কবির মুখ
কবির মুখ
By (author) আল মাহমুদ
আমি আমার নয় পুরুষের নাম জানি। এঁদের আগমন সম্পর্কে যেটুকু জানি, আমাদের বাড়িতে একটা কুরসিনামা ছিল। তা থেকে আমি জানি যে এঁরা বাইরে থেকে এসেছিলেন। এঁরা সব ধর্মপ্রচারক। দিল্লিতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রীয় উত্থান-পতনে এঁরা নানান দিকে ছড়িয়ে-ছিটকে পড়েছেন। এঁদের মধ্যে ধর্মপ্রবণ একজন ভাটি অঞ্চলে চলে আসেন। এখানে থেকেছেন। এ দেশের সাথে মিশে গেছেন।’—আল মাহমুদ
একজন আল মাহমুদ যখন আত্মজীবনী লেখেন, তখন একটি জনগোষ্ঠীর ইতিহাসই লেখেন। যার প্রমাণ ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’। গ্রন্থটি প্রথম যখন প্রকাশিত হয়, বোদ্ধাপাঠক মহলে বেশ সাড়া পড়ে যায়। কবিতা, গল্পের পর আত্মজীবনী রচনায়ও সাফল্য তার মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করে।
কয়েকটি অপেক্ষার গল্প
কয়েকটি অপেক্ষার গল্প
By (author) শেরিফ আল সায়ার
প্রথম গল্পেই দেখা মেলে মরণ আর প্রেমের কুহক। মধ্যবিত্তের তবে পরকীয়ার বালাই আছে। এমনকি মৃত্যুর সামনে দাড়ায়েও জীবনের তরে সে কোনো অ বৈধ পথের খোজ করে। জিহ্বায় এমন তেতুলের স্বাদ লেগে আছে যে জীবনটা তারে বেচইন কারে তোলে। পাওয়া আর হারানোর ভেদ বিচার তার আওতার বাইরে চলে যায়। এসব বিষযের কোনো মুসাবিদা করতেই শেরিফ আল সায়ার সাহিত্য কর্মে নামেন নাই বোধ করি। যদিও তার প্রথম গল্পের বই মধ্যবিত্তের নানা মুশকিল হাজির করে। দেনা পাওনার সংসারে আপন ঘরের খোজ নিতে ব্যস্ত মধ্যবিত্তের জীবনে অজানার আছর থাকে সে অজানার দরবারে কামিয়াব হওয়ার আশায় করজোড়ে যে গ্রন্থখানা লিখেছেন শেরিফ তার নাম কয়েকটি অপেক্ষার গল্প। মোট দশটি গল্প আছে এ গ্রন্থে। গল্প শেষ করার প্রবণতা কম শেরিফের। পাঠক যেন তার আত্মীয়। পাঠকই বুঝে নেবে তারা আসলে নিজেদের গল্প পড়ছেন। মিষ্টগদ্যে সিধা কাহিনীর জটিল আবেগ, এ পথেই হেটেছেন লেখক। গল্পে মৃত্যুর দিকে জিজ্ঞাসার আঙ্গুল তুলেছেন শেরিফ। রয়েছে আবেগ আর সংসারের কাহন। রয়েছে বেদনার জ্ঞান অর্জন আর প্রাপ্তির ক্ষরণ। যা কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা হারায় গল্পের চরিত্ররা। আর যা কিছু পায় তারা, তখন আবার দিশা যায় হারায়ে। এমন জীবনের তালাশে নেমেছেন লেখক। মধ্যবিত্ত ঘরে থাকতে চায় না আবার বাহির তার আপনার হয় না। ঘর বাহিরহীন মধ্যবিত্ত সংকট উতরায়ে যাবে কোন বলে। লেখকের স্বরে সেই জিজ্ঞাসা রাজনীতির খোজে তার গল্পের চরিত্র একদিন ঢাকা শহর হেটে বেড়ায় রাজনীতির মর্গে অনেক অপরিচিতি। চেনা সময়ের অলি গলি খুজে লেখক বুঝে নিয়েছেন লাইফ ইজ অ্যাবসার্ড।
কয়েকশো নটিক্যাল মাইল
কয়েকশো নটিক্যাল মাইল
By (author)সানজিদা আমীর ইনিসী
