ভূবনডাঙায়
রাফিক হারিরি
রাফিক হারিরির ভূবনডাঙায় একটি সাশ্রয়ী yet গভীর অনুভূতির কবিতা, যা পাঠককে তার অম্লান প্রকৃতির দিকে টেনে নিয়ে যায়। কবিতাটি প্রকৃতির অদৃশ্য, স্নিগ্ধ কোলাহলকে এমনভাবে জীবন্ত করে তোলে যে, পাঠক যেন নিজেই সেই দৃশ্যে উপস্থিত থাকে। লেখক যে সূক্ষ্মতা ও স্নিগ্ধতা দিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন, তা অপ্রতিরোধ্য।
কবিতার প্রথম স্তবকটি শুরু হয় এক রহস্যময় ও উদ্বেগজনক প্রশ্ন দিয়ে: “হয়তো বা শোনো তুমি, কোনো দিন হয়তো শোনো না”। এই শব্দগুলোর মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা, এক অদৃশ্য অভিমান আছে, যা কবিতার মেজাজকে আরও গভীর করে তোলে। সূর্যের রাঙানো আলো থেকে শুরু করে প্রতিসন্ধ্যার সিঁদুরে রাঙানো দৃশ্য—সবই কবিতায় সুনিপুণভাবে ফুটে উঠেছে। এর মধ্যে আমরা দেখতে পাই সূর্য, আকাশ, মাটি—প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলো একটি সুরেলা সঙ্গীতের মতো একত্রিত হয়ে মানুষের অনুভূতিকে বর্ণিত করছে।
দ্বিতীয় স্তবকে, কবি এক অনবদ্য চিত্ররূপ তুলে ধরেছেন। “মাটিতে বাষ্পে শূন্যে ধুয়ে যায় তার সোনা”, এই লাইনটি প্রকৃতির শুদ্ধতা এবং তার অমূল্য রূপকে প্রকাশ করেছে। এখানেও কবি একটি কবিতার মতো মৃদু প্রতিশ্রুতি তৈরি করেছেন, যা তাকে ধারণা করতে সাহায্য করে যে প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে কোনো গোপন সৌন্দর্য, যা অনুভব করলে জীবনও আরও সুন্দর হয়।
তৃতীয় স্তবকে কবি আরও গভীরে চলে যান, যেখানে “প্রতিটি ধ্বনি সয়ে যায়, প্রান্তরে বয়ে যায় বাতাস”। এই জায়গায় তিনি বাতাসের নিঃশব্দ কথোপকথন, আকাশের চুপচাপ মুখরিত ভাবনার দিকে পাঠককে নিয়ে যান। এই চিত্রায়ন প্রকৃতির একান্ত অভ্যন্তরীণ দোলাচল ও অনুভূতির বাস্তবতা প্রকাশ করে, যা মৃদু এক ছন্দের সাথে মনকে স্পর্শ করে।
অবশেষে, কবির শেষ স্তবকটি একটি অনন্ত শান্তি ও মৃদু রহস্যের ইঙ্গিত দেয়—”জ্বলে উঠে তারার উজ্জ্বল ঝিলিক, কিরণ যেন মৃদু শপথ”। এই লাইনটি কবির আধ্যাত্মিকতা এবং গভীর চিন্তার প্রকাশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতার মধ্যে যেন একটি নিরব শপথ রয়েছে, যা আমাদেরকে প্রেরণা দেয় এবং তাতেই কবি তাঁর চূড়ান্ত সমাপ্তি টানেন: “তোমাতেই রাত্রি ভোর করি, প্রতিটি অঙ্গনে আলোশীতল আকাশ।”
সার্বিক দৃষ্টিতে, ভূবনডাঙায় রাফিক হারিরির একটি দারুণ অনুভূতিপূর্ণ কবিতা, যা প্রকৃতি, মানবমনের গভীরতা, এবং সময়ের পার্থিব ধারাকে এক অদ্ভুত ভাবে একত্রিত করেছে। কবি খুব সুকৌশলে প্রকৃতির রূপান্তর ও ছন্দের মাঝে এক অবিরাম সংলাপ তৈরি করেছেন, যা পাঠককে শুধু দর্শন দেয় না, বরং অনুভব করায়। পাঠক এই কবিতাটি পড়তে গিয়ে যেমন এক ধরনের অমলিন শান্তির অনুভব পাবে, তেমনি সেই শান্তির মধ্যে নিজের অস্তিত্বও খুঁজে পাবে।
শেষ কথা হলো, এই কবিতাটি শুধু একটি প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করেনি, বরং প্রকৃতির প্রতি মানুষের নিবিড় সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের প্রতি কবির গভীর চেতনার এক অসাধারণ চিত্র তুলে ধরেছে।
ভূবনডাঙায়
৳ 150.00 Original price was: ৳ 150.00.৳ 120.00Current price is: ৳ 120.00.
