আসিফ সিবগাত ভূঞায়ের চারটি বই
আসিফ সিবগাত ভূঞায়ের চারটি বই
By (author) আসিফ সিবগাত ভূঞা
প্রথম যা জানা দরকার— আসিফ সিবগাত ভূঞা মাদ্রাসা লাইনের ছাত্র নন। তার পড়াশোনা ‘জেনারেল’ লাইনে। ছাত্র হিসেবে খুব আহামরি না হলেও তার ভালো ভালো জায়গায় পড়াশোনা করার সৌভাগ্য হয়েছে। সেইন্ট জোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে তিনি বিবিএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বহু দিন আর পড়াশেনা না করে এখন অর্থনীতির ওপর মাস্টার্স করছেন— ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে।
আইবিএতে পড়ার সময় তিনি এক বন্ধুর বাড়িতে ইসলামি আলোচনা শুনতে যান এবং সেখানে গিয়ে তার ইসলামের প্রতি নতুন করে ভালোবাসা জন্মায়। তিনি ধর্মীয় দায়িত্বগুলো কমবেশি পালন করার পাশাপাশি ইসলাম নিয়ে ভালো করে জানার ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করেন। গত প্রায় ১৫ বছর তিনি ইসলামি জ্ঞান নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেছেন— কিছুটা অন্যের সাহায্যে, কিছুটা নিজের চেষ্টায়।
২০০৯ সালে তিনি কাতারে চলে যান, কাতার ইউনিভার্সিটির একটি এক বছরকালীন আরবি ভাষার কোর্স করতে। আরবি ভাষায় কিছুটা দক্ষতা অর্জন করে তিনি সেটা দিয়ে ইসলামের বিভিন্ন শাস্ত্রের প্রাথমিক পাঠ নেয়া শুরু করেন। সম্প্রতি মিশকাহ ইউনিভার্সিটি নামক একটি অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নতুন করে আরেকটি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়ছেন। এখানে মিসরের বিখ্যাত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় আযহার ইউনিভার্সিটির বেশ কয়েকজন প্রফেসরের সান্নিধ্যে তার জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ হয়েছে।
ফেসবুকে আসিফ এখন এক বিরাট কুতুব। তাকে ফলো করতে পারবেন এই প্রোফাইলে—
আহমেরিকা
আহমেরিকা
By (author)আনোয়ার ইকবাল
সে এক ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত। কালো জলরাশির তলে ফুঁসে ফুঁসে উঠছে আটলান্টিক মহাসাগর। ক্যাপ্টেনের নাম থমাস, বোটের যাত্রী কেবল আমি। দু’ঘন্টা চলার পর থমাস ইঞ্জিন বন্ধ করে দিল। শব্দ দিয়ে সে কারো মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় না। এখনও তীর বেশ দূরে; আবছা আলোয় সেটাকে কালো একটা সরলরেখার মত দেখাচ্ছে। বৈঠা চালিয়ে আরও খানিকটা এগুনোর পর বলল, ‘নেমে পড়।‘ ‘কোথায়?’ আতঙ্কিত স্বরে প্রশ্ন করলাম। ‘আমি তো সাঁতার জানি না!‘ ‘সেটা তোর সমস্যা,’ অন্ধকারে দাঁত ঝলমলানো কুৎসিত একটা হাসি দিয়ে আমাকে এক ধাক্কায় বোট থেকে পানিতে ছুড়ে দিল। ওয়াটার-প্রুফ ব্যাগটি আঁকড়ে ধরে আমি হাবুডুবু খেতে থাকলাম। অনেক হাত পা ছোড়াছুড়ি করেও কোন লাভ হল না। সাগরের অতলে তলিয়ে যেতে লাগলাম। হঠাত শক্ত মাটিতে পা ঠেকে গেল। সোজা হয়ে দাঁড়াতে বুঝলাম পানি সেখানে হাঁটুর সমান, ভাটার টানে একদম কমে এসেছে। কি লজ্জা, আরেকটু হলে এতেই ডুবে মারা যেতাম। স্বস্তিতে বুক ভরে ঠাণ্ডা বাতাস টেনে নিয়ে আমি আমেরিকার পানে হাঁটা দিলাম।
ইকিগাই
ইকিগাই
By (author) ইউসুফ মুন্না
