হইচই
হইচই
By (author) আজহারুল ইসলাম
চলন্ত ট্রেনে আজিম সাহেবের পাশে হঠাৎ এক যুবতী মেয়ে এসে বসল। ছাত্রীর বয়সী হবে। সামনের সিট দুটো খালি। আর কেউ বসছে না। মেয়েটা অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে। আজিম সাহেব কিছুটা বিরক্ত। সেটা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না, কিন্তু লুকিয়েও রাখতে পারছেন না। সামাজিকতা বিষয়টা আজিম সাহেব কমই আয়ত্ব করতে পেরেছেন। অন্যের সাথে মিলামেশা যে করেন না তাও না। বরঞ্চ তাকেই গল্প শোনাতে আসেন অনেকে। এই যেমন, প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা রওনকের কথাই ধরুন। তিনবছর ধরে অনার্স প্রথম বছরেই আছে। এ নিয়ে রাজ্যের সবাই চিন্তায় মরে যাচ্ছে, কিন্তু তার কোনো ভাবাবেগ নেই। আসলে তার আছে গভীর পরিকল্পনা। পরিকল্পনা কি ধ্বংসাত্মক, খোলাসা হয়নি। আবার, রংপুর থেকে ডায়েরি পাঠিয়েছে শাপলা। কিন্তু সেটা পড়তে হবে খুব সাবধানে। গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারলে ডায়েরি না খোলার অনুরোধ তার। বেশ শক্ত করেই বেঁধে দিয়েছে সে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী বোরহান উদ্দিনের গবেষণা পেপার বিখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে রীতিমত হুলুস্থুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন লেকচারারের এত বড় কীর্তি! কিন্তু বোরহান উদ্দিনের আছে অন্য এক গল্প। এই মেয়েটিও কি কোনো গল্প শোনাবে? তার মধ্যেও কি চলছে ‘হইচই’? কি নিয়ে এত হইচই?
হাঁটতে থাকা মানুষের গান
হাঁটতে থাকা মানুষের গান
By (author) জাকির তালুকদার
এককেন্দ্রিক উপন্যাসের কাঠামো এখন আর এ দেশের সমাজব্যবস্থাকে ধারণ করার জন্য যথেষ্ট নয়।
জাকির তালুকদারের এই উপন্যাস তাই এমন এক নির্মিতি, যার কেন্দ্র আছে সর্বত্র। অন্য কথায় পরিধিজুড়ে সবটুকুই কেন্দ্র।
‘হাঁটতে থাকা মানুষের গান’ এমন এক জনগোষ্ঠীকে পাঠকের সামনে তুলে এনেছে, যাদের কাছে রাষ্ট্রের উপস্থিতি মানেই পীড়ন। রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ চেহারাকে তারা চেনে না। কিন্তু ঈশ্বরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া সর্বশক্তিমান রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত থাবা বসায় তাদের জীবন যাপনের নিজস্ব ছন্দে, তাদের পালা-পার্বণে, তাদের সীমিত স্বপ্নে। তারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হতে থাকে। একবিংশ শতকে হয়নি কোনো কৃষক-নিপীড়িতের আন্দোলন। কারণ প্রতিরোধ করার কথা ভুলে গেছে এ দেশের মানুষ। তারা বেঁচে থাকে শত্রুদের করুণার ওপর নির্ভর করে। অথবা অপেক্ষা করে অলৌকিক কোনো সাহায্যের, ত্রাণকর্তার। যদিও মনে মনে জানে অসম্ভব সেই প্রত্যাশা।
পাঠক, এই ক্ষমাহীন জগতের শিল্পগাথায় আপনাকে স্বাগত।
হাঁটি হাঁটি পা পা
হাঁটি হাঁটি পা পা
By (author) ফিরোজা বহ্নি
এই লেখা কোনো পরামর্শের ঝুলি না, কিংবা ‘উচিত-অনুচিত’-র বয়ানও না… এই লেখা কোনো ‘আদর্শ’ মায়ের কিংবা ‘আদর্শ’ সন্তানের গল্প না, এই লেখা নিতান্তই একটা পথচলার গল্প, এক এলোমেলো মানুষের ‘মা’ হয়ে ওঠার গল্প, মা হওয়ার পর তার বদলে যাওয়া রূপ ও বদলে যাওয়া জীবনের গল্প, একটা নতুন জীবনের আলোয় নতুন করে ‘জীবন’ দেখার গল্প, একটা ‘মানুষ’কে ঘিরে তিলে তিলে গড়তে থাকা এক উপন্যাসের প্রথম অনুচ্ছেদ যেন।
সেই এলোমেলো মেয়েটা, যে কিনা ‘মা’ শব্দটি ধারণ করে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করার অভিযানে নামল, সেই মেয়েটা আমি। আর আমার গল্পের জীবনীশক্তি আর মূল অনুপ্রেরণার ‘মানুষ’টা আমার মেয়ে- বর্ণমালা!
