সহজ কুরআন ২য় খণ্ড
সহজ কুরআন ২য় খণ্ড
By (author) আসিফ সিবগাত ভূঞা
সহজ কুরআন লেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখক সহজ কুরআন প্রথম খণ্ডে বলে দিয়েছেন। দ্বিতীয় খণ্ডে মোট ২১টি সুরা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। প্রথম খণ্ডের ১৬টি সুরা বাদ দিয়ে ৩০তম পারার বাকি সব সুরা এই খণ্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। সুতরাং কুরআনের শেষ পারার সব সুরা পাঠকগণ এ দুই খণ্ডে পেয়ে যাচ্ছেন (তা ছাড়া প্রথম খণ্ডে কুরআনের প্রথম সুরা ফাতিহার ব্যাখ্যা রয়েছে)। আমাদের লক্ষ্য থাকবে পরবর্তী খণ্ডগুলোতে আগে কুরআনের ২৭, ২৮ ও ২৯তম পারা নিয়ে কাজ শেষ করা ইনশা আল্লাহ। এরপর আমরা প্রথম পারা থেকে শুরু করে (সুরা ফাতিহা বাদ দিয়ে) ২৬তম পারা নিয়ে কাজ করব।
পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এভাবে পেছন থেকে শুরু করে তারপর কেন সামনে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, কুরআনের বর্তমান ক্রমানুযায়ী যে সুরাগুলো আছে সেভাবে ব্যাখ্যা না করে যে সুরাগুলো প্রথম দিকে মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে, লেখক সেগুলোর ব্যাখ্যা আগে আনতে চান। প্রথম দিকে অবতীর্ণ সুরাগুলো সাধারণত আকারে ছোট এবং কুরআনের কপিতে এদের অবস্থান শেষের দিকে। কিন্তু এ সুরাগুলোই আমাদের বেশি পরিচিত এবং এগুলোতে ইসলামের প্রাথমিক প্রস্তাবনাগুলো সবচেয়ে কাব্যিক ও সাহিত্যিকভাবে বর্ণিত হয়েছে। এদের আগে বুঝে নিলে পরবর্তী সময়ে অবতীর্ণ (কিন্তু কুরআনে আগে স্থান পাওয়া) বড় বড় সুরা অনুধাবন করতে সুবিধা হবে।
এভাবে কুরআন শেখা কোনো আনকোরা পদ্ধতি নয়। সাহাবিগণ নিজেরাও এ পদ্ধতিতে কুরআন শিখেছেন এবং অন্যদেরও পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমে অবতীর্ণ এবং কুরআনে শেষে স্থান পাওয়া ছোট সুরাগুলো আগে ভালো করে অনুধাবন করে এরপর বড় বড় সুরায় হাত দেওয়াটা আল্লাহর রাসুল (সা.) নিজেও শিখিয়েছেন সাহাবিদের এবং সাহাবিরা সেটাই অনুসরণ করেছেন।
সহজ কুরআন ৪
সহজ কুরআন ৪
By (author) আসিফ সিবগাত ভূঞা
সহজ কুরআনের আগের বইগুলো যারা পড়েছেন তাদের মনে থাকার কথা যে প্রথম তিন খণ্ডে শেষ চারটি পারার সবগুলো সুরা ব্যাখ্যা করা হয়েছিল– সুরা ফাতিহাসহ। এর পেছনের কারণটি তৃতীয় খণ্ডের ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। শেষ চারটি পারার সুরাগুলো কুরআনের কপিতে শেষের দিকে রাখা হলেও সেগুলো অধিকাংশই অবতীর্ণ হয়েছিল প্রথম দিকে। তাই সেগুলো ভালো করে শেখার মাধ্যমে কুরআনের মূল শিক্ষার একটি ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। সেই প্রয়োজন শেষ হয়েছে। তাই চতুর্থ খণ্ড থেকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে আবার শুরুতে ফিরে গিয়ে কুরআনের কপি অনুযায়ী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে সুরাগুলো বাকি আছে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা। সেই লক্ষ্য মাথায় নিয়ে চতুর্থ খণ্ডে আমরা আলোচনা করছি কেবল সুরা বাকারা নিয়ে।
সহজ ভাষায় অ্যালগরিদম
সহজ ভাষায় অ্যালগরিদম
By (author) ইহ্সানুল ইসলাম
এক কথায় বলতে হলে, একদম বিগিনারদের জন্য এক অসাধারণ খণ্ডাংশ এই বইটি। যাদের প্রোগ্রামিং নিয়ে ন্যূনতম জ্ঞান আছে, তারাও অনায়াসে এই বইয়ের আদি-অন্ত উদ্ধার করে ফেলতে পারবেন। নো ডাউট!