সানজিদা আমীর ইনিসীর গল্প প্রায়শ শুরু হয় গল্পের ছলে, শেষ হয় ভাবনার ভঙ্গিতে। উত্তমপুরুষে বলা গল্পগুলোতে কথকের নাম ইনিসী। বাংলা ছোটগল্পে লেখক ও কথকের নামের এই অভিন্নতা সচেতন প্রয়াস— তবুও লেখক ইনিসীকে কথক ইনিসী ধরে গল্পপাঠ ঠিক হতেও পারে, নাও হতে পারে। এইসব গল্পে সম্পর্ক সম্পর্কে, মধ্যবিত্ত বিষয়ে কিংবা গল্পের আঙ্গিক নিয়ে কেন্দ্রীয় কোনো ধারণা আসলেই দেওয়া যায় না। পারিবারিক চরিত্রগুলোর বন্ধন-কার্যকারিতা গল্পকারের রূপকল্প ও ভাবাদর্শমাফিক। উপস্থাপিত মধ্যবিত্ত মনোরম, আবার মনোটোনাসও! সংজ্ঞায়িত মধ্যবিত্ত বৃত্তের বাইরে মন নিয়ে বের হতে চেয়েছে। সময়ের প্রবাহে নয় জীবন, জীবনের হিমবাহে সময়ের শীত— অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু শৈত্যে গল্প বরফ-শীতল। চোখের পলক ফেলার মতো সহজ, আর অপলক তাকাবার মতো কঠিন অনুভবের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্যই যেন ‘কয়েকশো নটিক্যাল মাইল’। লেখকের সঙ্গে পাঠকের যাত্রা শুভ হোক!
— মেহেদী উল্লাহ
করপোরেট কমিউনিকেশন
করপোরেট কমিউনিকেশন
By (author) রোকসানা আক্তার রুপী
ইংরেজি হলো আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং ব্যবসায়ের আন্তর্জাতিক ভাষা। সাধারণ ইংরেজি ও ব্যবসায়িক ইংরেজির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদি আপনি কিংবা আপনার কর্মীবাহিনী ব্যবসায়িক ইংরেজিতে দক্ষ হন, তাহলে ব্যবসায়ে সফল হওয়ার অন্যতম একটি নিয়ামক আপনার হাতে রয়েছে। সাধারণত বোর্ড মিটিং কিংবা প্রেজেন্টেশনের ভাষা হয় ইংরেজি, যেখানে শ্রোতা/অংশগ্রহণকারী বা প্রেজেন্টার— কারোরই মাতৃভাষা ইংরেজি নয়। প্রাইভেট মিটিং বা পাবলিক ফোরাম, যেখানেই হোক, আপনার মূল বক্তব্য বোঝানোর জন্য ইংরেজিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষা। আপনি যদি ইংরেজিতে কথা বলায় দক্ষ হন, তাহলে এটি আপনার কাজের প্রয়োজনে ভ্রমণে সাহায্য করবে। আপনি যদি ইংরেজি পড়তে ও লিখতে পারেন, তবে আপনি ব্যবসায়িক ভ্রমণ পরিকল্পনার পাশাপাশি উন্নত আয়োজনও করতে পারবেন। আপনার ইংরেজি যদি প্রফেশনাল মানের হয়, তাহলে বিজনেস প্রেজেন্টেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা বিজনেস ডিল করার ক্ষেত্রে আপনি এক ধাপ এগিয়ে আছেন। যোগাযোগের জন্য বেশি ব্যবহার করা হয় ইমেইল। আর ইমেইলে আপনার বক্তব্যের মূল পয়েন্ট কীভাবে তুলে ধরতে হবে, সেটা জানা খুবই জরুরি। সঠিক ধারায়, কোনো ভুল না করে, ভালোভাবে ইমেইল লিখতে পারা একটি বিশেষ দক্ষতা। ওপরে বর্ণিত বিষয়গুলো এবং পাবলিক ও বহুজাতিক কোম্পানিতে করপোরেট ট্রেনিং করানোর সুদীর্ঘ ১৬ বছরের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে লেখক এই বইয়ে বিজনেস কমিউনিকেশনের টিপস ও টেকনিকসমূহের এক চমৎকার সমন্বয় করেছেন।
কলনবিলাস ১
কলনবিলাস ১
By (author) মোহাম্মাদ জিশান
কলনবিলাস-১
কলনবিলাস এ শব্দটিতে আসলে কী বোঝায়? এ নামটি শুনে অবাক হবেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। অথচ আজকাল মাধ্যমিকে পড়া ছাত্রছাত্রীও জানে গণিতে ‘ক্যালকুলাস’ নামে চরম একটা জটিল শাখা আছে, অথচ তাদের মধ্যে খুব কম লোকই জানে আমরা বাঙালিরা শখ করে ক্যালকুলাসের একটা বাংলা নাম বানিয়েছি ‘কলনবিদ্যা’। এখন কথা হচ্ছে এই ক্যালকুলাস দিয়ে কী হয়? লাভ কী শিখে?