হাতেকলমে ‘বাংলা’ ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং
হাতেকলমে ‘বাংলা’ ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং
By (author) রকিবুল হাসান
লেখকের ধারণা, মানুষের মনের মতো ভাষাও একটা ‘অসম্ভব’ জটিল বিষয়, বিশেষ করে যন্ত্রের ‘পার্সপেক্টিভ’ থেকে। ওনার কথা হচ্ছে, যন্ত্র যদি ভাষাকে জয় করতে পারে, তাহলে যন্ত্রকে দিয়ে সব করানো সম্ভব। ব্যাপারটা এমন— যন্ত্র যদি ক্লায়েন্টের হয়ে আইনি ‘কন্ট্রাক্ট’ ডকুমেন্ট, হেলথ রেকর্ড, ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস দেখে দিতে পারে, তাহলে এই জায়গাগুলোতে বেশ ভালো এগিয়েছে বলা যাবে। লেখক যদি এ রকম একটা জটিল বই মুখের কথায় নামিয়ে দিতে পারেন, তাহলে বাংলাও এগিয়েছে প্রযুক্তির সঙ্গে। এই জাদুর পেছনে রয়েছে ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’।
তবে, লেখক চাচ্ছেন বাংলাকে সর্বস্তরে নিয়ে যেতে— সরকারি-বেসরকারি সার্ভিস ডেলিভারিতে। এত মানুষ, সার্ভিস ডেলিভারিতে অটোমেশন না এলে একজীবনে মানুষের অনেক চাওয়াই অপূর্ণ থেকে যাবে। ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং’ সেই জাদুর কাঠির একটা অংশ। রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা আরও মানবিক হতে পারে যখন জনগণের চাহিদার ভাষা বুঝতে পারবে অটোমেশন ইন্টারফেস। বাংলা নথিপত্র ‘ডিজিটাইজড’ হয়ে গেলে সার্ভিস সময় নেমে আসবে কয়েক ঘণ্টায়।
হাতেকলমে পাইথন ডিপ লার্নিং
হাতেকলমে পাইথন ডিপ লার্নিং
By (author) রকিবুল হাসান
গত ২০০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যন্ত্রের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে অনেক, তবে মানুষের আকুলতা পড়ে আছে অন্য জায়গায়। মানুষ ‘ইন্টেলিজেন্ট’ মেশিন চায় তার পাশে- সহকর্মী হিসেবে। সমাজের অসংগতি কমাতে। এটা অবশ্যই একটা ফ্যান্টাসি, আর তাই এই ‘িচন্তা করতে পারা’ যন্ত্র এবং রোবট নিয়ে লেখা হয়েছে হাজারো গল্প এবং মুভি। বাস্তবে সেটা ঘটুক আর নাইবা ঘটুক, তবে লেখক মনে করেন এই পুরো জিনিসটাই একটা ‘পাওয়ারফুল’ আইডিয়া। গত পাঁচ দশকে ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমের ‘হাইপ’ আর তার ‘অ্যাডভান্সমেন্ট’-এর ফারাক থাকাতে দুটো ‘এআই’ উইন্টার দমাতে পারেনি মানুষকে। তবে এবারের ঘটনা অন্য।
গত ১০ বছরে একদিকে যন্ত্রের প্রসেসিং স্পিড বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মেমোরি এবং স্টোরেজের দাম পড়ে যাওয়ায় মানুষ অসাধারণ কিছু ‘প্রজ্ঞা’ পেয়েছে বিগ ডেটা থেকে। ‘ডেটা ড্রিভেন’ সরকারি কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকায়, লেখক ডেটা থেকে কার্যকরী ‘অ্যাকশনেবল ইনসাইট’ নেওয়ার জ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আগের দুটো বই। ব্যবহারিক লেখা— হাতেকলমে ওয়ার্কবুক স্টাইলে, যাতে করতে করতে শিখে যান সবাই।
নিউরাল নেটওয়ার্ক, ডিপ লার্নিং ব্যাপারটা আমাদের জন্য নতুন হলেও ইন্টারনেট যুগের তথ্যের অবারিত ধারা আটকে রাখবে না এই প্রযুক্তি বাংলায় শিখতে। নতুন প্রযুক্তি শেখার ব্যাপারটা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের অসম্ভব ‘উদগ্রীবতা’ তাকে বাধ্য করেছে এই বইটা টাইমলাইনের আগেই আনতে। ওপেনসোর্সের মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী আমাদের লেখক তার তিনটা বই ছেড়ে দিয়েছেন ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায়। ‘রিড ফার্স্ট, বাই লেটার’ কনসেপ্টে বইটা লেখার সময় দুটো জিনিসকে খেয়াল করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১. কনসেপ্ট হেভি, কোড লাইট- কিছুটা কনসেপ্ট বুক, ২. হাতেকলমে প্রতিটা স্টেপ ধরে ওয়ার্কবুক, না শিখে যাওয়ার স্কোপ কম।