একটি সত্যি কথা কি জানেন? গুগোল-ফেসবুক যারা বানিয়েছেন, তারাও কিন্তু একটা সময় আমার-আপনার মতোই একজন জিরো লেভেলের প্রোগ্রামার ছিল। প্রোগ্রামিং জানার জন্য কম্পিউটারের খুঁটিনাটি সম্পর্কে যে খুব আহামরি কিছু জানা লাগে, এই কথাটিই ভুল। শুনে অবাক হবার কিছু নেই। ব্যাপারটা একদমই সত্যি। তবে আপনার থাকা চাই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর নিজেকে সময় দেওয়া। প্রোগ্রামিংয়ে ‘শুরু থেকে গুরু’ তখনই হতে পারবেন যখন আপনি প্রোগ্রামিংয়ের পেছনে ‘লেগে’ থাকবেন। এই ‘লেগে থাকা’-টাই আপনাকে গুগোল-ফেসবুক থেকেও আরো অনেক বেশি ওপরে নিয়ে যেতে সক্ষম।
তবে অ্যালগরিদমের কথা এলেই সবাই পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চান। এই বইটি লেখার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল এই পালিয়ে বেড়ানো মানুষগুলোর মনে অ্যালগরিদমের ভালোবাসা পৌঁছিয়ে দেওয়া। বানিয়ে বলছি না; বইটি শুরু করুন— কিছুক্ষণ পর আপনি নিজেই নিজেকে বলবেন, ‘একটু সময় দিলেই আমি পারব!’
সহজ ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তন
সহজ ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তন
By (author) আহমাদ মুদ্দাসসের
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলাপের শেষ নেই। কান পাতলেই শোনা যায়, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিপদ। ঘন ঘন দুর্যোগে মানুষের জীবন বিপন্ন। দুর্যোগের জন্য আবার মানুষই দায়ী। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার শুরুর পর মানুষের কাজে গতি বেড়েছে; দক্ষতা বেড়েছে বহুগুণ। গ্রিনহাউস গ্যাস বেড়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছেই। জলবায়ু-ঝুঁকিতে বাংলাদেশ সপ্তম। এসব জেনে কিশোর-তরুণেরা সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনকে সহজে জানা-বোঝার জন্য এই বই। কী ঘটছে জলবায়ুতে, এর পেছনের বিজ্ঞান, কেমন আছে জলবায়ু আক্রান্ত মানুষ, প্রাণীজগতে এর প্রভাব কেমন- এসব লেখা আছে বইয়ে। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে মানুষের চেষ্টার গল্প আছে। ধর্মঘট করছে কেউ, মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে কয়েকজন জেলে, গাড়ির বদলে কেউ সাইকেলে চেপে বসেছে, কেউ একজন অনুসন্ধান করছে কীভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায়। পৃথিবীকে বাঁচাতে তুমি কী করবে, জানা যাবে এই বই থেকে।
সহজ ভাষায় পাইথন ৩
সহজ ভাষায় পাইথন ৩
By (author) মাকসুদুর রহমান মাটিন
প্রোগ্রামিং একটি শৈল্পিক ব্যাপার, বিনোদনের অপর নাম। এর অমৃতসুধা পান করতে হলে হূদয়ে থাকা চাই আগ্রহ ও তীব্র ভাবাবেগ। কিন্তু বিভীষিকাময় একাডেমিক জীবন আমাদের দেশে প্রোগ্রামিংকে চিরতার মতো তিক্ত করে তুলেছে। অপরদিকে, হাতুড়ে ডাক্তারদের প্যারাসিটামল-তত্ত্ব প্রোগ্রামিংকে করে তুলেছে গোলকধাঁধার মতো। আর সিনট্যাক্সের গ্যাঁড়াকল? সে যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা।
প্রোগ্রামিং শেখা হওয়া উচিত সহজ, সরল ও আনন্দদায়ক। একটা কাজের সঙ্গে যখন আনন্দ যোগ হয়, তখন সেই কাজটা আমাদের মস্তিষ্ক অনেক দ্রুত গ্রহণ করতে পারে। এমনিতে পাইথন খুবই সহজবোধ্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। কিন্তু শেখার মাধ্যমটাও তো মজার হওয়া চাই। এ দিকটাতেই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এই বইয়ে।
