দরদী তুলির আর্তনাদ সে যুগে একতরফা বিচার-বিবেচনার রোষানলে বরাবরই শীর্ষে ছিলো মাজহুলের মতো বাবারা। জাহেলি যুগের সেই অন্ধকার সময়ে তুলিদের ইচ্ছা-বাসনার পূর্ণতা তো বহুদূরের কথা—দুবেলা দুমুঠো আহারের অধিকারও ছিল কল্পনাতীত। ভোগের পণ্য বিবেচনায় তাদের স্থান ছিল শীর্ষে, তবে সেই স্থান ছিল চরম অবমাননার।
তাদের কাউকে জীবনের ইতি টানতে বাধ্য করা হতো, কাউকে বা মাটির নিচে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো। কেউ বা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া অন্নের জন্য প্রতিদিন জীবন-মরণ সংগ্রামে লিপ্ত থাকত। এমন অমানবিক অত্যাচার আর অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়েই কেটেছে তুলিদের সেই দুর্বিষহ দিনগুলো। এটি ছিল এক অন্ধকারময় কালো অধ্যায়—এক দীর্ঘস্থায়ী কালো সময়।
তুলিদের সেই বুকফাটা আর্তনাদের গল্প যেন একটি চিরন্তন বেদনাবিধুর কাহিনী। তবে সেই গল্পের মোড় ঘুরে যায় মহান এক মানবের আগমনে। তিনি ছিলেন মুক্তির দিশারি, আজাদির মহানায়ক। তাঁর আগমনে জাহেলি যুগের অন্ধকার যুগ শেষ হয়ে তুলিরা পায় তাদের সত্যিকারের মর্যাদা।
তুলিরা কেবল বেঁচে থাকার অধিকারই নয়, পায় তাদের রঙতুলি হয়ে পৃথিবীকে রাঙানোর অধিকার। সেই স্বর্গীয় বার্তা তাদের শিখিয়েছিল মানুষের প্রকৃত মর্যাদা, সম্মান আর অধিকার। দরদী তুলির আর্তনাদ শেষ বিজয় ছিল তুলিদেরই। মানবতার মহানায়ক তাদের জীবনকে নতুন আলোয় আলোকিত করেছিলেন, যা অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে তুলিরা পেয়েছিল তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
Reviews
There are no reviews yet.