খুব ছোট করে ক্যালকুলাস হলো গণিতের সবচেয়ে আধুনিক শাখা, গণিতের এই শাখার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির অনেক নিয়ম ব্যাখ্যা করা সহজতর ও অপরিহার্য। যারা গণিত আর বিজ্ঞানকে উপভোগ করতে চায়, তাদের কাছে ক্যালকুলাস মানেই গণিতের এক অসাধারণ শাখা। অথচ এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে পদার্থবিজ্ঞান অতিপ্রিয় কিন্তু গণিতে ভীতির কারণে পদার্থবিজ্ঞান পড়তে পারছে না। আবার অনেকেই মজাদার, রোমাঞ্চকর ক্যালকুলাসকে ভয় পেয়ে বাদ দিয়ে দিচ্ছে, পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার জন্য মুখস্থ করছে। অনেকে ক্যালকুলাস নিয়ে আগ্রহী অথচ ক্যালকুলাসকে অনুভব করতে পারে না। কারণ একটাই ক্যালকুলাস নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, বিষয়টাকে অনুভব করাতে পারে, ক্যালকুলাসের গল্প শোনাতে পারে– এমন কেউ নেই।
এ বইটা উপরোল্লিখিত সব শ্রেণির মানুষের জন্যই। মাঝে মাঝে এই বই গল্প শোনাবে, কথা বলবে, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে, হাসাবে। সব মিলিয়ে এমন ক্যালকুলাসকে উপভোগ ও বিলাসিতা করার জন্য একটা উপকরণ। তাহলে শুরু করা যাক কলনবিলাস-ক্যালকুলাস শিক্ষায় বিলাসিতা।
কলনবিলাস ২
কলনবিলাস ২
By (author) মোহাম্মাদ জিশান
আমি এ বইটি লিখছি আর বলছি, ‘এসো, কলনবিলাস পড়ো, দেখো ক্যালকুলাস অসাধারণ একটা জিনিস, এটা জাদুর মতো কোনো কিছুর ভাঙা-গড়ার হার বের করতে পারে আবার কোনো কিছুর অসংখ্য ভাঙা টুকরো জোড়া লাগিয়ে মোটামুটি আগের অনুরূপ অবস্থায় ফেরত দিতে পারে।’ অথচ এমন একদল আছে যারা বলবে, ‘বিশ্বাস করতে পারলাম না। ক্যালকুলাস হলো গণিতের সবচেয়ে কঠিন বিষয়, পরীক্ষায় এ নিয়ে প্রশ্ন না এলে পড়তামই না।’ এই যে পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার জন্য পড়া একটি দল, এই দলে বাংলাদেশের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। এই দলের ছাত্রছাত্রীরা একদিন পরীক্ষায় অনেক নম্বর পেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলা হবে। তারা আমাদের দেশের ও জাতির উপকারে আসবে।
কিন্তু এই দলের পাশাপাশি খুব কমসংখ্যক হলেও চিন্তাশীল মানুষ আমাদের দরকার যারা গণিত-বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থেকে পড়ে, নিজের আগ্রহ থেকে পড়ে, উপভোগ করার জন্য পড়ে। এই মানুষগুলো তাদের মুক্তচিন্তার মাধ্যমে প্রকৃতির দুর্জ্ঞেয় সব রহস্যকে ভেদ করবে। এই বইটা তাদের জন্যই।
তাহলে চলো, ক্যালকুলাসকে উপভোগ করা যাক।
কল্প-ডাক্তার
কল্প-ডাক্তার
By (author) শাহ্ মুহাম্মদ ফাহিম