এটি কোনো পাঠ্য বই নয়, এটি হচ্ছে পাইথন নিয়ে পাইথনের জন্য লেখা এক রহস্যোপন্যাস। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে প্রোগ্রামিংয়ের অপার সৌন্দর্য আর নিগূঢ় রহস্যের হাতছানি। এবার শুধু সমাধান করতে হবে সেই রহস্যের।
সহজ ভাষায় স্পোকেন ইংলিশ
সহজ ভাষায় স্পোকেন ইংলিশ
By (author) মো. সাখাওয়াত হোসেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিগ্রি নেওয়ার পরও ২ মিনিট ইংরেজিতে গুছিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে এদেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের দ্বিধাবোধ হয়। এ কারণেই অনেক যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকার পরও তারা গ্লোবাল জব মার্কেটে জায়গা করে নিতে পারেন না। দেশের শিক্ষার্থীদের তাই এমন একটি বই প্রয়োজন, যেটি তাদেরকে Global Standard-এর লেভেলে নিয়ে যেতে পারবে।
একশো ভাগ সেলফ-স্টাডি ভিত্তিক এ বইটিতে নিজেকে ইংরেজিতে বেসিক থেকে অ্যাডভান্স লেভেলে উন্নীত করার সমস্ত কার্যকরী কৌশল ও চর্চার প্রণালীসমূহ দেওয়া আছে। খুব সহজ ভাষায় লেখা এ বইটির মাধ্যমে কোনো শিক্ষক বা পার্টনারের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে ঘরে বসেই সব লেভেলের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা ইংরেজিতে দক্ষ হতে পারবে।
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে একাই ইংরেজিতে কথা বলায় দক্ষ হওয়া যায়, সহজ ভাষায় স্পোকেন ইংলিশ বইটিতে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী, গৃহিণী— সবাই পড়ে উপকৃত হবেন।
সহজ হিসাববিজ্ঞান
সহজ হিসাববিজ্ঞান
By (author) মঈন রেজা নাদিম
ব্যবসায় শিক্ষায় পড়তে গেলেই যে বিষয়টা আবশ্যিকভাবে চলে আসে সেটা হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞান। যেহেতু ব্যবসায় চালাতে গেলে অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্ন থেকে যায়, তাই হিসাব বিজ্ঞানীদের ছাড়া সব ধরনের ব্যবসায়ই আসলে অচল। অন্যভাবে বলা যায় যে ব্যবসায়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে যে ভাষায় বিভিন্ন পক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হয়, সেই ভাষাটির নাম হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞান।
মুশকিলটা হলো হিসাব বিজ্ঞান যেহেতু একটা মোটা দাগের ভারী বিষয়, সবার মাথায় খুব সহজেই হিসাব বিজ্ঞানের রসটা খেলা করে না। তাই অনেকেই হিসাব বিজ্ঞানের ওপর দারুণ দারুণ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হয় না। ফলে অনেকেই শুধ পাস করার চিন্তা মাথায় নিয়ে হিসাব বিজ্ঞান কোর্সটি শেষ করে কোনোমতে বেঁচে যেতে চায়।
এই বইটিতে গল্পে গল্পে সহজভাবে হিসাব বিজ্ঞানের আবশ্যকীয় কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যেসব ছাত্রছাত্রী হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে কষ্টে আছে, তাদের ভেতর এ বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করার জন্যই এই বইটি লেখা হয়েছে। আগ্রহের জায়গাটা একবার তৈরি করা গেলে বাকি বিষয়টুকু যেকোনো একাডেমিক বই থেকেই জেনে নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
আনন্দের বিষয় হচ্ছে, এটাই হিসাব বিজ্ঞানের ওপর প্রথম গ্রন্থ, যেটাকে হিসাব বিজ্ঞানের ওপর গল্পের বই বললেও খুব বেশি বলা হবে না। তাই হিসাব বিজ্ঞানের বই মনে না করে, গল্পের বই মনে করে পড়লেও বইটি পাঠকদের উপকারে আসবে।
সাইরাস
সাইরাস
By (author) আহমেদ দীন রুমি