হাতেকলমে মেশিন লার্নিং
হাতেকলমে মেশিন লার্নিং
By (author) রকিবুল হাসান
ডাটা নির্ভর পৃথিবীতে বাঁচতে হলে জানতে হবে এর ভেতরের কারুকাজ। আপনার অজান্তে শুধুমাত্র হাতের ফোনটাই তৈরি করছে হাজারো ডাটা, প্রতিদিন। আপনার এবং অন্যের ব্যবহারে। প্রচুর ডাটা আর অসম্ভব কম্পিউটেশনাল ক্ষমতা আমাদেরকে দেখাচ্ছে ভবিষ্যৎ দেখার নতুন পেশা। যারা ডাটাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়তে চান – তাদেরকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে বইটা। কম্পিউটারের ফিল্ড নয়, বরং সব পেশাজীবীদের জন্য একটু আলাদা ধারণা দিয়ে লেখা হয়েছে শুরু থেকে। সেকারণে এটা কোন স্পেসিফিক ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’ নির্ভর নয়। বরং, কনসেপ্টের পেছনে জোর দেয়া হয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। শুরুতে বুঝতে পারে সবাই, এমন একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলাপ হয়েছে – যার শুরুটা শিখতে লাগে দুই দিন। পরের বইগুলোতে আস্তে আস্তে আপনাকে নিয়ে যাবে প্রযুক্তির ভেতরে। আপনার অজান্তে। ডাটাকে চিনতে – একদম ভেতর থেকে। ডাটা পেশাজীবীর হাত ধরে। বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের শুরুটা হয়েছে “আর” প্রোগ্রামিং এনভায়রনমেন্ট দিয়ে। পাশাপাশি পুরো এক্সারসাইজটা করে দেয়া আছে পাইথনে।
প্রযুক্তিবিদ নয়, আপনি যে পেশারই হোন না কেন, ভবিষ্যৎ দেখতে চাইলে দরকার এই বই। মানুষ ভবিষ্যৎ দেখতে পারে না – ব্যাপারটা ঠিক নয় একদম। সবার জন্য লেখা এই বইটা পড়লে বুঝবেন কি ‘মিস’ করেছেন এতোদিন! নিশ্চিতভাবে বলা যায় – চিন্তা ধারণা পাল্টে যাবে আপনার। আজকের পর থেকে। হাতে কলমে অংশটুকু তৈরি করা হয়েছে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্য করে।
হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং
হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং
By (author) ঝংকার মাহবুব
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে উন্নয়ন অনুকূল বেশ কিছু সংস্কৃতি সংযোজিত হয়েছে যার মধ্যে নানা বিষয়ের উপর অলিম্পিয়াড, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। আবার গত ১২-১৩ বছর ধরে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্যও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। অবাক করা বিষয় হলো আমাদের স্কুল কলেজের ছাত্ররা প্রোগ্রামিংকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বেশ সফলতাও অর্জন করেছে। যেমন সকল অলিম্পিয়াডের মধ্যে প্রথম সিলভার মেডেল পেয়েছে সিটি কলেজের মো. আবীরুল ইসলাম ২০০৯ সালে। তাও আবার উপমহাদেশের সকল প্রতিযোগীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়ে। ২০১২ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত আইওয়াই’তে তো বাংলাদেশের বৃষ্টি সিকদার সারা পৃথিবীর সবগুলো মেয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হলো। এই বিষয়গুলোতে আমাদের তরুণদের যে প্রশংসনীয় আগ্রহ ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ক্ষমতা তাঁর যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে এই বইয়ের লেখকের মাধ্যমে।