অর্থপূর্ণ জীবন কীভাবে সুখের সন্ধান দিতে পারে, সেটি নিয়ে ইকিগাই; জাপানিদের দীর্ঘ ও সুখী জীবনের রহস্য বইটি লেখা হয়েছে। লেখক হেক্টর গারসিয়া ও ফ্রান্সেস মিরালেস ইকিগাই সম্পর্কে জানার পর এর রহস্য উদ্ঘাটনে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠেন। এ জন্য তারা দুজন পাড়ি জমান জাপানের দক্ষিণে অবস্থিত ওকিনাওয়া দ্বীপে। এই দ্বীপেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শতায়ুধারীর বসবাস। ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের বিশ্বাস ইকিগাই তাদের জীবনের বেঁচে থাকার কারণ। লেখকের মতো আমার কাছেও ইকিগাই একটা রহস্যাবৃত শব্দ। ওকিনাওয়া দ্বীপ, সেখানকার মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানার পর আমার কৌতূহল তো কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। প্রত্যেকের জীবনে একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। সে উদ্দেশ্য অপূর্ণ থাকার মানে জীবনটাই যেন অর্থহীন হয়ে যাওয়া। ইকিগাই আমাদের জীবনের সেই উদ্দেশ্য, যা একটি জীবনকে পূর্ণতা দিতে পারে।
ইমিউন সিস্টেম
ইমিউন সিস্টেম
By (author)রুহশান আহমেদ
বেঁচে থাকাটা আক্ষরিক অর্থেই একটা লড়াই। আপনি এখন সুস্থ-অসুস্থ যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, আপনার দেহে ক্রমাগত একটা যুদ্ধ চলছে। অজস্র খুদে রোগজীবাণু আমাদের দেহে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের শরীরও একটা দুর্গের মতো, যার নিজস্ব রোগপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এই রোগপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গালভরা নাম হলো ইমিউন সিস্টেম বা অনাক্রম্য ব্যবস্থা। কোনো যুদ্ধে যেমন পদাতিক, তিরন্দাজ, গোলাবারুদ, এসপিওনাজ, আকাশ-প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত বাহিনী থাকে, ঠিক তেমনি আমাদের অনাক্রম্য ব্যবস্থায় টি-সেল ও বি-সেল থেকে শুরু করে এন্টিবডিসহ নানা ধরনের ‘ফ্রন্ট’ রয়েছে। এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আপনাকে বাঁচিয়ে রাখা।
ইমিউনোলজি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলেও এটা বেশ জটিল। বাংলাতে এ বিষয়ের উপর লেখা কোনো সহজবোধ্য বইও নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও এই অনাক্রম্য ব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তক বুঝতে গিয়ে খাবি খেতে হয়। রুহশান আহমেদ অত্যন্ত সুচারুভাবে এই জটিল বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করেছে। রুহশানের লেখার ভাষা প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য, ও জানে ঠিক কীভাবে কোনো জটিল বিষয়কে ভেঙে সহজে বোঝাতে হয়। অনাক্রম্য ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাতে সহজবোধ্য বইয়ের যে অভাব ছিল, ইমিউন সিস্টেম বইটা সে অভাব পূরণ করবে। সকল পর্যায়ের কৌতূহলী পাঠক তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যেসব শিক্ষার্থী ইমিউনোলজি বুঝতে বার বার ঠেকে যাচ্ছে, তারাও বইটা থেকে উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আরাফাত রহমান
বিজ্ঞান লেখক ও পিএইচডি গবেষক,
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইড
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স
By (author) নাসরিন সুলতানা শীলা, সায়েদ আশরাফ
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স মূলত আমাদের আবেগ-অনুভূতি আর বুদ্ধিমত্তার এক অনন্য মেলবন্ধন। নিজের ও অন্যের অনুভূতি বোঝা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করাই হলো ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের মূল কথা। আর এই দক্ষতা যে শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দরকার তা নয়, কর্মক্ষেত্রে ভালো করার জন্যও এর কোনো বিকল্প নেই। সেজন্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ইতোমধ্যে জানিয়েছে, ২০২০-এর দশকে কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দশটি দক্ষতার একটি হলো ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স।