সাইরাস, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী চরিত্র সমসাময়িক পারসিক জাতির কাছে পিতা, গ্রিকদের কাছে আইনপ্রণেতা এবং ব্যাবিলনীয়দের কাছে মুক্তিদাতা। একমাত্র অইহুদি তিনি, যাকে ইহুদি ধর্মবিশ্বাস মেসায়াহ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। আধুনিক মুসলিম তাফসির বিশারদরা কোরআনে বর্ণিত যুলকারনাইন হিসেবে উপস্থাপন করতে চান তাকে। বিশ্ববিজেতা আলেকজান্ডর, জুলিয়াস সিজার এবং লরেন্স অব অ্যারাবিয়া তার থেকে নিয়েছেন অনুপ্রেরণা। থমাস জেফারসন, ডেভিড ভেন গুরিয়ন কিংবা রেজা শাহ পাহলভীদের মতো অনেকের জন্য তিনি আদর্শ। কে সাইরাস? কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো ইতিহাসের প্রথম বৈশ্বিক সাম্রাজ্য? কেন তার সামনে একে একে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৎকালীন পরাশক্তিগুলো? ভিন্ন ভাষা আর সংস্কৃতির মানুষেরা কী বুঝে স্বেচ্ছায় আনুগত্য করেছে তার? ইতিহাস, উপকথা আর কিংবদন্তিকে সঙ্গে নিয়ে অভিনব এই যাত্রা, দমন-পীড়নের আবহে দাঁড়িয়ে মানুষকে জয় করা মানুষের সন্ধান।
সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি বই
সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি বই
By (author) খালেদ মুহিউদ্দীন, নাসির আলী মামুন
মুখোমুখি
সাংবাদিকতার জগতে স্পষ্টবাদিতার আরেক নাম খালেদ মুহিউদ্দিন। সাংবাদিক জীবনের একদম শুরুর দিকে তিনি ৪জন রাজনৈতিক নেতার মুখোমুখি হন। তারা হলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাহজাহান খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা এইচ টি ইমাম। এই ইন্টারভিউতে উঠে আসে খালেদা জিয়ার ছেলেদের বিদেশযাত্রা, বিচারপতির বয়সসীমা পরিবরর্তন, টকশোতে অসদাচরণসহ নানান বিতর্কিত প্রসঙ্গ।
ধরা যাক, রাজনীতিতে আপনার আগ্রহ নেই। সাংবাদিকতাও আপনাকে আকৃষ্ট করে না। তাহলে বইটি কেন পড়বেন? সঠিক জায়গায় সঠিক প্রশ্নটি কীভাবে করতে হয় বা উত্তরটি কীভাবে আদায় করে নিতে হয় তার একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত এই বইটি। অন্তত প্রশ্নকর্তা তার ক্ষুরধার প্রশ্ন ও বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা দিয়ে পুরো বইতে আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম। এবার সিদ্ধান্ত আপনার।
শামসুর রাহমান আল মাহমুদ: তফাৎ ও সাক্ষাৎ
বাংলা সাহিত্যে অনেককে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। হাল আমলে আলোচনা ও বির্তক হয় আমাদের দেশের দুই প্রধান কবিকে নিয়ে। শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ দুজনই সমসাময়িক কবি। কিন্তু মত ও পথ আলাদা। এই দুই কবির সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘকালের। শামসুর রাহমানকে আমি সম্বোধন করি ‘স্যার’। আর অতীতে বন্ধুত্ব থাকা সত্ত্বেও কিছু নীতিগত কারণে আল মাহমুদ থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু শামসুর রাহমানের লেখা যেভাবে আমি গুরুত্ব সহকারে পাঠ করি, সেভাবে আল মাহমুদকেও পাঠ করি। আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ পোরট্রেট ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন এই দুই কবিকে একসাথে বসিয়ে যে সাক্ষাৎপর্ব ঘটিয়েছেন তা বাংলা সাহিত্যে একটি বিরল ঘটনা বলে আমি শনাক্ত করি। মামুন শুধু দুই কবিকে এক করে সাক্ষাৎকার নিয়েই ক্ষান্ত হননি, সে তাদের দুজনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও দূরত্বের কারণগুলো বের করে এনেছেন। শামসুর রাহমান আল মাহমুদ: তফাৎ ও সাক্ষাৎ বইটিতে বরেণ্য আলোকচিত্রী মামুন এমন সব তথ্য ও বক্তব্য দুই কবির বয়ান থেকে বের করে নিয়েছেন যার অনেক কিছু এই প্রথম আমরা অবগত হয়েছি। দুই কবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা এখানে লিপিবদ্ধ আছে, যা পাঠকেদের টেনে নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত। তাছাড়া মামুনের দীর্ঘদিনের তোলা বেশ কয়েকটি দুর্লভ আলোকচিত্র বইটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল ২০০৪ সালে। আর যে সময়ে বইটি প্রকাশিত হল তখন আমাদের মাঝে প্রিয় কবি শামসুর রাহমান নেই। তাঁকে আমরা নানাভাবে স্মরণ করব। এ বইটিও তেমন একটি আয়োজন। আমি নাসির আলী মামুন-এর এই বইটিকে বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলেও চিহ্নিত করতে চাই।
—বেলাল চৌধুরী
সাদা খাম
সাদা খাম
By (author) সাফিনাজ সুলতানা
ভোরের আলো ফোটার পর একে একে সবাই দেখল দৃশ্যটা। মনীশ ঘোষের বাড়ি। হাট করা সদর দরজা, জনমানবশূন্য। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল খবরটা— মনীশ ঘোষ দেশ ত্যাগ করেছেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে পরিবার নিয়ে দেশান্তরি হয়েছেন। কিন্তু কেন? সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকাই যার স্বভাব, এভাবেই তো বছরের পর বছর পার করেছেন তিনি। তাহলে কী এমন অভিমান যে যাদের এত ভালোবাসলেন যাওয়ার সময় তারা জানতেও পারল না!
পরিবারের অমতে কুমুকে বিয়ে করেছিল বলে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিল সিদ্ধার্থ। বিদেশে পাড়ি জমালেও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কষ্ট তাড়িয়ে বেড়াত তাকে। বাবার দেশ ছাড়ার কারণ হিসেবে অন্যদের মতো একসময় নিজেকেই দোষী ভাবতে শুরু করল সে। কিন্তু কী ছিল আসল কারণ? নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সামনে এল সেই সত্যিটা। একটা চিঠি অমূল্য হয়ে উঠল সিদ্ধার্থের কাছে।
এমনই জীবনের প্রেম, ভালোবাসা, সম্পর্ক আর অভিমানের এক অনবদ্য উপন্যাস সাদা খাম।
সাফল্যের রুট কজ এনালিসিস
সাফল্যের রুট কজ এনালিসিস
By (author) মুবির চৌধুরী
জীবনে সফলতা কে না চায়? কিন্তু…
সফলতা আসলে কী? সফলতার পিছনে কোন কোন শক্তি কাজ করে? কিভাবে এগুলে জীবনে সফল হওয়া যায়?
লেখক তাঁর দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের পেশাগত অভিজ্ঞতায় হাজার খানেক মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের আলোকে এক অভাবনীয় বিশ্লেষণধর্মী লেখনীর মাধ্যমে সফলতা লাভের তত্ত্বটি তুলে ধরেছেন পাঠকের সামনে। অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় লিখিত এই বিশ্লেষণধর্মী বইকে বোধগম্য করতে তিনি ব্যবহার করেছেন যুগোপযোগী এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন উদাহরণ। এই বইয়ে তিনি সফলতার রুট কজ এনালিসিস (Root Cause Analysis) বা সফলতার মূল কারণ বিশ্লেষণ করে সফলতার পথের বিভিন্ন স্তরে কোন কোন শক্তি কাজ করে এবং কীভাবে একের পর এক সেইসব শক্তিকে নিজের পক্ষে এনে জীবনে স্বল্প, মধ্যম, ও দীর্ঘমেয়াদে সফলতা লাভ করা যায় তা নিয়ে বিশদ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
কোনো মুখরোচক টোটকা দিয়ে নয়, বরং একদম মূল থেকে নিজেকে বলিষ্ঠ করে গড়ে তুলে জীবনে টেকসই সফলতা যারা চান, তাঁদের জন্যে সাফল্যের রুট কজ এনালিসিস একটি অবশ্যপাঠ্য বই।