ভূবনডাঙায়
By (author) রাফিক হারিরি
হয়তো বা শোনো তুমি, কোনো দিন হয়তো শোনো না,
প্রতিদিন সূর্য রাঙে, প্রতিসন্ধ্যা সিঁদুরে রাঙায়,
হয়তো মাটিতে বাষ্পে শূন্যে ধুয়ে যায় তার সোনা,
তোমাতেই তবু রাত্রি ভোর করি ভুবনডাঙায়।
Related products
Around The World With Rituraj -Part 1
Question Bank
আগামেমনন (অনুবাদ অনিন্দ্য কৌশিক )
এক পলকে গিট ও গিটহাব
ক্যারিয়ার ভাবনায় বই
সেলফ কনফিডেন্স:
আমরা মুসলিম। মুসলিম হিসেবে আমরা কিছু মৌলিক বিশ্বাস এবং আদর্শ ধারণ করি। আমাদের এই বিশ্বাস মোতাবেকই আমরা আমাদের জীবন পরিচালনা করি। তাই আত্মবিশ্বাস অর্জনের যেসব পদ্ধতি আছে, তার চেয়ে আমাদের অনুসৃত পদ্ধতি ভিন্ন হবে। আমরা তা নিরূপণ ও অনুসরণ করব আমাদের আদর্শের আলোকে। সেক্যুলার চিন্তাবিদরা মানুষকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্তিত্বশীল সত্তা মনে করেন। মানুষের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করাটাকেই তারা জীবনের মূল উদ্দেশ্য মনে করেন। অন্যদিকে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করলে আমরা কেবলই আল্লাহর দাস। তাঁর দেওয়া বিধান অনুসরণ করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করাটাই হলো আমাদের জীবনের আসল উদ্দেশ্য।ক্যারিয়ার হ্যাকস:
প্রশিক্ষণ, পড়াশোনা, আর অভিজ্ঞতা থেকে যত শিখছি ততই মনে হচ্ছে ইশ এই জিনিসগুলো যদি আরো আগেই শিখতে পারতাম তাহলে হয়তো ক্যারিয়ারে আরেকটু ভাল পজিশনে থাকতে পারতাম। হ্যাঁ বন্ধুরা, ক্যারিয়ারে তোমার ভাল পজিশনিং এর জন্য যা যা দরকার তাই থাকছে এই বইটিতে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি সমিক্ষা বলছে প্রায় ৪৭ শতাংশ শিক্ষিত জনগোষ্ঠি বেকার। তোমার অবস্থানটি এই ৪৭ শতাংশের মধ্যে দেখতে না চাইলে এখন থেকেই শুরু করতে হবে তোমার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি। কিভাবে করবে? কোত্থেকে শুরু করবে? কি কি করবে? এগুলোর উত্তর নিয়েই বইটি।স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
চাপে নেই এমন মানুষ আসলে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসে বিক্রয় কর্মীদের নানারকম স্ট্রেস সামলাতে হয়, স্ট্রেস সামলাতে হয় বিভাগীয় প্রধান থেকে একজন সিইওকে । উদ্যোক্তাদের চাপের কোনো শেষ নেই । আবার যারা নতুন ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে হচ্ছে না, তাদের চাপও কম নয় । ব্যক্তিজীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেও অনেকে চাপে ভোগেন ।
এই বই যারা পড়বেন তার অন্তত ১০ শতাংশ পাঠক যদি হ্যাকস গুলো অনুসরণ করে উপকৃত হন, চাপ সামলানোর কৌশল রপ্ত করে সন্তুষ্ট জীবন খুঁজে পান, তবেই আমার লিখার স্বার্থকতা ।আমি জীবনে মূলত পারপাস পেছনে কাজ করি । এই বই সেই পারপাসের একটা অংশ ।
মুমিনের ক্যারিয়ার ভাবনা:
কেমন হবে একজন খাঁটি মুমিনের ক্যারিয়ার? কী হবে তার জীবনের লক্ষ? ক্যারিয়ার মানেই আমরা বুঝি টাকা এবং সম্মান। ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ সম্মান খোঁজে, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে মানুষ টাকা খোঁজে। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে সম্মান খোঁজা, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়ে টাকা খোঁজা, এটা মুমিনের লক্ষ হতে পারে না। কারণ, মুমিন বিশ্বাস করে, টাকা আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। রিজিক আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে এবং সম্মানও আসে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে। আল্লাহ তাআলা রিজিকেরও মালিক, সম্মানেরও মালিক।ফ্রেশারস টু জব রেডি
সাইবার অপরাধনামা
হু মুভড মাই চিজ?
© 2025 Thebookcenterbd All rights reserved
Reviews
There are no reviews yet.