এই বইয়ের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট দক্ষতাগুলো সম্পর্কে জানানো যা তাকে নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবারের সদস্য, বন্ধু, সহকর্মীদের সাথে আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব নিরসন করে কাজে সম্পৃক্ততা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও এই বইতে নিজেকে ও অন্যকে অনুপ্রাণিত করা, একটি সুস্থ পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা বা বজায় রাখা এবং একটি সুন্দর-সুখী জীবনযাপন করার উপায় নিয়েও কথা বলা হয়েছে, যা সাফল্য ও মানসিক প্রশান্তি উভয়ের জন্যই প্রয়োজন।
ইমোশনাল মার্কেটিং
ইমোশনাল মার্কেটিং
By (author) Munir Hasan
ভারতের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহের কথা জানেন তো? ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের মানুষের ওপর শত বছর ধরে শাসন-শোষণ-জুলুম চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, বিক্ষোভ, আন্দোলন দেখা যায়নি। কিন্তু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম মহা বিদ্রোহটি সংঘটিত হয় ১৮৫৭ সালে—সৈনিকদের রাইফেলের টোটায় শূকরের চর্বির থাকার খবরে! সেটিই শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধে পরিণত হয়।মানবেতিহাসে এমন অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে যেখানে আবেগের স্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মানুষের অনেক উদ্যোগ-উদ্যম-কর্মতৎপরতার মূলে যুক্তি নয় আবেগই প্রধান নিয়ামক। আবেগ নামক জিনিসটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের একটি কোম্পানি প্যাকেটের গায়ে ‘১০০ ভাগ হালাল সাবান’ লিখে বাজারের বাঘা বাঘা সব বহুজাতিক কোম্পানির সাবানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে বাজার দখল করেছিল। হালাল সাবানের এই সাফল্যের বিষয়টি বৈশ্বিকভাবে এতটাই স্বীকৃতি লাভ করে যে, এখনো ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খাবারের দোকানগুলোতে হালাল মিট, হালাল শপ ইত্যাদি ব্যানার, সাইনবোর্ড লাগানো হয়। যেকোনো প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে আবেগটাকে ব্যবহার করে কাস্টমারের সঙ্গে একটা স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করতে হবে; কাস্টমারকে জয় করে নিতে হবে, নিজের করে নিতে হবে; যাতে কাস্টমার আজীবন আপনার হয়ে থাকে। এই যে নিজের করে নেওয়ার এবং আজীবন আপনার হয়ে থাকার যেসব উপায় ইমোশনাল মার্কেটিং সেগুলোরই অন্যতম । এ বইতে ইমোশনাল মার্কেটিংকে নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
ইয়াম্মি কুকবুক
ইয়াম্মি কুকবুক
By (author) তামান্না ঐরশানী রিয়া
