পাশ্চাত্য সভ্যতা যে দার্শনিক সত্তার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে, তা হলো “হিউম্যান বিয়িং”। এটি নিছক একজন মানুষ নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট দার্শনিক ও সামাজিক কাঠামোর প্রতিনিধিত্বকারী সত্তা। পশ্চিমা সামাজিক বিজ্ঞান এই সত্তাকে ঘিরেই কাজ করে এবং এই ধারণাটির উৎপত্তি ঘটে এনলাইটেনমেন্ট থেকে।
হিউম্যান বিয়িং হলো এমন এক ব্যক্তি, যে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে স্বতঃসিদ্ধ ও চূড়ান্ত সত্য হিসেবে গ্রহণ করে। সে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অমুখাপেক্ষী এবং অন্য কারো প্রতি দায়মুক্ত মনে করে। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্ন জীবনব্যবস্থা ও দর্শনকে মূল্যায়নের একমাত্র মানদণ্ড হলো মানবিক চাহিদা। এই সত্তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো মানবিক চাহিদা ও কামনা-বাসনার পূর্ণতা অর্জন করা।
তবে এই হিউম্যান বিয়িং কেবল পাশ্চাত্যের দাসত্বে আবদ্ধ। সে চেতনে কিংবা অবচেতনে পুঁজিবাদের গোলামী করে। তার সমস্ত চিন্তা ও কর্ম পাশ্চাত্যের দাসত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিবেদিত। তার জীবনের মাপকাঠি হয়ে ওঠে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি, এবং সে নিজেকে একজন পশ্চিমা দাস হিসেবে প্রমাণ করতেই ব্যস্ত থাকে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও গভীরভাবে জানতে হলে, বইটি অধ্যয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হিউম্যান বিয়িং-এর দার্শনিক কাঠামো, তার সৃষ্টির পেছনের ইতিহাস এবং তার প্রভাব সম্পর্কে পাঠককে স্বচ্ছ ধারণা দেবে।
সম্পাদক : মুহাম্মাদ আফসারুদ্দীন
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০
বাঁধাই : হার্ডবোড
কাগজ : ৮০ গ্রাম পেপারটেক অফহোয়াইট
Reviews
There are no reviews yet.