“অপরিহার্য শরীয়াহ” লাভক্ষতির সমীকরণকে সামনে রেখে। মানুষের চেয়ে উচ্চতর কোনো কর্তৃপক্ষের অস্তিত্বকে এই ব্যাখ্যা স্বীকার করে না, কিংবা স্বীকার করলেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। মানুষই সর্বেসর্বা। পাশ্চাত্যে জন্ম নেয়া এই ব্যাখ্যা ও কাঠামো উপনিবেশবাদের যুগে পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই কাঠামোর অধীনেই আজ আমাদের বসবাস। কিন্তু ইসলামের বক্তব্য একেবারেই আলাদা। ইসলাম বলে, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদাতের জন্য। কেবল তিনিই সার্বভৌম। মানুষের জীবনমৃত্যু সহ সমগ্র সৃষ্টির একক মালিকানা কেবল তাঁরই। তিনিই নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সীমানা ঠিক করে দিয়েছেন। নির্ধারণ করে দিয়েছেন বৈধ ও অবৈধ এর সংজ্ঞা। ইচ্ছেমতো এই সীমানা আর সংজ্ঞা বদলে ফেলার অধিকার মানুষের নেই।
ইসলাম শেখায়, আমাদের জান, মাল, সময়, সম্পদ-সব ক্ষেত্রে সব অধিকারের উৎস হলেন মহান আল্লাহ। মানুষ নিজে তার অধিকার আবিষ্কার করে না। রাষ্ট্র বা অন্য কোনো পার্থিব শক্তি অধিকার তৈরি করে না। সৃষ্টির অধিকার আসে সৃষ্টির মালিকের কাছ থেকে। পার্থিব কর্তৃপক্ষ কেবল সেই অধিকারের বাস্তবায়ন এবং রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে। এর বেশি কিছু না। আল্লাহ যা বৈধ করেছেন তার বাইরে আর কিছু করার অনুমোদন মানুষের নেই। আল্লাহ যা অবৈধ করেছেন তার অনুমোদন দেয়ার অধিকারও মানুষের নেই। একই কথা প্রযোজ্য আইনের ক্ষেত্রে। যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই বিধানদাতা।
Reviews
There are no reviews yet.