বৃটিশ উপনিবেশের হাত ধরে আমাদের এখানে আধুনিক এলোপ্যাথি চিকিৎসার আগমন। উপনিবেশ শেষ হলেও তাদের রেখে যাওয়া চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো বহাল। উপনিবেশ-পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের মনস্তত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর উপনিবেশের কী প্রভাব রয়ে গেছে তা নিয়ে আমাদের এখানে খুব বেশি কাজ হয় নাই। তবে উপনিবেশকালে প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা চিকিৎসক ও হাসপাতালের হাল-হকিকত রূপায়িত হয়েছে বাংলা সাহিত্যের পাতায়। তেমন কিছু গল্প ও উপন্যাস ব্যবচ্ছেদ করে এই লেখাগুলো তৈয়ার করা হয়েছে। তবে আলোচ্য গল্প বা উপন্যাসের সাহিত্যমূল্য বিচার করা লেখকের লক্ষ্য নয়। বরং তার বাসনা হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের ডাক্তার চরিত্র ও হাসপাতাল ব্যবস্থার সমাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। আর তাই এই বইয়ের মূল উপজীব্য বিষয় হচ্ছে– বাংলা সাহিত্যের চিকিৎসক চরিত্র ও উপনিবেশ- পরবর্তী জনস্বাস্থ্য।
কল্পে গল্পে করোনাবিদ্যা
কল্পে গল্পে করোনাবিদ্যা
By (author) সঞ্জয় মুখার্জীর
করোনার হাত থেকে বাঁচতে যদি চাও বলছি তোমায় নিয়মগুলো, একটু জেনে নাও। ভীষণ ছোট এই জীবাণু, মাস্ক পেরিয়েও ঢোকে, তবুও তোমায় পরতে হবে, কমবে ঝুঁকি তাতে। ভিড় বাট্টা এড়াও, চলো, হাঁচি-কাশি দেখে হাতটি তোমার নিয়ো না যে নাক, মুখ, আর চোখে। বাইরে থেকে ফিরলে ঘরে, কিচ্ছু ধরো না যে সাবান দিয়ে বিশটি সেকেন্ড, হাতটি ধুয়ো আগে। তবুও যদি হয় গো অসুখ, হয়ো নাকো ভীত, ঘরে থেকো, অন্যকে আর করো না সংক্রমিত। ওষুধ খেয়ো ডাক্তার মেনে, সঙ্গে গরম জল, ভালো ভালো খাবার খেয়ো, দেহে পাবে বল। হও সচেতন বীর বাঙালি, আমরা সবই পারি, করোনাকে দূর করে দিই, ঠেকাই মহামারি।
বাংলায় সুন্দরভাবে বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরতে পটু মানুষদের একজন হলেন এই বইয়ের লেখক সঞ্জয় মুখার্জী। তিনি সহজ ভাষায় অণুজীবদের নিয়ে আগেও গল্প বলেছেন আমাদের। তার সহজবোধ্য লেখনীর কারণে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিজ্ঞানের জগৎ, অণুজীবের দুনিয়া, জীববিজ্ঞানের চিত্র। করোনা নিয়ে সঞ্জয় মুখার্জীর এ বইটিও সে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ছোটদের জন্য সহজবোধ্য করে লেখা, তবুও বৈজ্ঞানিক তথ্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সঞ্জয় সেই কাজটি সাফল্যের সাঙ্গেই করেছেন। সত্যিকারের গল্পগুলো পড়লে আমরা করোনাভাইরাসের প্রকৃতি, বিবর্তন, কাজের প্রণালি, করোনারোগের ধরন, চিকিৎসা, বিস্তার ইত্যাদি বহু বিষয়ে জানতে পারব। মিথ্যা এবং ভুল তথ্যের প্রাচুর্যের এই যুগে এমন বই অপরিহার্য। কল্পে গল্পে করোনাবিদ্যা বইটির জন্য শুভকামনা রইল। খান তানজীদ ওসমান গবেষক এমআইটি, আমেরিকা।