ঝংকার মাহবুবের বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি খুবই অবাক এবং আশান্বিত হয়েছি যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নানা বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেই বড় হচ্ছে। বইয়ের নামকরণ থেকে শুরু করে ব্যবহূত ভাষা এবং ঢং সবই ভিন্ন ও আকর্ষণীয়। বইয়ের নাম ‘হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং’ হলেও লেখক সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস করে যে আমাদের যে কোনো তরুণের জন্য প্রোগ্রামিং শেখা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। প্রতিটা অধ্যায়ই লেখকের স্বতন্ত্র ভাষায়, ঢংয়ে খুবই হালকা মেজাজে উপভোগ্য কৌতুকের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে যাতে করে কোন ‘হাবলু’ই টের না পায় যে সে খুবই জটিল কিছু শিখতে যাচ্ছে। অনুশীলন করার জন্য বইতেই পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা দেয়া আছে।
আমি আশা করি আমাদের ছেলেমেয়েরা এই বইটি পড়ে যেমন প্রোগ্রামিংয়ের ভয় জয় করবে ঠিক একইভাবে প্রোগ্রামিংয়ের বেশ কিছু ধারণাও আত্মস্থ করতে পারবে। আমি ঝংকার মাহবুবকে বইটি লেখার জন্য অভিনন্দন জানাই আর তাঁর বইয়ের পাঠকদের প্রতি রইল মেধার অনুশীলনীর মাধ্যমে শ্রেয়তর মস্তিষ্কের অধিকারী হয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার আমন্ত্রণ।
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ
অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
হারকিউলিসের বারো অভিযান
হারকিউলিসের বারো অভিযান
By (author) নির্ঝর রুথ ঘোষ
যখন ছোট ছিলাম, ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘পুরাণ’ বা ‘পৌরাণিক কাহিনী’ নামে একটা কলাম নাম ছাপা হতো। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম কলামটা। সেটাই ছিল বিদেশি পৌরাণিক কাহিনির জগতে আমার হাতেখড়ি। এ ছাড়া ঠাকুরমা আর ঠাকুরদার ঝুলি থেকে দেশি পৌরাণিক কাহিনি পড়া তো আছেই। যখন বড় হলাম আর অন্তর্জাল হাতের মুঠোয় এল, একঝটকায় পড়ে ফেলতে লাগলাম গ্রিক, রোমান, ভারতীয় কিংবা মেসোপটেমীয় পুরাণের কাহিনি। আশ্চর্য হয়ে ভাবলাম, কীভাবে প্রাচীন যুগের মানুষেরা এত জটিল সব কাহিনি চিন্তা করল। কত ধরনের দেব-দেবী যে বানিয়েছিল তারা! একেকজনের একেক কাহিনি। কত ধরনের দৈত্য আর হিংস্র জানোয়ার যে কল্পনা করেছিল, বলার বাইরে। এই সবকিছু আমাকে মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে। আমার সেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি অন্যদের মাঝেও। এ জন্য পুরাণের কাহিনিগুলোকে নিজের ভাষায় বর্ণনা করতে শুরু করেছিলাম মুখবইয়ের জনপ্রিয় পেজ ‘মিথলজি’তে। পাঠকেরা সেগুলো লুফে নিলেন। বুঝলাম আমার মতো অনেকেই আগ্রহী পুরাণ নিয়ে পড়তে। সেই সূত্রে এ বইয়ের অবতারণা। আশা করি গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত ডেমিগড (নাকি মানব?) হেরাক্লেসের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ নিয়ে লেখা বইটা পাঠককে আমোদিত করবে।
ওহ আচ্ছা, হারকিউলিসকে কেন হেরাক্লেস বলছি? উত্তর পাবেন বইয়ের ভেতর। আর যদি জানতে চান হেরাক্লেস ডেমিগড নাকি মানব, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বই পর্যন্ত!