Yummy ইউটিউব চ্যানেলটি মূলত কেক ও বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেম নিয়ে কাজ করে থাকে। এই বইটিতে পাবেন বিভিন্ন রকমের কেক ও ডেজার্ট আইটেমের ৭৫টি রেসিপি। বিশেষ করে যারা কখনোই কেক বানাননি তারা এই বইয়ের রেসিপি দেখে নিমেষেই কেক বানাতে পারবেন। আর যারা টুকটাক কেক বানাতে পারেন কিন্তু বাসায় ওভেন নেই, তাদের জন্যও এই বইয়ে আছে ওভেন ছাড়া বেকিংয়ের সহজ কিছু টিপস ও ট্রিকস। যারা মিষ্টি পছন্দ করেন বইটি আসলে তাদের জন্য। বইটিতে পাবেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের কেক, ক্যান্ডি, কুকিজ, আইসক্রিমসহ হরেকরকম ফিউশন ডেজার্ট আইটেমের রেসিপি যা যেকোনো স্পেশাল দিনে বানিয়ে পরিবারের সবাইকে অবাক করে দিতে পারবেন। Yummy ইউটিউব চ্যানেলে ৮০০-এর বেশি রেসিপি রয়েছে, সেগুলো থেকে বেছে বেছে সহজ ও জনপ্রিয় আইটেমের রেসিপিগুলোই এই বইয়ে দেওয়া হয়েছে, যা থেকে একটি রেসিপি দেখে আরও ৫টি রেসিপি নিজে থেকে বানাতে পারবেন।
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস
By (author) সাবিদিন ইব্রাহিম
বাংলাদেশ নামক এই দেশটিতে বসে আমরা কেন ইংরেজি সাহিত্য পড়ব? সাহিত্যের ইতিহাসে এর জবাব আমরা পেয়ে যাব যদি মনোযোগ দিই। গ্রিক সাহিত্য প্রভাবিত করেছে তার পরবর্তী ইউরোপীয় প্রতিটি সাহিত্যকে। গ্রিকদের সব অর্জন নিজেদের করে নিয়ে রোমানরা সভ্যতার যে চাষ করল, তার সিলসিলা জারি ছিল তাদের পতনের পরও। রেনেসাঁর পিতৃভূমি ইতালি তার হাত ধরে জেগে ওঠে। ইতালির সাহিত্য-কবিতা থেকে আলো নিয়ে সমৃদ্ধ হয় ফরাসি সাহিত্য, প্রাণ পায় ইংরেজি সাহিত্য। রাজনীতিতে বিশ্বায়ন সাম্প্রতিক ঘটনা হলেও সাহিত্যে বিশ্বায়ন অনেক প্রাচীন। রেনেসাঁ-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের এক ভাষার সাহিত্য, দর্শন প্রভাবিত করেছে অন্য দেশের সাহিত্য ও দর্শনকে।
আমাদের বাংলা সাহিত্যও শুরু থেকেই অন্য সাহিত্য থেকে নিয়েছে, আবার দিয়েছেও। আলাওলের পদ্মাবতী হিন্দি সাহিত্য থেকে নেওয়া, ফারসি সাহিত্য থেকে এসেছে প্রচুর, আরবি-উর্দু বলাই বাহুল্য। ইংরেজদের শাসনে যাওয়ার পর থেকে ইংরেজি ও ইউরোপীয় সাহিত্য থেকে এই লেনাদেনা চলছেই। বাংলা সাহিত্যে যে আধুনিক যুগ শুরুর কথা বলি, তা ইংরেজি সাহিত্য প্রভাবিত বাংলা সাহিত্যকেই বুঝি। সাহিত্যের কয়েকটি নতুন প্রকরণ বা ফর্ম যেমন নাটক, প্রহসন, সনেট ও উপন্যাস একেবারেই ইংরেজি ও ইউরোপীয় সাহিত্যের অনুকরণের মাধ্যমেই বিকশিত হয়েছে।
ইসলামপূর্ব ইরানের ধর্মমত
ইসলামপূর্ব ইরানের ধর্মমত
By (author) মুহাম্মদ তানিম নওশাদ
ইসলামপূর্ব ইরানের ধর্মমত মূলত আমার সাতটি প্রবন্ধের সংকলন। এর মধ্যে চারটিই প্রাচীন ইরানে, আরও ঠিকমতো বললে ইসলামপূর্ব ইরানে যে ধর্মমতসমূহ ছিল, সেগুলো নিয়ে লিখিত। এই ধর্মমতসমূহের আলোচনায় প্রথমেই আসে জরথুষ্ট্র এবং তার ধর্ম, যে ধর্মের প্রকৃত নাম মাজদা ইয়াসনা বা মাজদা বন্দনা। আর পরবর্তী সময়ে ইরানে যেসব ধর্মদর্শনই এসেছে, সেগুলোর ওপর মাজদা ইয়াসনা ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। ধর্মমত বা দর্শনগুলোর আলোচনায় সেসব ধর্মের পূজা-অর্চনা, রীতি-নীতি এবং সেগুলো কীভাবে পালিত হয় কিংবা কীভাবে সুসম্পন্ন করা হয়, সেসব নিয়ে এখানে তেমন কোনো বিবৃতি বা বয়ান নেই। কারণ, সেগুলো জানতে চাইলে ইন্টারনেটে বহু সাইট আছে। সেসব বিষয়ে বহু বইও বিশেষত ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। এই বইয়ের লক্ষ্য মূলত এইসব ধর্মচিন্তার বিকাশে কী কী দার্শনিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কাজ করেছে তা পর্যালোচনা করা। বেশির ভাগ বইতে বাদ গিয়েছে বা সেসব বইয়ের লেখকগণ চিন্তা করেননি এমন অনেক আলোচনা ও বিশ্লেষণ এখানে হাজির করা হয়েছে। শেষ দুটো প্রবন্ধ সরাসরি ইরানকেন্দ্রিক নয়, কিন্তু কৌতূহলী পাঠকের কৌতূহল উসকে দিতে সে দুটি এখানে রাখা হয়েছে। এই বইয়ের ধারা বিশ্লেষণাত্মক, গতিপ্রকৃতি মার্ক্সবাদী। তবে মনোবিশ্লেষণী প্রবণতাও এই বইতে বেশ প্রবল।