ সম্মান খোঁজে, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ টাকা খোঁজে। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে সম্মান খোঁজা, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে টাকা খোঁজা, এটা মুমিনের লক্ষ হতে পারে না। কারণ, মুমিন বিশ্বাস করে, টাকা আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। রিজিক আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে এবং সম্মানও আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। আল্লাহ তাআলা রিজিকেরও মালিক, সম্মানেরও মালিক। এটা আল্লাহ তাআলা যে কাউকে ক্যারিয়ার ছাড়াই দিতে পারেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। সুতরাং আমাদের ক্যারিয়ারটা হবে অন্যান্য মানুষের চেয়ে আলাদা। একজন মুমিনের ক্যারিয়ার হবে মূলত দুইটা উদ্দেশ্যে, একটা হচ্ছে দাওয়াহ, আরেকটা হচ্ছে, সাদাকাহ। একজন মুমিন উপরে উঠবে, অনেক উপরে উঠবে। একজন মুমিন সম্পদ উপার্জন করবে, অনেক সম্পদ উপার্জন করবে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তার লক্ষ্য থাকবে দুইটা। একটা হচ্ছে, সদাকাহ করা, এবং দুই নম্বরে হচ্ছে, দাওয়াহ করা। দ্বীনের দাওয়াহ করা। মানুষের কাছে দ্বীনটাকে উপস্থাপন করা।ভালোবাসার চাদর:
পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস:
বিশেষ গুণের কারণে, বিশেষ কর্মের কারণে, বিশেষ অবদানের কারণে একজন মানুষ জন অন্য মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, তখন সে পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। একজন সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বিশেষ একজন হতে পারে। প্রত্যেক মানুষের সফল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষমতা থাকা সত্বেও প্রত্যেক মানুষ পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারে না। কারণ, বেশিরভাগ মানুষের পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। পারসোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে অনেক মানুষ নিজের মূল্যবোধ নষ্ট করে নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ হারিয়ে ফেলে। সেজন্য খুব কম মানুষই সফল পারসোনাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে অন্য মানুষের জীবনে অবদান রাখতে পারে। জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাওয়া মানুষের মধ্যে অধিকাংশই জানে না সফলতা অর্জনের কারণগুলো, জানে না নিজেকে অথেনটিক পারসোনাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার টেকনিক। ‘পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফর প্রফেশনাল সাকসেস’ বইটিতে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর এ টু জেড উপাত্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কর্পোরেট দুনিয়ার সেরা উদ্যোক্তা, সিইও, সেলিব্রেটিদের পারসোনাল ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করার কৌশল ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।এপিটাফ:
উস্তাদ মুহাম্মাদ হুবলস। অস্ট্রলিয়ান দাঈ। প্রচন্ডভাবে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। মানুষের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিতে পারেন। জাহিলিয়াত থেকে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসা, বস্তুবাদি যান্ত্রিক আটপৌরে জীবনে হাঁপিয়ে উঠা এই আমাদেরকে আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেওয়া, জান্নাতের পথে চলার সীমাহীন শক্তি যোগাতে এই উস্তাদের তুলনা তিনি নিজেই। . উস্তাদের লেকচার অবলম্বনেই এই বইটি। বর্তমান সময়ে আমরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছ তা ভয়াবহ। ফিতনার সময় চলছে। আমাদের অনেক সমস্যা, অনেক প্রতিবন্ধকতা। তার মধ্যে অন্যতম মুসলিম পরিবারে জন্মেও উম্মাহর একটা বড় অংশ্যই এখনও কাফেরদের লাইফ স্টাইলে চলে। অনেকসময় আমরা বুঝি যা করছি ভুল করছি, এটা সঠিক পথ নয়, কিন্তু ভুলের সেই চক্র থেকে বের হতে পারি না। তখন আমাদের একটি ধাক্কার দরকার পড়ে। এমন কিছু যা আমাদের অন্তরকে কাঁপিয়ে দিবে। বস্তুবাদ, চোখ ধাঁধানো আলোর এই মোহের জগৎ নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে দিবে। এই বইটি সেই ধাক্কা হিসেবে কাজ করবে এই আমাদের বিশ্বাস।© 2025 Thebookcenterbd All rights reserved









Reviews
There are no reviews yet.