হালাল মার্কেটিং
হালাল মার্কেটিং
By (author) প্রলয় হাসান
একজন ক্রেতার পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ধর্মের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। কাজেই, ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডিজাইন করলে এটি অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। সাধারণত মুসলমান ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ‘হালাল’ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন— উভয় পক্ষেরই চূড়ান্ত উদ্দেশ্য থাকে পরকালকে ঘিরে, যা অন্য কোনো মার্কেটিং দর্শনে নেই।
আমাদের দেশে এথিক্যাল মার্কেটিং ও সাসটেইনিবিলিটির যে চর্চা, তা বর্হিবিশ্বের তুলনায় কম। এই বইয়ে লেখক বেশ কয়েকটি উদাহরণ এবং সংক্ষিপ্ত কিছু কেস স্টাডি তুলে ধরেছেন। সাথে এও বলেছেন— কেন ও কিভাবে শুধু পরিবেশ সচেতনতাই একটি প্রতিষ্ঠানকে এনে দিতে পারে মোটা অংকের মুনাফা।
ব্যবসায়ে নৈতিকতা চর্চা এবং পরিবেশ-সচেতনতার সাথে ইসলামের সরাসরি সম্পর্ক থাকায় এই দুটি অধ্যায়কেও এই বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে। হালাল মার্কেটিংয়ের সাথে এথিক্যাল এবং গ্রিন মার্কেটিংয়ের প্রেক্ষাপটে শরীয়তের যে সকল নির্দেশাবলী রয়েছে, তা মানা ব্যবসা এবং সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ধারন— উভয় স্বার্থেই জরুরি।
হালাল মার্কেটিং, এথিক্যাল মার্কেটিং, সাসটেইনেবল মার্কেটিং, এবং গ্রিন মার্কেটিং- এ বিষয়াবলীর চমৎকার মেলবন্ধন ঘটেছে এই বইতে। বইটি দেশীয় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোকে যেমন হালাল, এথিক্যাল এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্ট বিপণনে উৎসাহী করবে, তেমনি দেশের ভোক্তাদেরকেও সঠিকভাবে হালাল-হারাম যাচাই করে পণ্য কিনতে এবং নৈতিক ও পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববান হতে প্রেরণা দিবে।
হিউম্যান ল্যাব: মৌন মানুষ মানসে
হিউম্যান ল্যাব: মৌন মানুষ মানসে
By (author) মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়
মানুষ খুঁজি, মানুষে বাঁচি
সময় সেচি সাধনায় যাচি
কল্পনা, কৌতূহল, কৌশল
মননে-শ্রবণে মৌষল
মনোযোগ গেছে ধনোযোগ মাগে, ৭ ইঞ্চি স্ক্রিনে উঠে আর নামে, সাড়ে ৭ হাজার ট্যাব
মানুষ ভাসছে ফানুস বাবলে, রিউমার নয় হিউমার আসলে
মৌনতা ক্লাবে ভাবনাগুলো ভবের হিউম্যান ল্যাব।
প্রথম ত্রিশ বছর হওয়া উচিত পর্যবেক্ষণ আর পরিভ্রমণের। একত্রিশতম জন্মদিনে প্রত্যেক বোধসম্পন্ন মানুষের জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখে যাচাই করা উচিত কোথায় সে আছে, কোথায় সে যেতে পারে। জীবিকাকে জীবন ভাবার ভুল করিনি বলেই ‘শুনতে চাই’ এটাই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করি ত্রিশ পেরুনোর পর। কিন্তু ‘শুনতে চাই’- এটাই যদি জীবিকা বানিয়ে ফেলি?
প্রায় প্রত্যেক কোম্পানি তাদের বিজনেস প্রোফাইল বা ব্রোশিউর বানায়। মানুষ আগ্রহ আর উৎসাহ নিয়ে কোনো কোম্পানীর প্রোফাইল কিনে পড়েছে বই হিসেবে, পৃথিবীর ইতিহাস কি এমন ঘটনার সাক্ষ্মী হতে চায়?
‘শুনতে চাওয়াই’ জীবিকা আমার, বিজনেসও; কেমন হবে প্রোফাইলটা? যার সাথে জীবনে সবচাইতে বেশি শব্দ বিনিময় করেছি ইথারে, সেই পাপড়ির কি থাকতে পারে ভিন্ন কোনো দর্শন, পৃথক কোনো ইশতেহার? শুনি তবে…